ছবি: মঈনুল ইসলাম
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আবারও শুরু হলো এসসিবি ও চ্যানেল আই ‘কৃষি অ্যাওয়ার্ড’ কার্যক্রম
বহুজাতিক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক (এসসিবি) ও চ্যানেল আইয়ের যৌথ উদ্যোগে শুরু হতে যাচ্ছে দশম ‘কৃষি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’। দেশে কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তায় ভূমিকা রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মানিত করতে এবারের আয়োজনে মোট ১৩টি শ্রেণিতে পুরস্কার দেওয়া হবে।
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আজ শনিবার সকালে আয়োজিত এসসিবি ও চ্যানেল আইয়ের যৌথ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন কৃষি অ্যাওয়ার্ডের প্রযোজক রেহানা সামদানী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, এসসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নাসের এজাজ বিজয় ও কান্ট্রি হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স, ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং বিটপী দাশ চৌধুরী।
এ বছরের কৃষি অ্যাওয়ার্ডে ব্যক্তিপর্যায়ে আজীবন সম্মাননা, সেরা নারী কৃষক, সেরা পুরুষ কৃষক, পরিবর্তনের নায়ক (নারী বা পুরুষ), সেরা সাংবাদিক (কৃষি), জুরি স্পেশাল (বিচারকমণ্ডলীর বিশেষ সম্মাননা), সেরা মেধাবী সংগ্রামী কৃষক (পুরুষ), সেরা মেধাবী সংগ্রামী কৃষক (নারী), জলবায়ু অভিযোজনভিত্তিক শ্রেষ্ঠ কৃষক (নারী বা পুরুষ) ও ছাদকৃষি। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ক্রমাগত নগরায়ণের ফলে শহরভিত্তিক কৃষিকে অনুপ্রাণিত করার জন্য এ বছর যুক্ত হয়েছে ‘ছাদকৃষি’ শ্রেণি। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে কৃষি খাতে গবেষণা ও উদ্ভাবনে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান, কৃষি সহায়তা ও বাস্তবায়নে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান ও বছরের শ্রেষ্ঠ কৃষিপণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে শাইখ সিরাজ বলেন, করোনার পর দেশে যে অর্থনৈতিক মন্দা তৈরি হয়েছিল, তা মোকাবিলায় কৃষি খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এখন সনাতন পদ্ধতির কৃষি চাষ কমে গেছে। দেশে দিন দিন কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ হচ্ছে। ফলে বাড়ছে কৃষিতে তরুণদের অংশগ্রহণ। ভবিষ্যতে কৃষিতে এআইয়ের ব্যবহার ও আরও বেশি যান্ত্রিকীকরণ হলে এই খাত আরও বড় হবে।
এসসিবির সিইও নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘আমাদের দেশে নীরব নায়ক হচ্ছেন কৃষকেরা। তাঁদের শ্রমেই দেশের হাজার হাজার মানুষের জীবন পরিবর্তন হয়েছে। দেশের সংগ্রাম ও সম্ভাবনা—সবকিছুতেই রয়েছে কৃষির বড় অবদান।’
২৫ মে শুরু হচ্ছে ‘কৃষি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’-এর আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন গ্রহণ, যা চলবে ১৫ জুলাই পর্যন্ত। আগামী ১৬ থেকে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে জমা হওয়া মনোনয়ন থেকে প্রতিটি বিভাগে সর্বোচ্চ তিনজন করে প্রার্থী বাছাই করা হবে। এরপর মাঠপর্যায়ে যাচাই-বাছাই ও বিচারকদের পর্যালোচনার পর চূড়ান্ত হবে বিজয়ীদের নাম। অ্যাওয়ার্ডের চূড়ান্ত আয়োজন হবে চলতি বছরের ২৬ অথবা ২৭ সেপ্টেম্বর।