বাংলাদেশকে উড়িয়ে আমিরাতের অধিনায়ক বললেন, ‘আমার কাছে কোন ভাষা নেই’
Published: 22nd, May 2025 GMT
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে এই সিরিজের আগে তিনবারের দেখায় তিনবারই জিতেছে বাংলাদেশ। ২০১৬ এশিয়া কাপের পর ২০২১ সালে বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে তাদেরকে সিরিজে হারায়।
এবার ফলাফল ঠিক উল্টো। পিছিয়ে থেকে দারুণ কামব্যাক করে ইউএই জিতেছে সিরিজ। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে বাংলাদেশকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে মরুর এই দলটি।
দ্বিতীয়বারের মতো আইসিসির টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল। ২০২১ সালে আয়ারল্যান্ডকেও ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল তারা। তবে বাংলাদেশকে হারানোর প্রাপ্তি আমিরাতের কাছে বিশেষ কিছু, যা তাদের অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিমের কণ্ঠে ফুটে উঠল।
পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ওয়াসিম বলেছেন, ‘‘প্রথমেই, আমার প্রিয় আল্লাহর দরবারে ধন্যবাদ এবং আলহামদুলিল্লাহ। এই জয়ে আমি খুবই খুশি। এবং আমাদের ম্যানেজমেন্ট, আমাদের বোর্ড এবং আমাদের সাপোর্টিং স্টাফরা, আমাদের প্রধান কোচ, ফিজিও, প্রশিক্ষক, বিশ্লেষক, সকলকে অভিনন্দন।’’
‘‘আমি খুবই খুশি যে আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করতে পেরেছি। এই সিরিজ আমাদের জন্য অনেক অর্থবহ। ভবিষ্যতে এটি আমাদের জন্য খুবই সহায়ক। আর ছেলেদের পারফরম্যান্স, আসিফ যেভাবে খেলেছে, আলিশান, রাহুল চোপড়া, হায়দার যেভাবে বোলিং করেছে, এবং অন্যান্য বোলারদের পারফরম্যান্সে আমি খুবই খুশি। আমার পুরো দলের পারফরম্যান্সে আমি খুবই খুশি। সত্যি বলতে, এই জয়ের জন্য আমার কাছে কোন ভাষা নেই।’’
‘‘(পাঁচজন নতুন খেলোয়াড়) খুব খুশি যে তারা পুরো সিরিজ জুড়ে খুব ভালো করেছে, বিশেষ করে হায়দার আলী তার অভিষেক করছে, এবং সে ব্যতিক্রমী বোলিং করেছে। আমি তার জন্য খুব খুশি।’’
‘‘আমরা আমাদের আশা হারিয়ে ফেলছিলাম না, বরং আমরা সবাইকে আশা দিচ্ছিলাম। আমরা শারজাহতে প্রতিটি দলের বিরুদ্ধে প্রতিটি স্কোর তাড়া করতে পারি, এবং আমরা এখানে এতে অভ্যস্ত। সত্যি বলতে, আমি খুব খুশি। কোচ, আমাদের পরিবার এবং সকলকে ধন্যবাদ।’’
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর খ বই খ শ আম দ র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে
বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।
বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।
ঢাকা/নাজমুল/রফিক