সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য লাবণ্য অ্যাওয়ার্ড পেলেন কণ্ঠশিল্পী ও ক্রীড়া সংগঠক এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন)।
একদিকে দেশের ক্রীড়াবান্ধব করপোরেট প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন; অন্যদিকে সংগীতের ভুবনে তার সরব ও সৃজনশীল উপস্থিতি প্রশংসিত হয়ে চলেছে। করপোরেট ও ক্রীড়াঙ্গনের পাশাপাশি সুরের জগতেও তিনি রেখে চলেছেন আলোকিত পদচিহ্ন।
সম্প্রতি রাজধানীর কচিকাচার মেলায় আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে ডনের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। ডনের পাশাপাশি দেশের জনপ্রিয় কয়েকজন অভিনয়শিল্পীও এই সম্মাননা পেয়েছেন।
আরো পড়ুন:
নাচে-গানে রং ছড়ালেন আদর-পূজা (ভিডিও)
বাপ্পা মজুমদারের বাসায় অগ্নিকাণ্ড
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান শেষে আয়োজন করা হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার। সেখানে নিজের মৌলিক গান পরিবেশন করে দর্শক-শ্রোতাদের হৃদয় জয় করেন ডন। তার কণ্ঠে প্রাণ পেয়েছে গান, আর শ্রোতাদের করতালিতে ধ্বনিত হয়েছে সম্মান ও ভালোবাসা।
পুরস্কারপ্রাপ্তির পর অনুভূতি প্রকাশ করে ডন বলেন, “এটাই আমার সংগীতজীবনের প্রথম পুরস্কার নয়; তবে লাবণ্য অ্যাওয়ার্ড আমার ভেতরে নতুন এক অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে। সংগীতের প্রতি ভালোবাসা আরো গভীর হলো। সামনে আরো মৌলিক গান উপহার দিতে চাই।”
সংগীতচর্চার পাশাপাশি যারা সমাজে নানাভাবে অবদান রাখছেন— ডন তাদের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
১০–১৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা পাবেন সরকারি কর্মচারীরা, প্রজ্ঞাপন জারি
সরকারি কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা নয়, ঘোষণা করা হয়েছে বিশেষ সুবিধা। সরকারের ঘোষণা অনুসারে, ১ জুলাই ২০২৫ তারিখ থেকে বেতন গ্রেডভেদে গ্রেড–১ ও তদূর্ধ্ব থেকে গ্রেড–৯ পর্যন্ত ১০ শতাংশ এবং গ্রেড–১০ থেকে গ্রেড–২০ পর্যন্ত ১৫ শতাংশ হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ দেওয়া হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, এই বিশেষ সুবিধা চাকরিরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১ হাজার টাকা ও পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০০ টাকা হবে।
জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত সরকারি–বেসামরিক, স্বশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো, ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও পুলিশ বাহিনীতে নিয়োজিত কর্মচারী ও পেনশনভোগীসহ (পুনঃস্থাপনকৃত) বিভিন্ন ব্যক্তির জন্য এই বিশেষ সুবিধা কার্যকর হবে।
গতকাল সোমবার ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা বৃদ্ধির প্রস্তাব করেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি গতকাল বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘২০১৫ সালের পর বেতনকাঠামো না হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি।’
দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি অ্যাকটিভলি কনসিডার করছি। একটা কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছি। তারা এটা নিয়ে কাজ করছে। মহার্ঘ ভাতা হওয়ার চান্স মোটামুটি। হয়তো একটু সময় লাগবে।’ শেষমেশ মহার্ঘ ভাতা নামে নয়, সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা নামে এই অতিরিক্ত ভাতা দেওয়া হচ্ছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা কর্মচারীরা পিআরএলে যাওয়ার আগপর্যন্ত সর্বশেষ প্রাপ্ত মূল বেতনের ভিত্তিতে বর্ণিত গ্রেডভিত্তিক হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ পাবেন। পেনশন পুনঃস্থাপনকৃত কর্মচারীরা সরকার থেকে পেনশন গ্রহণকারী কর্মচারীদের পেনশনের বিদ্যমান অংশের ওপর বর্ণিত গ্রেডভিত্তিক হারে বিশেষ সুবিধা পাবেন।
যেসব অবসর গ্রহণকারী কর্মচারী মোট পেনশনের ১০০ শতাংশ অর্থাৎ সম্পূর্ণ অংশ সমর্পণ করে এককালীন আনুতোষিক উত্তোলন করেছেন এবং এখনো পেনশন পুনঃস্থাপনের উপযুক্ত হননি, তাঁদের ক্ষেত্রে এ বিশেষ সুবিধা প্রযোজ্য হবে না। এ ছাড়া বিনা বেতনে ছুটিতে থাকা কর্মচারীরা এই বিশেষ সুবিধা পাবেন না।