দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুরে সর্বাধুনিক ও উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন চিলার টাইপ কমার্শিয়াল এসি রপ্তানি করছে গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন।

এর মধ্য দিয়ে উন্নত দেশটির বাজারে সম্প্রসারণ হবে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস। এটি শুধু বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের জন্যই এক বিরাট সুসংবাদ নয়, বিশ্ব দরবারে হাই-টেক পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সক্ষমতা প্রকাশের ক্ষেত্রেও এক বিরাট মাইলফলক। 

সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসে সিঙ্গাপুরের এয়ার কন্ডিশনিং খাতের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান ‘ফ্লেয়ার এমঅ্যান্ডই প্রাইভেট লিমিটেড’ এর সঙ্গে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র এক ডিস্ট্রিবিউটরশিপ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর আওতায় সিঙ্গাপুরে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পরিবেশক হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে ফ্লেয়ার এমঅ্যান্ডই। এরই অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিক ধাপে ওয়ালটন থেকে উল্লেখযোগ্য অঙ্কের চিলার টাইপ কমার্শিয়াল এসি নিচ্ছে।

চুক্তিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্বাক্ষর করেন ফ্লেয়ার এমঅ্যান্ডই'র ম্যানেজিং ডিরেক্টর টে ডেজহান চার্লস এবং ওয়ালটন হাই-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) ও চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মো.

জিয়াউল আলম, এফসিএ, এসিএ (আইসিএইডব্লিউ)।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মাহবুবুল আলম।

অনুষ্ঠানে ফ্লেয়ার এমঅ্যান্ডই'র ম্যানেজিং ডিরেক্টর টে ডেজহান চার্লস বলেন, “বাংলাদেশের টেক জায়ান্ট ওয়ালটনের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের এই যৌথ পথ চলা শুরুর মধ্য দিয়ে সিঙ্গাপুরের ক্রেতারা বাংলাদেশি পণ্যের উচ্চ গুণগতমান সম্পর্কে জানতে পারবেন। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের বাজারে ওয়ালটন ব্র্যান্ড শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।”

ওয়ালটন হাই-টেকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, “ফ্লেয়ার এমঅ্যান্ডই প্রাইভেট সিঙ্গাপুরের এয়ার কন্ডিশনিং খাতের স্বনামধন্য এক প্রতিষ্ঠান। তাদের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের বাজারে প্রবেশ করতে যাচ্ছে ওয়ালটনের চিলার এসি। এসব এসি তারা সিঙ্গাপুরের সুউচ্চ স্থাপনাগুলোর এয়ার কন্ডিশনিং এ ব্যবহার করবে। বিশেষ করে সিঙ্গাপুরের খ্যাতনামা মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ওয়ালটনের চিলার এসি স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা। এটা আমাদের জন্য খুবই আনন্দের সংবাদ। ওয়ালটন এবং ফ্লেয়ার এমঅ্যান্ডই’র পথচলা অনেক দীর্ঘায়িত হবে এবং সিঙ্গাপুরের বাজারে উভয় প্রতিষ্ঠানই অত্যন্ত সফল হবে বলে আমি দৃঢ় আশাবাদী।”

অনুষ্ঠানে ওয়ালটন এসির সিবিও মো. তানভীর রহমান জানান, আগে এক সময় সিঙ্গাপুর থেকে এসির বেসিক কাঁচামাল আমদানি করা হতো। এখন বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরের বাজারে এসি রপ্তানি করবে ওয়ালটন। এটা শুধু ওয়ালটনের জন্যই নয়, বাংলাদেশের জন্যও অত্যন্ত সম্মানের ও গর্বের বিষয়।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেকের এএমডি নজরুল ইসলাম সরকার ও মো. ইউসুফ আলী, চিফ মার্কেটিং অফিসার জোহেব আহমেদ, গ্লোবাল বিজনেস শাখার প্রধান আব্দুর রউফ প্রমুখ।

ঢাকা/সাহেল/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ঠিক কতটুকু ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলে কাপড় হবে পরিষ্কার, অপচয়ও কমবে

ডিটারজেন্ট কতটুকু ব্যবহার করবেন

গড়পড়তা ২–৩ কেজি কাপড়ের জন্য ২ টেবিল চামচের বেশি ডিটারজেন্ট লাগে না।

ডিটারজেন্টের মাপার ক্যাপ কখনো পূর্ণ করবেন না। অধিকাংশ সময় এত কাপড় একসঙ্গে ধোওয়া হয় না।

একটি মাত্র পোশাক ভিজিয়ে রাখতে চাইলে প্রতি গ্যালন (৩ দশমিক ৭৮ লিটার)

পানিতে ১ চা–চামচ ডিটারজেন্ট যথেষ্ট।

অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহারের লক্ষণ

কাপড়ে ডিটারজেন্টের আস্তর লেগে থাকবে।

কাপড় শক্ত, খসখসে বা আঠালো হয়ে যাবে।

রঙিন কাপড় ম্লান ও সাদা কাপড় ধূসর হয়ে যাবে।

ওয়াশিং মেশিন থেকে দুর্গন্ধ আসবে।

আরও পড়ুনধোয়ার পর কাপড়ের ক্ষতি হবে না, যদি মেনে চলেন এসব উপায়১৪ অক্টোবর ২০২৪কোন কোন বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে ডিটারজেন্টের পরিমাণ

কাপড়ের পরিমাণ ও ধরন: তোয়ালে, বিছানার চাদরের মতো ভারী কাপড়ের জন্য ডিটারজেন্ট একটু বেশি দরকার হয়।

কাপড় কতটা নোংরা: দাগযুক্ত কাপড়ে সামান্য বাড়তি ডিটারজেন্ট দিন।

পানির খরতা: খর পানিতে ডিটারজেন্ট বেশি লাগে, মৃদু পানিতে কম।

হাতে কাপড় ধোওয়ার সময়

ছোট বালতি (৩–৮ লিটার পানি): ১ চা–চামচ

মাঝারি বালতি (৯–১৪ লিটার পানি): ২ চা–চামচ

বড় বালতি (১৫ লিটারের বেশি পানি): ১ টেবিল চামচ

কাপড় দেওয়ার আগে পানিতে ডিটারজেন্ট ভালোভাবে গুলিয়ে নিন। তাতে অবশিষ্টাংশ কাপড়ে আটকে থাকবে না।আরও পড়ুনধোয়া কাপড় থেকেও দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে? জেনে রাখুন সমাধান০২ অক্টোবর ২০২৩কাপড়ের ধরন অনুযায়ী

সিল্ক ও পশমি কাপড়: ১/২–১ চা–চামচ (প্রতি ৩–৮ লিটার পানি)

সুতি ও সিনথেটিক কাপড়: ১ চা–চামচ (ময়লা বেশি হলে সামান্য বাড়ান)

খুব নোংরা কাপড়: আগে দাগ পরিষ্কার করে নিন, তারপর ১.৫ চা–চামচ পর্যন্ত ডিটারজেন্ট দিন।

দাগ দূর করার টিপস

কোনো দাগ সহজে না উঠলে তার ওপর সরাসরি সামান্য ডিটারজেন্ট লাগিয়ে আলতো করে ঘষুন।

পরে পানিতে ভিজিয়ে নিন।

এতে পুরো বালতিতে অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট দিতে হবে না।

পর্যাপ্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহার করছেন কি না বুঝবেন যেভাবে

কাপড় ধোয়ার পর সাবানের আস্তর বা গন্ধ থাকবে না।

কাপড় হবে নরম ও আরামদায়ক।

লন্ড্রি পড ব্যবহার করলে

ছোট লোড: ১ পড

মাঝারি লোড: ২ পড

বড় লোড: ৩ পড

সূত্র: গুড হাউসকিপিং

আরও পড়ুনবডি স্প্রে নাকি পারফিউম—কখন, কোথায়, কোনটা ব্যবহার করবেন২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ