রিয়াল মাদ্রিদ মানেই রাজকীয় ঐতিহ্য। আর সেই ঐতিহ্যের অন্যতম প্রতীক ১০ নম্বর জার্সি। সেই জার্সিই এবার কাঁধে তুলে নিচ্ছেন আধুনিক ফুটবলের বিস্ফোরক প্রতিভা কিলিয়ান এমবাপ্পে।
২০২৪ সালের গ্রীষ্মে প্যারিস ছাড়ার পর বার্নাব্যুতে পা রাখেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড। করিম বেনজেমার বিদায়ের পর তার ৯ নম্বর জার্সিতে রিয়াল ক্যারিয়ার শুরু করলেও নতুন মৌসুমে এক ঐতিহাসিক বাঁক নিচ্ছেন এমবাপ্পে। তিনি পরবেন ১০ নম্বর জার্সি, যা এতদিন ধরে অলংকৃত করে আসছিলেন লুকা মদরিচ।
এক যুগের বেশি সময় ধরে রিয়ালের মধ্যমাঠ শাসন করেছেন মদরিচ। তার বিদায়ে ফাঁকা হওয়া এই জার্সির দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন গোলমেশিন এমবাপ্পে। যিনি গত মৌসুমে ৪৩ গোল করে জিতে নিয়েছেন ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুটসহ লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতার সম্মান।
আরো পড়ুন:
আলোনসোর প্রত্যাবর্তন
খেলোয়াড় থেকে কিংবদন্তি কোচ হয়ে রিয়ালের ডাগআউটে
বিদায়ী রাতে নতুন যুগের ইঙ্গিত রিয়ালের
রিয়াল মাদ্রিদের ১০ নম্বর জার্সি কেবল একটি সংখ্যা নয়; এটি ফিগো, সিডর্ফ, ওজিল, লাউড্রুপ ও মদরিচের মতো কিংবদন্তিদের ছোঁয়া পাওয়া এক গর্বের প্রতীক। এল চিরিনগুইতো রিপোর্ট করেছে, এই মর্যাদাপূর্ণ নম্বরটি এমবাপ্পেকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত হয়েছে ক্লাব ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে।
যদিও রিয়ালে আসার শুরুটা চ্যালেঞ্জিং ছিল এমবাপ্পের জন্য। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের ছায়া অতিক্রম করে গেছেন তিনি। তবে উয়েফা সুপার কাপ ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ ছাড়া বড় কোনো টুর্নামেন্ট জিততে না পারার হতাশাও ছিল। তাই ২০২৫-২৬ মৌসুমে নতুন নম্বরের সঙ্গে নতুন রূপে, আরও পরিণত এক এমবাপ্পেকে দেখার অপেক্ষায় মাদ্রিদিস্তারা।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ক ল য় ন এমব প প এমব প প
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে ঢাকায় ভূমিকম্প অনুভূত
ভারতের মণিপুর রাজ্যে ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। এর প্রভাবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা ২৪মিনিটে এ কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেট থেকে ২১৭ কিলোমিটার দূরে ভারতের মনিপুর রাজ্যে। ভূমিকম্প নিয়ে অনেককে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিতে দেখা যায়।
ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরিবিষয়ক ওয়েবসাইট ভলকানো ডিসকভারি জানিয়েছে, ভারতের মণিপুর রাজ্যের ইম্ফলের ৩৯ কিলোমিটার (২৪ মাইল) দূরে ৫ দশমিক ২ মাত্রায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ৪৭ কিলোমিটার (২৯ মাইল) অগভীর, যার কারণে কম্পন বিস্তৃত এলাকাজুড়ে জোরালোভাবে অনুভূত হয়।
ওয়েবসাইটটি আরও জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল অগভীর হওয়ায় একই মাত্রার গভীর ভূমিকম্পের চেয়ে ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি এর প্রভাব বেশি ছিল।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ৩টা ২মিনিটে ৩ দশমিক ৪ মাত্রার একটি ভূকম্পন অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেট থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দূরে মায়ানমারের চিন হাখা অঞ্চলে।