জয়পুরহাটে তেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত, সাত ঘণ্টা পর চলাচল স্বাভাবিক
Published: 22nd, May 2025 GMT
জয়পুরহাটের পুরানাপৈল এলাকায় তেলবাহী ট্রেনের একটি ট্যাংকারের দুটি চাকা লাইনচ্যুত হওয়ায় পার্বতীপুর-সান্তাহার রুটে ট্রেন চলাচল সাত ঘণ্টা বন্ধ ছিল। আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
এ ঘটনায় ঢাকা, খুলনা, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও চিলাহাটীগামী বেশ কয়েকটি ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে। এতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে রংপুর ডিপোর উদ্দেশে ছেড়ে আসা একটি তেলবাহী ট্রেন গতকাল বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল এলাকায় পৌঁছালে এর একটি ট্যাংকারের দুটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এতে পার্বতীপুর-সান্তাহার রুটে সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ডাউনলাইনে চিলাহাটী থেকে খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস, ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ও একতা এক্সপ্রেস এবং আপলাইনে ঢাকা থেকে চিলাহাটীগামী চিলাহাটী এক্সপ্রেস, রাজশাহী থেকে পঞ্চগড়গামী বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস, ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামগামী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ও চিলাহাটীগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে।
বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে পার্বতীপুর থেকে উদ্ধারকারী (রিলিফ) ট্রেন এসে উদ্ধারকাজ শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় রাত তিনটার দিকে ট্রেনের একটি ট্যাংকারের তিনটি চাকা লাইনে তোলা হয় এবং ট্রেনটি জয়পুরহাট রেলস্টেশনে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে রেললাইন মেরামত শেষে আজ ভোর সাড়ে চারটায় রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। আটকে পড়া ট্রেনগুলো পরে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘তেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রায় ঘণ্টা পাঁচবিবি রেলস্টেশনে আটকে ছিল। আমরা ভোগান্তিতে পড়েছিলাম।’
জয়পুরহাট স্টেশনের মাস্টার নাহিদা আকতার বলেন, পুরানাপৈল এলাকায় তেলবাহী একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছিল। এ জন্য ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল ইনচ য ত
এছাড়াও পড়ুন:
ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে
একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।
এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।
আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।
সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়