ঝিনাইদহে মঞ্চ ভাসিয়ে বৃষ্টি, তবু থামেনি ‘ইত্যাদি’
Published: 26th, May 2025 GMT
ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ এবার ধারণ করা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত ঝিনাইদহ জেলায়। জেলার মহেশপুর উপজেলার দত্তনগরে অবস্থিত এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ কৃষি খামারের ফসলের মাঠের মাঝখানে, একটি বিশাল বটবৃক্ষ ঘিরে নির্মাণ করা হয় ইত্যাদির মঞ্চ। অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হবে ৩০ মে শুক্রবার রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর বাংলাদেশ টেলিভিশনে। ফাগুন অডিও ভিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানটি ঘিরে পুরো ঝিনাইদহে তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। ধারণস্থলকে ঘিরে বসে মেলা, হাজির হন হাজার হাজার দর্শক। অনেকে আসেন পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা ও যশোর থেকেও।
থাকছে মনির খানের গান। ফাগুন অডিও ভিশনের সৌজন্যে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে নতুন করে আসা ১৪ রোহিঙ্গা বিজিবির হেফাজতে
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে নতুন করে মিয়ানমার থেকে ২২ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছেন। এর মধ্যে ১৪ জনকে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে টেকনাফ বাসস্টেশন–সংলগ্ন আবু ছিদ্দিক মার্কেট এলাকা থেকে আটকের পর বিজিবির হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা সবাই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বুচিডং এলাকার লম্বাবিল গ্রামের মোহাম্মদ আমিন ও মোস্তফা কামালের পরিবারের সদস্য। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ২ জন নারী, ২ জন পুরুষ ও ১০ জন শিশু।
পরিবারের গৃহবধূ আমিনা খাতুন বলেন, ‘১৩ দিন আগে পাহাড়ে অবস্থানকালে একটি ছেলেসন্তানের জন্ম হয়। পরে দালালের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে নৌকায় করে টেকনাফে আসি।’
মোহাম্মদ আমিন ও মোস্তফা কামাল জানান, তাঁরা নৌকায় করে মিয়ানমার থেকে সেন্ট মার্টিনের কাছাকাছি এলাকা হয়ে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে টেকনাফ সদরের মহেশখালীয়াপাড়া উপকূলে ওঠেন। তাঁদের নৌকায় ২২ জন রোহিঙ্গা ছিলেন। এর মধ্যে অন্য ৮ জন একই এলাকার শফিউল্লাহ পরিবারের সদস্য। তাঁরা নৌকা থেকে নামার পরই অন্যত্র চলে যান।
বাকি ১৪ জন অটোরিকশায় করে টেকনাফ বাসস্টেশন এলাকায় এসে আশ্রয় নেন একটি মার্কেটের সামনে। সেখানে অবস্থানকালে একটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তাঁদের আটক করেন।
গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিষয়টি জানতে পেরে বিজিবিকে জানানো হয়। পরে বিজিবি ওই ১৪ রোহিঙ্গাকে হেফাজতে নেয়।
এ বিষয়ে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৪ রোহিঙ্গাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’