৮ ছক্কায় রেকর্ড গড়া ফিফটি ম্যাথু ফোর্ডের
Published: 23rd, May 2025 GMT
মূল পরিচয় বোলার হলেও ব্যাট হাতে যেন ধ্বংসযজ্ঞ চালালেন ম্যাথু ফোর্ড। ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ইতিহাস গড়লেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই তরুণ। মাত্র ১৬ বলে ফিফটি তুলে নিয়েছেন তিনি। এতে দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি এবি ডি ভিলিয়ার্সের রেকর্ডে ভাগ বসালেন ফোর্ড। ২০১৫ সালে জোহানেসবার্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই ১৬ বলে ফিফটি করেছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। এবার সেই রেকর্ডে নাম লেখালেন ২৩ বছর বয়সী ফোর্ড।
দলীয় ইনিংসের শেষ দিকে আট নম্বরে ব্যাট করতে নামেন ফোর্ড। এরপর মাঠজুড়ে ছক্কার বৃষ্টি নামান। ৮টি ছক্কা ও ২টি চারে মাত্র ১৯ বলে খেলেন ৫৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস, স্ট্রাইক রেট ৩০৫.
ফোর্ডের ৫৬ রানই আসে বাউন্ডারি থেকে। অর্থাৎ ইনিংসের ৯৬.৫৫ শতাংশ রান এসেছে বাউন্ডারি মারার মাধ্যমে। ওয়ানডে ইতিহাসে ফিফটির কোনো ইনিংসে বাউন্ডারি থেকে রান আয়ের দিক থেকে এটি নতুন রেকর্ড। এর আগে সর্বোচ্চ ছিল আন্দ্রে ফ্লেচারের ৯৬.১৫ শতাংশ (২০০৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫২ রানে ৫০ রানই এসেছে বাউন্ডারি থেকে)।
নিচের দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়ানডেতে ৮ ছক্কা মারার কীর্তিও গড়েছেন ফোর্ড। আট বা তার নিচে ব্যাট করে এত ছক্কার নজির নেই। এর আগে সর্বোচ্চ ছিল ৭টি ছক্কা আব্দুল রাজ্জাক (২০০৩) ও তানভির আফজালের (২০১৫)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে আরও এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন তিন নম্বরে নামা কেসি কার্টি। তিনি ১০৯ বলে করেন ১০২ রান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৫২ রান।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি শেষ, আদেশ ৬ আগস্ট
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের (রিভিউ) ওপর আদেশের জন্য আগামী ৬ আগস্ট তারিখ ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ আজ বুধবার শুনানি শেষে আদেশের এই তারিখ ধার্য করেন।
গত ১৮ মে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদনটি শুনানির জন্য ১ জুলাই তারিখ ধার্য করেছিলেন। ধার্য তারিখে বিষয়টি শুনানির জন্য রিভিউ আবেদনকারীপক্ষের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ১৫ জুলাই পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার ও আজ বুধবার শুনানি হয়।
ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। পরে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের পদক্রম ওপরের দিকে রাখা ও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়; পাশাপাশি জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমান করা হয়।
আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির পদক্রম এক ধাপ উন্নীত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করে যে মুক্তিযোদ্ধারা বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন) পদক্রমে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।
ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন। রিভিউ আবেদনে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পক্ষভুক্ত হন। পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর গত ২৭ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়।
আজ আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন শুনানি করেন। রিট আবেদনকারীপক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন। এ ছাড়া ইন্টারভেনার (ব্যাখ্যাকারী) হিসেবে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়।
সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে। সংশোধিত এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে—এমন উল্লেখ করে এর বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে রিট করেন।
রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালে করা আবেদনের ওপর আজ শুনানি শেষ হলো।