প্রথম আলো:

স্মার্ট রেফ্রিজারেটর বলতে কী বোঝায়?

তাহসিনুল হক: স্মার্ট রেফ্রিজারেটর এমন একটি আধুনিক রেফ্রিজারেটর, যা ইন্টারনেট, সেন্সর ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারে। এটি শুধু খাবার সংরক্ষণই নয়, বরং ব্যবহারের অভ্যাস বিশ্লেষণ, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণের সুবিধা দেয়।

প্রথম আলো:

দৈনন্দিন জীবনে কী ধরনের সুবিধা দেয় স্মার্ট রেফ্রিজারেটর?

তাহসিনুল হক: স্মার্ট রেফ্রিজারেটর ব্যবহারে যেমন সময় ও শ্রম বাঁচে, তেমনি খাবার দীর্ঘ সময় সতেজ থাকে। ফ্রিজের দরজা এক মিনিটের বেশি খোলা থাকলে সতর্কবার্তা আসে। বাইরে থেকেও ফ্রিজের কার্যক্রম মনিটর ও নিয়ন্ত্রণ করা যায়, যা কর্মজীবী মানুষের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।

প্রথম আলো:

সাধারণ রেফ্রিজারেটরের চেয়ে স্মার্ট রেফ্রিজারেটরের বিশেষত্ব কী?

তাহসিনুল হক: সাধারণ রেফ্রিজারেটরের তুলনায় স্মার্ট রেফ্রিজারেটরে অনেকগুলো বিশেষ ফিচার রয়েছে। যেমন স্মার্ট রেফ্রিজারেটরে রয়েছে আইওটি ও অ্যাপ কন্ট্রোল, এআই-বেজড তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে ও ইন্টারনেট ব্রাউজিং, এআই ডক্টর, ক্লাউড মনিটরিং ও দরজা খোলা থাকলে অ্যালার্ট সিস্টেমের মতো আধুনিক সব ফিচার। এমনকি স্মার্ট রেফ্রিজারেটরে দিনে কতবার দরজা খোলা হয়েছে, সেটিও জানা যায়।

প্রথম আলো:

বিদ্যুৎ খরচ কতটা সাশ্রয় হয়?

তাহসিনুল হক: স্মার্ট রেফ্রিজারেটরের অন্যতম বড় সুবিধা হলো বিদ্যুৎ সাশ্রয়। উন্নত ইনভার্টার প্রযুক্তি ও সেন্সর-নির্ভর কুলিং সিস্টেমের কারণে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ অপচয় কমে আসে।

প্রথম আলো:

স্বাস্থ্য সচেতনতার দিক থেকে এর গুরুত্ব কতটা?

তাহসিনুল হক: স্মার্ট রেফ্রিজারেটরে খাবারের ধরন অনুযায়ী সংরক্ষণের আলাদা কম্পার্টমেন্ট ও উপযুক্ত তাপমাত্রা নিশ্চিত করে। যেমন ওয়ালটনের ‘সিন্থোফ্রেশ’ প্রযুক্তি খাবারের গুণগত মান দীর্ঘদিন অটুট রাখে, যা স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

উদ্ভাবনী প্রযুক্তি দিয়ে ওয়ালটনের তৈরি স্মার্ট রেফ্রিজারেটর এখন ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম আল

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন আইফোন কেনার মতো টাকা আয় করতে যুক্তরাষ্ট্রে লাগবে ৫ দিন, বাংলাদেশে কত দিন

ছবি: অ্যাপল

সম্পর্কিত নিবন্ধ