যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরেই বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার আ.লীগ নেতা
Published: 23rd, May 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেই ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছেন নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের নেতা গিয়াস উদ্দিন।
শুক্রবার (২৩ মে) সকালে স্ত্রীসহ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকয় অবতরণের পর ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তাকে মিরসরাই থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঢাকা থেকে গিয়াস উদ্দিনকে মিরসরাইয়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
মীরসরাই থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, “গ্রেপ্তার গিয়াস উদ্দিন নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাবেক সহ-সভাপতি। তিনি মীরসরাই উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন।”
আরো পড়ুন:
পদ্মার বালুমহাল নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৬
হাইমচরে পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
তিনি আরো বলেন, “২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গিয়াস উদ্দিন মীরসরাই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে মিরসরাই থানায় মামলা রয়েছে। এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে মিরসরাই আনা হচ্ছে। শনিবার (২৪ মে) তাকে আদালতে হাজির করা হবে।”
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ ম রসর ই
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস