পানি খাওয়ার কথা বলে বাড়িতে ঢুকে স্বর্ণালংকার লুট
Published: 23rd, May 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এক নারীকে নিজ ঘরে বেঁধে স্বর্ণালংকার লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পানি খাওয়ার কথা বলে বাড়িতে ঢুকে এ ঘটনা ঘটানো হয় বলে জানান ভুক্তভোগীর স্বজনেরা। শুক্রবার (২৩ মে) দিনেদুপুরে পৌর এলাকার নারায়ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার জুমার নামাজের সময় পৌর এলাকার নারায়ণপুর গ্রামের জয়নাল মিয়ার বাড়িতে এক নারী পানি খাওয়ার কথা বলে প্রবেশ করেন। এসময় তার সঙ্গে থাকা পুরুষ ব্যক্তিটিও বাড়ি খালি থাকার সুযোগে ঘরে ঢুকে পড়েন। পরে দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে জয়নাল মিয়ার স্ত্রীকে বেঁধে ও মুখে কাপড় গুঁজে স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়ে যান তারা। এসময় ওই গৃহবধূ ডাক-চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসে। পরে স্থলবন্দরের কাছাকাছি এলাকা থেকে সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করে থানায় খবর দেওয়া হয়। তল্লাশি করে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি ছুরি, গ্লাভস ও কিছু স্বর্ণালংকার।
আটককৃতরা হলেন- জেলার কসবা উপজেলার চন্ডিদ্বার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম সানি (২৪) ও চক চন্দ্রপুর গ্রামের সুমাইয়া আক্তার (১৯)। তারা আখাউড়া পৌর এলাকার কলেজপাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করতেন।
আরো পড়ুন:
শেরপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
চাঁদাবাজির মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক দুই নেতা রিমান্ডে
জয়নাল মিয়ার আত্মীয় ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। তবে, আটককৃতদের কাছ থেকে সব স্বর্ণ উদ্ধার করা যায়নি। কিছু স্বর্ণালংকার তারা গিলে ফেলেছে।’’
জয়নাল মিয়া বলেন, ‘‘জুমার নামাজের সময় বাড়ির পুরুষ সদস্যরা বাড়িতে ছিলেন না। এই সুযোগে দুই জন বাড়িতে ঢুকে স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিব।’’
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
ঢাকা/পলাশ/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বর ণ ল ক র ল ট জয়ন ল ম য়
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস