যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেই ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছেন নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের নেতা গিয়াস উদ্দিন। 

শুক্রবার (২৩ মে) সকালে স্ত্রীসহ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকয় অবতরণের পর ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তাকে মিরসরাই থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঢাকা থেকে গিয়াস উদ্দিনকে মিরসরাইয়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

মীরসরাই থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, “গ্রেপ্তার গিয়াস উদ্দিন নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাবেক সহ-সভাপতি। তিনি মীরসরাই উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন।”

আরো পড়ুন:

পদ্মার বালুমহাল নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৬

হাইমচরে পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু

তিনি আরো বলেন, “২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গিয়াস উদ্দিন মীরসরাই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে মিরসরাই থানায় মামলা রয়েছে। এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে মিরসরাই আনা হচ্ছে। শনিবার (২৪ মে) তাকে আদালতে হাজির করা হবে।”

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ ম রসর ই

এছাড়াও পড়ুন:

দুই শীর্ষ তালেবান নেতার বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) আফগানিস্তানের তালেবানের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশটির নারী ও কিশোরীদের নানাভাবে দমন–পীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আইসিসি গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, আফগানিস্তানে ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসে। এর পর থেকে দেশটিতে নারী ও কিশোরীদের প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে, তাতে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং দেশটির প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগের ‘যুক্তিসংগত ভিত্তি’ রয়েছে।

তালেবান ক্ষমতায় আসার পর নারী ও কিশোরীদের ওপর একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ১২ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের পড়াশোনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অনেক চাকরি থেকে নারীদের বিরত রাখা।

আফগানিস্তানে পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীরা কত দূর ভ্রমণ করতে পারবে, সে বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে তালেবান। এমনকি জনসমক্ষে নারীদের কথা বলার বিষয়েও নির্দেশনা জারি করেছে তারা।

এক বিবৃতিতে আইসিসি জানিয়েছে, আফগানিস্তানের জনগণের ওপর কিছু নিয়ম ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তালেবান। তবে তারা নারী ও কিশোরীদের বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে এবং তাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করেছে। জাতিসংঘ এসব বিধিনিষেধকে ‘লিঙ্গবৈষম্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তালেবান। তারা বলেছে, তালেবান এই আদালতকে স্বীকৃতি দেয় না। আদালতের এমন পরোয়ানাকে ‘সুস্পষ্ট শত্রুতামূলক পদক্ষেপ’ এবং ‘বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের বিশ্বাসের প্রতি অপমান’।

তালেবান সরকারের দাবি, তারা আফগানিস্তানের সংস্কৃতি ও ইসলামি আইন অনুযায়ী নিজস্ব ব্যাখ্যার ভিত্তিতে নারীদের অধিকারকে সম্মান করে।

গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের মতো গুরুতর অপরাধের তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে কাজ করে আইসিসি। কোনো দেশ এই অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে না পারলে বা বিচার করতে না চাইলে আইসিসি এ উদ্যোগ নেয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ