ইন্টারনেট ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কল্যাণে বাড়ছে স্মার্ট রেফ্রিজারেটরের চাহিদা
Published: 26th, May 2025 GMT
প্রথম আলো:
স্মার্ট রেফ্রিজারেটর বলতে কী বোঝায়?
তাহসিনুল হক: স্মার্ট রেফ্রিজারেটর এমন একটি আধুনিক রেফ্রিজারেটর, যা ইন্টারনেট, সেন্সর ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারে। এটি শুধু খাবার সংরক্ষণই নয়, বরং ব্যবহারের অভ্যাস বিশ্লেষণ, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণের সুবিধা দেয়।
প্রথম আলো:দৈনন্দিন জীবনে কী ধরনের সুবিধা দেয় স্মার্ট রেফ্রিজারেটর?
তাহসিনুল হক: স্মার্ট রেফ্রিজারেটর ব্যবহারে যেমন সময় ও শ্রম বাঁচে, তেমনি খাবার দীর্ঘ সময় সতেজ থাকে। ফ্রিজের দরজা এক মিনিটের বেশি খোলা থাকলে সতর্কবার্তা আসে। বাইরে থেকেও ফ্রিজের কার্যক্রম মনিটর ও নিয়ন্ত্রণ করা যায়, যা কর্মজীবী মানুষের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।
প্রথম আলো:সাধারণ রেফ্রিজারেটরের চেয়ে স্মার্ট রেফ্রিজারেটরের বিশেষত্ব কী?
তাহসিনুল হক: সাধারণ রেফ্রিজারেটরের তুলনায় স্মার্ট রেফ্রিজারেটরে অনেকগুলো বিশেষ ফিচার রয়েছে। যেমন স্মার্ট রেফ্রিজারেটরে রয়েছে আইওটি ও অ্যাপ কন্ট্রোল, এআই-বেজড তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে ও ইন্টারনেট ব্রাউজিং, এআই ডক্টর, ক্লাউড মনিটরিং ও দরজা খোলা থাকলে অ্যালার্ট সিস্টেমের মতো আধুনিক সব ফিচার। এমনকি স্মার্ট রেফ্রিজারেটরে দিনে কতবার দরজা খোলা হয়েছে, সেটিও জানা যায়।
প্রথম আলো:বিদ্যুৎ খরচ কতটা সাশ্রয় হয়?
তাহসিনুল হক: স্মার্ট রেফ্রিজারেটরের অন্যতম বড় সুবিধা হলো বিদ্যুৎ সাশ্রয়। উন্নত ইনভার্টার প্রযুক্তি ও সেন্সর-নির্ভর কুলিং সিস্টেমের কারণে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ অপচয় কমে আসে।
প্রথম আলো:স্বাস্থ্য সচেতনতার দিক থেকে এর গুরুত্ব কতটা?
তাহসিনুল হক: স্মার্ট রেফ্রিজারেটরে খাবারের ধরন অনুযায়ী সংরক্ষণের আলাদা কম্পার্টমেন্ট ও উপযুক্ত তাপমাত্রা নিশ্চিত করে। যেমন ওয়ালটনের ‘সিন্থোফ্রেশ’ প্রযুক্তি খাবারের গুণগত মান দীর্ঘদিন অটুট রাখে, যা স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উদ্ভাবনী প্রযুক্তি দিয়ে ওয়ালটনের তৈরি স্মার্ট রেফ্রিজারেটর এখন ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম আল
এছাড়াও পড়ুন:
ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে
একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।
এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।
আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।
সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়