১৬ বলে ৫০, দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডে ডি ভিলিয়ার্সের পাশে ফোর্ড
Published: 23rd, May 2025 GMT
ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ডটা এত দিন ছিল শুধু এবি ডি ভিলিয়ার্সের। এবার সেই রেকর্ডে ভাগ বসালেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাথু ফোর্ডও। ডাবলিনে আজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ফোর্ড ফিফটি করেছেন ১৬ বলে।
তিন ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আজ টসে হেরে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফোর্ড ব্যাট করতে নামেন ৮ নম্বরে, ৪৪তম ওভারের প্রথম বলে রোস্টন চেজ আউট হয়ে যাওয়ার পর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান তখন ৬ উইকেটে ২৪৬।
ব্যারি ম্যাকার্থির ওই ওভারে চারটা বলে খেলে ১ ছক্কায় ৭ রান করেন ফোর্ড। ঝড় তোলেন পরের ওভারে জশ লিটলকে পেয়ে, চারটা ছক্কা মারেন তাঁকে। টমাস মায়েসের করা পরের ওভারে ফোর্ড খেলেন তিন বল, রান করেন ১১।
ওই ওভার শেষে ফোর্ডের রান দাঁড়ায় ১৩ বলে ৪২। এরপর আবার বল হাতে আসেন ম্যাকার্থি, প্রথম বলে রান না নিতে পারলেও পরের নো বলে ছক্কা মারেন ফোর্ড, ফ্রি-হিটে আবার ছক্কা। ব্যস, ফোর্ড ছুঁয়ে ফেলেন ডি ভিলিয়ার্সকে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, ডি ভিলিয়ার্স রেকর্ডটা গড়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই, ২০১৫ সালে জোহানেসবার্গে। ওয়ানডেতে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডে এই দুজনের পরেই আছেন শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়সুরিয়া ও কুশল পেরেরা, নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল ও ইংল্যান্ডের লিয়াম লিভিংস্টোন। ১৭ বলে ফিফটি করেছেন তাঁরা চারজনেই।
জয়সুরিয়া করেছিলেন ১৯৯৬ সালে সিঙ্গাপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে, একই দলের বিপক্ষে ২০১৫ সালে কুশল পেরেরা। ২০১৫ সালেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ১৭ বলে ফিফটি করেন গাপটিল, ২০২২ সালে আমস্টারডামে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে লিভিংস্টোন।
ফিফটির রেকর্ডে অন্য একজন ভাগ বসালেও দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডে এখনো ডি ভিলিয়ার্সের একক মালিকানা। ২০১৫ সালে জোহানেসবার্গেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ডি ভিলিয়ার্স ১০০ করেছিলেন ৩১ বলে!
আজ ডাবলিনে ফোর্ডের রেকর্ড ছোঁয়া ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫০ ওভারে করেছে ৮ উইকেটে ৩৫২ রান। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে আইরিশরা।
আরও পড়ুনটেস্ট ছাড়ার ঘোষণা ম্যাথুসের, শেষ টেস্ট বাংলাদেশের বিপক্ষে৫ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ২০১৫ স ল র র কর ড দ র ততম
এছাড়াও পড়ুন:
নানা আয়োজনে বেরোবিতে রোকেয়া দিবস পালিত
রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজনে রোকেয়া দিবস ২০২৫ পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. শওকাত আলী ।
এরপর বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক মাছুমা হাবিব।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হোসেন উদ্দিন শেখর।
উপাচার্য অধ্যাপক শওকাত আলীসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা শোভাযাত্রায় অংশ নেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, দপ্তর ও আবাসিক হলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শোভাযাত্রায় যোগ দেন। শোভাযাত্রাটি শহীদ আবু সাঈদ চত্বর মডার্ন মোড় ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মাঠে এসে শেষ হয়।
সকাল সাড়ে ১০টায় স্বাধীনতা স্মারক মাঠে রোকেয়া দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক মাছুমা হাবিব।
তিনি বলেন, “রোকেয়ার দেখানো পথ ধরে আজ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রত্যন্ত অঞ্চলেও নারী শিক্ষার প্রসার ঘটেছে। নারী জাগরণ ও নারীশিক্ষার প্রসারে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আগামী দিনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।”
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, “লেখক হিসেবে রোকেয়া সাখাওয়াত ছিলেন বাস্তবতবাদী। এটি রোকেয়ার রচনা বা কাজের প্রধান সূত্র। রোকেয়া তুলনামূলক কম প্রবন্ধ লিখলেও বাংলা ভাষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং খুবই ব্যক্তিত্বসম্পন্ন স্বতন্ত্র ধারার প্রাবন্ধিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।”
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, “রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন বিশ শতকের প্রথম দিকে নারীসমাজে আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষার ব্যাপক প্রচার ও প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।”
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শওকাত আলী বলেন, “নারী জাগরণ, শিক্ষার প্রসার, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার ও সাম্যের চেতনায় রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন যে স্বপ্ন লালন করেছিলেন, তারই ধারাবাহিকতায় আজ নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখছেন।”
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রোকেয়া দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. তাজুল ইসলাম, বাংলা একাডেমির সচিব মো. সেলিম রেজা, জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কুন্তলা চৌধুরী, বেরোবি ইন্সটিটিউট অব রিসার্চ এক্সিলেন্সের সিনিয়র রিসার্চ অফিসার মেহজাবীন ইলাহী, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শামসুর রহমান সুমন, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী উম্মে হানি জোহরা তানিয়া।
ঢাকা/সাজ্জাদ/রাসেল