সচিবালয়ে আন্দোলনরত কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে সরকার
Published: 27th, May 2025 GMT
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। এই উত্তাল পরিস্থিতিতে সরকার আজ মঙ্গলবার দুপুরে আন্দোলনরত কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে। একইসঙ্গে অধ্যাদেশটি পর্যালোচনার জন্য ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহেরকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হবে। কমিটিতে সরকারের সাতজন গুরুত্বপূর্ণ সচিব এবং আন্দোলনরত কর্মচারীদের পক্ষ থেকে তিনজন প্রতিনিধি রাখা হবে।
সকালে সচিবালয়ে এক জরুরি বৈঠক করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, যেখানে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকেই অধ্যাদেশটি পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সূত্র জানায়, সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আলোচনার মাধ্যমে একটি সমঝোতার পথ খুঁজে বের করতে চাচ্ছে।
এদিকে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ আজ দুপুর আড়াইটায় আন্দোলনরত কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বৈঠকে আরও সাতজন সচিবের উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি মো.
অন্যদিকে সংযুক্ত পরিষদের আরেক অংশের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর বলেন, ‘‘যদি আলোচনায় কোনো ইতিবাচক অগ্রগতি হয়, তাহলে আমরা আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে পারি।’’
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সচিবালয়ের সব সংগঠন একত্রিত হয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। ‘অধ্যাদেশ বাতিল করো’, ‘সরকারি কর্মচারীদের অপমান চলবে না’ স্লোগানে মুখর ছিল সচিবালয় এলাকা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সচিবালয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
সচিবালয়ে প্রবেশে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও, দুপুর ১টা পর্যন্ত সাংবাদিকরাও ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি। যদিও সাংবাদিক প্রবেশে আনুষ্ঠানিক কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না।
ঢাকা/এএএম//
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মন ত র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ব ইজতেমা মার্চে
প্রতিবছর জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হলেও এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে মার্চ মাসে করা হবে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ এ তথ্য জানিয়েছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ বা শুরায়ী নেজামের শীর্ষ নেতা মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারি।
আরো পড়ুন:
শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর ইজতেমা
দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিগত বছরগুলোতে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা হলেও আগামী বছর এক পর্বে হবে। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী বা সাদপন্থিদের ইজতেমা আয়োজনের সুযোগ থাকবে না।
মুফতি কেফায়েতুল্লাহ বলেছেন, “তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ তাবলিগি এ মেহনতকে দ্বীনি মেহনত হিসেবে বিশ্বাস করে। দ্বীনি কাজের অংশ হিসেবে বর্তমান সরকারের অনুরোধ শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করে আমরা আগামী বিশ্ব ইজতেমা মার্চে আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, এ সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে সরকারের প্রতি সহযোগিতার শামিল।”
বিশ্ব ইজতেমা সাদপন্থিরা আয়োজন করতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “সরকারের কাছে তারা লিখিত দিয়ে গতবার শেষবারের মতো ইজতেমার আয়োজন করেছিল। সেক্ষেত্রে তাদের আর ইজতেমা করার সুযোগ নেই।”
বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তিনটি অনুরোধ তুলে ধরা হয়।
১. আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের আগেই ইজতেমার দিন-তারিখ ঘোষণা এবং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে অবহিত করা।
২. ইজতেমা যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানকে অস্থায়ীভাবে কেপিআই (কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন) ঘোষণা।
৩. ইজতেমায় আসা বিদেশি অতিথিদের সময়মতো উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভিসা সহজীকরণ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা।
ঢাকা/রায়হান/রফিক