আনচেলত্তির ব্রাজিল দলে ফিরতে কতটা প্রস্তুত নেইমার
Published: 21st, May 2025 GMT
নেইমার ও চোট যেন অবিচ্ছেদ্য। একের পর এক চোট নেইমারের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় বাধা। এ জন্য অনেকের কাছে নেইমার এখন ‘ব্রাজিলের দুঃখ’ও বটে। অথচ তিনিই ছিলেন রোনালদো নাজারিওর পরবর্তী সময়ে ব্রাজিলীয় ফুটবলের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার।
ব্যক্তিগত অর্জনে অবশ্য নেইমারের ঝুলিতে কিছু প্রাপ্তিও আছে। পেলেকে ছাড়িয়ে ব্রাজিলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতাও এখন তিনি। কিন্তু দলীয় সাফল্যে সেই গোলগুলো তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি।
সর্বশেষ ২০২২ বিশ্বকাপেও ব্রাজিলের হতাশাজনক বিদায়ের সাক্ষী হয়েছেন নেইমার। এখন ২০২৬ বিশ্বকাপ নেইমারের জন্য কিছু করে দেখানোর শেষ সুযোগ। তবে সে জন্য অবশ্য ফিট থেকে বিশ্বকাপের মঞ্চ পর্যন্ত যেতে হবে তাঁকে, যা এ মুহূর্তে বেশ চ্যালেঞ্জিংই বটে।
আরও পড়ুনআনচেলত্তির ব্রাজিল দলে কারা ডাক পাচ্ছেন১৯ মে ২০২৫ব্রাজিলের বিশ্বকাপ ভাগ্য বদলাতে দলটির কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা কোচদের একজন কার্লো আনচেলত্তি। ২০২৬ বিশ্বকাপে আনচেলত্তির অধীনই প্রস্তুত হবে সেলেসাওরা। আগামী ২৬ মে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য নিজের প্রথম দলও ঘোষণা করবেন আনচেলত্তি।
এ মুহূর্তে নেইমারের চোখ সেই দলে ফেরার দিকে। এর আগে অবশ্য সান্তোসের স্কোয়াডে ফিরতে হবে তাঁর। সে জন্য অবশ্য কঠিন পরিশ্রমও করে যাচ্ছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, দলে ফেরার জন্য কতটা ঘাম ঝরাচ্ছেন সাবেক এই বার্সেলোনা তারকা।
কোপা দো ব্রাজিলে আগামী শুক্রবার ভোরে সিআরবির মুখোমুখি হবে নেইমারের সান্তোস। সেই ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরতে এখন জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো’ জানিয়েছে, নেইমার অনুশীলনে অংশ নিয়েছেন এবং বাঁ উরুর চোট থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
আরও পড়ুন২০২৬ বিশ্বকাপ: মেসি-রোনালদো-নেইমার, কে থাকবেন কে থাকবেন না২৩ এপ্রিল ২০২৫সব ঠিক থাকলে সিআরবির বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে নামবেন তিনি। তবে মূল একাদশে নয়, নেইমারকে দেখা যেতে পারে বেঞ্চে। তৃতীয় রাউন্ডের প্রথম লেগের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর এখন যেকোনো মূল্যে নেইমারকে দলে চায় সান্তোস। আর নেইমার যদি সান্তোসে ফেরেন, তবে তাঁর ব্রাজিল দলে ফেরাও একরকম নিশ্চিত। পাশাপাশি নেইমারকে প্রাথমিক দলে রেখে তাঁকে মূল স্কোয়াডে ফেরানোর বার্তাও দিয়ে রেখেছেন আনচেলত্তি।
এর আগে ইনস্টাগ্রামে নেইমারের শেয়ার করা এক পোস্টে তাঁকে শট অনুশীলন করতে দেখা গেছে। মাঝমাঠে কাছাকাছি জায়গায় বল রেখে বিভিন্ন দিক থেকে শটগুলো নিচ্ছিলেন তিনি। এ সময় নেইমারকে বেশ আত্মবিশ্বাসী ও চাঙাও দেখা গেছে। এখন সেই আত্মবিশ্বাস, চাঙাভাব ধরে রেখে নেইমার ব্রাজিল দলে খেলার জন্য পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত হতে পারেন কি না, সেটাই দেখার অপেক্ষা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ব র জ ল দল ব শ বক প র জন য অবশ য
এছাড়াও পড়ুন:
জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা
জাপানে পড়াশোনা করার আগ্রহ থাকতে পারে অনেকের। এ আগ্রহে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দারুণ এক সুযোগ নিয়ে এসেছে দেশটির হোনজো ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশনের হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ ২০২৬-এ আবেদন শুরু হয়েছে। এই মর্যাদাপূর্ণ জাপানি বৃত্তির মাধ্যমে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যাবে। এতে রয়েছে আংশিক অর্থায়নের বৃত্তির পাশাপাশি মাসিক ভাতা, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এই আন্তর্জাতিক বৃত্তি মূলত তাঁদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার লক্ষ্যেই প্রদান করা হয়। পাশাপাশি এটি জাপান এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করবে।
হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপের উদ্দেশ্য—১৯৯৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে হোনজো ফাউন্ডেশনকে আন্তর্জাতিক বৃত্তি সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেন টাউন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মাসানরি হোনজো। তিনি ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক মূলধন হিসেবে ২০ কোটি ইয়েন নগদ অর্থ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ শেয়ার দান করেন এ বৃত্তির জন্য। হোনজো ফাউন্ডেশন উন্নয়নশীল দেশের সেই সব শিক্ষার্থীকে সাহায্য করে, যাঁরা ভবিষ্যতে নিজেদের দেশকে উন্নয়নের পথে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি জাপানি শিক্ষার্থীরাও বিদেশে পড়াশোনার জন্য এ বৃত্তি পেয়ে থাকেন, যা বৈশ্বিক সংযোগ ও আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
আবেদনে যোগ্যতার শর্ত
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে—
—জাপান ব্যতীত সব দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
—আবেদনকারীকে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া কোনো গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে বা ভর্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে।
—বর্তমান শিক্ষার্থী, যাঁরা এখনো ভর্তি হননি বা কর্মরত, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন, যদি তাঁরা এপ্রিল ২০২৬-এ ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করেন।
—যাঁরা ২০২৫ সালের শরৎকালীন সেমিস্টারে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরাও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
—প্রফেশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কুলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা সাধারণত যোগ্য নন, তবে বৈধ গবেষণা পরিকল্পনা জমা দিতে পারলে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।
বয়সসীমা—পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।
—মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
—পড়াশোনা শেষ করার পর নিজ দেশের উন্নয়নে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে।
—আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতি আগ্রহী হতে হবে এবং ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও অ্যালামনাই নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণ করতে হবে।
—দৈনন্দিন কথোপকথনের মতো জাপানি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে, কারণ, সাক্ষাৎকার কেবল জাপানি ভাষায় হবে।
বৃত্তির সুবিধা
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক আর্থিক ও একাডেমিক সহায়তা প্রদান করে:
১। পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ।
২। মাসিক ভাতা।
—১ বা ২ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার ইয়েন।
—৩ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ১০ হাজার ইয়েন।
—৪ বা ৫ বছরের কোর্সের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন।
—জাপানে যাওয়ার জন্য ট্রাভেল গ্র্যান্ট দেওয়ার সুযোগ থাকতে পারে।
—আর্থিক দুশ্চিন্তা ছাড়াই পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ।
—জাপানের সংস্কৃতিময় জীবনযাত্রা উপভোগের পাশাপাশি পড়াশোনার সুযোগ।
—বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্লোবাল নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সুযোগ।
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তিতে শিক্ষার্থীরা পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ পাবেন এবং পাবেন মাসিক ভাতা।