যুবদল নেতাকে চাঁদা না দেওয়ায় পরিবার নিয়ে ১৭ দিন ঘরবন্দি ব্যবসায়ী
Published: 25th, May 2025 GMT
চট্টগ্রামের রাউজানে চাঁদার টাকা না পেয়ে ডিশ ব্যবসায়ীর বাড়িতে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফয়েজের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম গহিরা গ্রামে আবদুল হালিমের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, অল্প কিছু টাকা দিয়ে ফয়েজকে ম্যানেজ করে আসছিলাম। কিন্তু গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর ৫ লাখ টাকা না দিলে ব্যবসা বন্ধ করার হুমকি দেন। প্রায়ই তাঁর লোকজন টাকার জন্য চাপ দেন। বাড়িতে এসে ঝামেলা করেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় ২১ মে যুবদল নেতা ফয়েজকে প্রধান আসামি করে মো.
আবদুল হালিমের প্রতিবেশী রবি আকতার জানান, রাতে কয়েকজন এসে গুলি ছুড়ে চলে যায়। শব্দ পেয়ে রাস্তায় বের হলে তাদের আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যায়িত করে গালাগাল করে ফয়েজ ও তাঁর লোকজন।
অভিযোগের বিষয়ে মো. ফয়েজ বলেন, ‘চাঁদাবাজির অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আবদুল হালিম আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর আলমগীর আলীর সহযোগী। তিনি মাদক কারবারে জড়িত। আওয়ামী লীগের দোসরকে এলাকা থেকে চলে যাওয়ার জন্য আমরা চাপ দিয়েছি।’
আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে আবদুল হালিম বলেন, ‘আমি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বিএনপি করার কারণে বিগত আওয়ামী লীগের আমলে আমার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়েছে। চাঁদা না দেওয়ায় যুবদল নেতা ফয়েজ এখন আমাকেই আওয়ামী লীগের দোসর বানাচ্ছেন। পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। ভয়ে আমরা ১৭ দিন ঘরে থেকে বের হতে পারছি না।’
রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, বাড়ি লক্ষ্য করে গুলির ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। তবে যুবদল নেতা ফয়েজের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। তদন্ত শেষে আমরা প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেব।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য বদল ন ত ব যবস য় আবদ ল হ ল ম য বদল ন ত আওয় ম ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না, মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, 'আমাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে একটা নেতিবাচক সংবাদ দেখলেই যাচাই-বাছাই না করে শেয়ার করে দেওয়া হয়। অত্যন্ত ভিত্তিহীন সংবাদও আমরা শেয়ার করে দেই।'
সিইসি বলেন, 'দয়া করে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না। এই মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন। তথ্যটা যেন আগে যাচাই করে তারপরে শেয়ার করেন।'
আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভুয়া সংবাদের প্রচার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপপ্রয়োগ রোধে করণীয় সম্পর্কে তিনি এসব কথা বলেন।
থানা আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের (৪র্থ ধাপ) সমাপনী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইসি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো সংবাদ দেখা মাত্রই নাগরিকদের যাচাইবাছাই করতে আহ্বান জানান সিইসি। নিশ্চিত হওয়ার আগে শেয়ার না করতে বলেন তিনি।
জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আনসার ভিডিপির ভূমিকাকে মূল শক্তি বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, 'এনারাই অধিক সংখ্যায় নিয়োজিত থাকেন। এবং আমাদের হিসেব করতে গেলে প্রথম এদেরকেই হিসেব করতে হয় যে, কতজন আনসার ভিডিপি সদস্য আমরা মোতায়েন করতে পারব। মূল কাজটা আঞ্জাম (সম্পাদন) দিতে হয় কিন্তু আনসার এবং ভিডিপির সদস্যদের।'
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। নির্বাচনকালীন জনগণের নিরাপত্তা, ভোট কেন্দ্রের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণে আনসার বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি। নির্বাচনে দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্বপালন করবেন বলেন মহাপরিচালক।
অনুষ্ঠানে মহড়ায় ঢাকা মহানগর আনসারের চারটি জোনের অধীন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩২০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য অংশ নেন। আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা টহল, দায়িত্ব বণ্টন ও জরুরি প্রতিক্রিয়া অনুশীলনে অংশ নেন।
মহড়ায় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া, ভোটারদের শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভোট প্রদানে সহায়তা, জাল ভোট প্রতিরোধ, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা এবং সেনা, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে দ্রুত সমন্বয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন জোনের অধিনায়ক এবং প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।