খাগড়াছড়িতে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ইটবাহী ট্রাক্টর উল্টে আহত ৪
Published: 24th, May 2025 GMT
খাগড়াছড়ির আলুটিলায় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ইটবাহী ট্রাক্টর উল্টে চারজন আহত হয়েছে। মুহূর্তে আগুন ধরে কাভার্ডভ্যানটিও পুড়ে গেছে।
আহতরা হলেন, মো. রহিম, মো. শাহিন, মো. রমজান আলী ও থৈঅংগ্য মারমা। তারা সবাই মাটিরাঙ্গার বাসিন্দা এবং ইটবাহী ট্রাক্টরের শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন।
শনিবার (২৪ মে) সকাল ৭ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় খাগড়াছড়ির অভ্যন্তরীণ ও আন্তঃজেলা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঢাকা থেকে সুন্দরবন কুরিয়ারে সার্ভিসের একটি কাভার্ডভ্যান খাগড়াছড়ি জেলা শহরে ফেরার পথে আলুটিলার ময়লাটিলা নামক স্থানে পৌঁছালে ইটবাহী ট্রাক্টরের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ট্রাক্টরটি দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে সড়কের উল্টে গেলে ছিটকে পড়ে চালক-শ্রমিকরা। এ সময় আগুন ধরে যায় কাভার্ডভ্যানেও।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, এ দুর্ঘটনার কারণে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিলো।
এদিকে দুর্ঘটনায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চন্দ্র রায়। সেখান থেকে সদর হাসপাতালে গিয়ে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন এবং চিকিৎসার জন্য নগদ সহায়তা প্রদান করেন তিনি।
ঢাকা/রূপায়ন/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র ঘটন ইটব হ
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।