সিঙ্গাপুরে ওয়ালটনের কমার্শিয়াল এসি রপ্তানি শুরু
Published: 26th, May 2025 GMT
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুরে সর্বাধুনিক ও উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন চিলার টাইপ কমার্শিয়াল এসি রপ্তানি করছে গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন।
এর মধ্য দিয়ে উন্নত দেশটির বাজারে সম্প্রসারণ হবে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস। এটি শুধু বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের জন্যই এক বিরাট সুসংবাদ নয়, বিশ্ব দরবারে হাই-টেক পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সক্ষমতা প্রকাশের ক্ষেত্রেও এক বিরাট মাইলফলক।
সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসে সিঙ্গাপুরের এয়ার কন্ডিশনিং খাতের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান ‘ফ্লেয়ার এমঅ্যান্ডই প্রাইভেট লিমিটেড’ এর সঙ্গে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র এক ডিস্ট্রিবিউটরশিপ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর আওতায় সিঙ্গাপুরে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পরিবেশক হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে ফ্লেয়ার এমঅ্যান্ডই। এরই অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিক ধাপে ওয়ালটন থেকে উল্লেখযোগ্য অঙ্কের চিলার টাইপ কমার্শিয়াল এসি নিচ্ছে।
চুক্তিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্বাক্ষর করেন ফ্লেয়ার এমঅ্যান্ডই'র ম্যানেজিং ডিরেক্টর টে ডেজহান চার্লস এবং ওয়ালটন হাই-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) ও চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মো.
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মাহবুবুল আলম।
অনুষ্ঠানে ফ্লেয়ার এমঅ্যান্ডই'র ম্যানেজিং ডিরেক্টর টে ডেজহান চার্লস বলেন, “বাংলাদেশের টেক জায়ান্ট ওয়ালটনের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের এই যৌথ পথ চলা শুরুর মধ্য দিয়ে সিঙ্গাপুরের ক্রেতারা বাংলাদেশি পণ্যের উচ্চ গুণগতমান সম্পর্কে জানতে পারবেন। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের বাজারে ওয়ালটন ব্র্যান্ড শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।”
ওয়ালটন হাই-টেকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, “ফ্লেয়ার এমঅ্যান্ডই প্রাইভেট সিঙ্গাপুরের এয়ার কন্ডিশনিং খাতের স্বনামধন্য এক প্রতিষ্ঠান। তাদের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের বাজারে প্রবেশ করতে যাচ্ছে ওয়ালটনের চিলার এসি। এসব এসি তারা সিঙ্গাপুরের সুউচ্চ স্থাপনাগুলোর এয়ার কন্ডিশনিং এ ব্যবহার করবে। বিশেষ করে সিঙ্গাপুরের খ্যাতনামা মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ওয়ালটনের চিলার এসি স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা। এটা আমাদের জন্য খুবই আনন্দের সংবাদ। ওয়ালটন এবং ফ্লেয়ার এমঅ্যান্ডই’র পথচলা অনেক দীর্ঘায়িত হবে এবং সিঙ্গাপুরের বাজারে উভয় প্রতিষ্ঠানই অত্যন্ত সফল হবে বলে আমি দৃঢ় আশাবাদী।”
অনুষ্ঠানে ওয়ালটন এসির সিবিও মো. তানভীর রহমান জানান, আগে এক সময় সিঙ্গাপুর থেকে এসির বেসিক কাঁচামাল আমদানি করা হতো। এখন বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরের বাজারে এসি রপ্তানি করবে ওয়ালটন। এটা শুধু ওয়ালটনের জন্যই নয়, বাংলাদেশের জন্যও অত্যন্ত সম্মানের ও গর্বের বিষয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেকের এএমডি নজরুল ইসলাম সরকার ও মো. ইউসুফ আলী, চিফ মার্কেটিং অফিসার জোহেব আহমেদ, গ্লোবাল বিজনেস শাখার প্রধান আব্দুর রউফ প্রমুখ।
ঢাকা/সাহেল/সাইফ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
২২ অনাথ কাশ্মীরি শিশুর পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন রাহুল গান্ধী
অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানি গোলায় ভারত–নিয়ন্ত্রিত জম্মু–কাশ্মীরে যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারের ২২ অনাথ শিশুর লেখাপড়ার পুরো দায়িত্ব নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ওই শিশুরা পুঞ্চ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা।
স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে উঠে স্নাতক হওয়া পর্যন্ত ওই শিশুদের পড়াশোনার সব খরচ রাহুল গান্ধী বহন করবেন। সেই খরচের প্রথম কিস্তির টাকা বুধবার ওই পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন জম্মু–কাশ্মীরের কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কাররা।
পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছিল কয়েকজন জঙ্গি। সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন মোট ২৬ জন পর্যটক। প্রত্যাঘাতের জন্য ভারত শুরু করে অপারেশন সিঁদুর। চার দিনের সেই লড়াইয়ের সময় জম্মুর সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রবল গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান। সেই হামলায় মারা গিয়েছিলেন ২৭ জন গ্রামবাসী। আহত হয়েছিলেন ৭০ জনের বেশি। যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, ওই ২২ শিশু ওইসব পরিবারেরই সন্তান। তাদের কেউ বাবা, কেউ মা, কেউ–বা দুজনকেই হারিয়েছে। কারও পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
রাহুল গত মে মাসে ওইসব এলাকায় গিয়েছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। অনাথ শিশুদের স্কুলেও গিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন অনাথ শিশুদের তালিকা তৈরি করতে। সরকারি নথির সঙ্গে সেই নাম মিলিয়ে ২২ জনের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত হয়। পুঞ্চ জেলা সফরের সময় রাহুল তাঁর ইচ্ছার কথা জানিয়ে বলেছিলেন, ওই শিশুদের স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনার সব খরচ তিনি দেবেন।
পাকিস্তানের গোলার আঘাতে মারা গিয়েছিলেন ১২ বছরের দুই যমজ ভাই–বোন জাইন আলি ও উরবা ফতিমা। রাহুল তাঁদের স্কুলে গিয়েছিলেন। সেই স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁদের বলেছিলেন, তোমরা তোমাদের বন্ধুদের হারিয়েছ। সে জন্য তোমাদের মন খারাপ। ওই মৃত্যু আমাকেও দুঃখ দিয়েছে। তোমাদের দুঃখ আমি বুঝি। কিন্তু তোমাদের জন্য আমি গর্বিত। তোমরা ভয়কে জয় করেছ। রাহুল ওই শিশুদের বলেছিলেন, ভয়কে জয় করতে হবে। সুদিন আসবে। সব আবার স্বাভাবিক হবে।
ওই ২২ জনের জন্য বছরে কত খরচ হবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তা জানাননি।