বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের দুশ্চিন্তা বাড়ছে: অধীর চৌধুরী
Published: 27th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরি হলে পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়ায় ভারতেও তার প্রভাব পড়বে। এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় কংগ্রেসের বহরমপুরের সাবেক সংসদ সদস্য তথা ভারতের সাবেক রেলপ্রতিমন্ত্রী অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
সোমবার (২৬ মে) দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্য করেন লোকসভার সাবেক এই বিরোধী দলনেতা।
সোমবার বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। যেহেতু বাংলাদেশ আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ, সেখানে অস্থিরতা হলে আমাদের এখানে তার প্রভাব পড়বে। তাই আমাদের দুশ্চিন্তা বাড়ছে।”
আরো পড়ুন:
ভারতের উপকূলে বিপজ্জনক পণ্যবাহী জাহাজডুবি, সতর্কতা জারি
বাংলাদেশের মানচিত্র শেয়ার করে বিতর্কিত মন্তব্য আসামের মুখ্যমন্ত্রীর
বাংলাদেশ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে এর আগেও সংবাদের শিরোনামে এসেছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি দাবি করেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে ভারত-বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের জেলা মালদা, মুর্শিদাবাদ, দুই দিনাজপুরের অধিকাংশ এলাকা ওপার বাংলার অংশ বলে দাবি করবে বাংলাদেশ।
তার ওই বিতর্কিত মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। অধীর রঞ্জন চৌধুরী ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের কাছে দাবি করেছিলেন, এই বিষয় নিয়ে ঠুনকো রাজনীতি করবেন না। এটি ক্যানসারের মতো, পদক্ষেপ না নিলে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়বে।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় হামাসের প্রধান মোহাম্মদ সিনওয়ারকে হত্যার দাবি নেতানিয়াহুর
গাজা হামাসের প্রধান মোহাম্মদ সিনওয়ার নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বুধবার ইসরায়েলের পার্লামেন্টে (নেসেট) এ কথা বলেন তিনি। তবে সিনওয়ারের মৃত্যু নিয়ে হামাস তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানায়নি।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনাকারী ও হামাসের সাবেক প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছোট ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ার। ২০২৪ সালের অক্টোবরে গাজার রাফা এলাকায় ইয়াহিয়া সিনওয়ারও ইসরায়েলি সেনাদের হাতে প্রাণ হারান। তাঁর মৃত্যুর পর মোহাম্মদ সিনওয়ার গাজায় হামাসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন।
মোহাম্মদ সিনওয়ারের অবস্থান নিশানা করে চলতি মাসে দক্ষিণ গাজার একটি হাসপাতালে হামলা চালায় ইসরায়েল। গত ২১ মে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, খুব সম্ভবত মোহাম্মদ সিনওয়ার নিহত হয়েছেন। বুধবার নেসেটে নেতানিয়াহু বলেন, মোহাম্মদ সিনওয়ারকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রায় ২০ মাসে ইসরায়েলি সেনাদের হাতে নিহত হামাস নেতাদের নামও তুলে ধরেন তিনি।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘গত দুই দিনে আমরা হামাসের পুরোপুরি পরাজয়ের দিকে একটি নাটকীয় মোড় দেখতে পেয়েছি।’ ইসরায়েল এখন গাজায় ‘খাদ্য বিতরণের নিয়ন্ত্রণও নিচ্ছে’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। এখানে তিনি গাজায় নতুন ত্রাণ সহায়তা বিতরণ ব্যবস্থার কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত একটি সংগঠন তা পরিচালনা করছে।
নেতানিয়াহুর এই ঘোষণা এমন এক সময় এসেছে যখন ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা তীব্রতর করেছে। চলতি বছরের শুরুতে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ১৮ মার্চ থেকে উপত্যকাটিতে হামলা জোরদার করে ইসরায়েল। ইসরায়েল বলেছে, হামাসের শাসন ও সামরিক ক্ষমতা ধ্বংস করা এবং গাজায় বন্দী থাকা আটকদের মুক্ত করাই তাদের লক্ষ্য।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্ব ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। সেদিন ২৫০ এরও বেশি মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান হামাস যোদ্ধারা।
হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গাজায় পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, উপত্যকাটিতে ৫৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ইসরায়েলে হামলার মুখে ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি স্থানচ্যুত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, নিহতদের অধিকাংশই নিরীহ নাগরিক। কতজন যোদ্ধা মারা গেছে, সে বিষয়ে তারা কোনো তথ্য দেননি। ইসরায়েলের দাবি, তারা লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। কিন্তু তারা এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।