নির্বাচন বিলম্বিত করার জন্য কিছু দৃশ্যপট তৈরি করা হচ্ছে: খন্দকার মোশাররফ
Published: 27th, May 2025 GMT
জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত করার জন্য কিছু দৃশ্যপট তৈরি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘একটা অসিলা হলো, (আওয়ামী লীগের) বিচার শেষ করতে হবে। বিচার তো আমরাও চাই। এই আওয়ামী লীগ স্বৈরাচার সরকারের সময়ে আমাদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার জন্য এমন কিছু নেই, যা তারা করেনি। এর পরও কেন প্রশ্ন আসে, আমরা তাদের বিচার চাইব না?’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।
স্বাধীন বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিচার হতে হবে বলে উল্লেখ করেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্বাধীন বিচার চাইব, আবার নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বিচার শেষ করার কথা বলব—দুটি তো সাংঘর্ষিক। সে জন্য আমরা বলছি, সংস্কার, নির্বাচন এবং বিচারের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ আলাদা। তিনটি কাজই একসঙ্গে চলতে পারে এবং চলা উচিত।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের নেতাদের বৈঠকের পরও সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচনের সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসায় হতাশা প্রকাশ করেন বিএনপির নেতারা। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ডিসেম্বরের মধ্যে একটি জাতীয় সংসদ গঠনের জন্য অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণার দাবি জানান তাঁরা।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি তুলে ধরে বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘সরকারের কাছে নির্বাচন বিষয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আশা করেছিলাম। সেটি হয়নি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর মাস উপযুক্ত সময়, এখনো সেই কথার ওপরই আছি।’এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ডিসেম্বরের পরে ফেব্রুয়ারিতে রোজা চলে আসবে। এরপর আসবে বর্ষা। এসএসসি ও এইচএসসির মতো বড় পাবলিক পরীক্ষাগুলো আছে। সে জন্য সেটি নির্বাচনের উপযুক্ত সময় নয়।
বাধ্যবাধকতা থাকায় একটি নির্বাচন জুনে হলেও বাকি সব নির্বাচন ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় দ্রুত নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ না এলে বিএনপির পক্ষে এই সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে সতর্ক করা হয়। একই সঙ্গে দলটি বলে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের পর উপদেষ্টা পরিষদের এক বিবৃতিতে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, তা অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর। মূলত সরকার পরিচালনায় নিরপেক্ষতার ঘাটতি ও দুর্বলতা থাকায় জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ ও মেজর (অব.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড স ম বর সরক র র ব এনপ র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম
উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।
এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকা/রায়হান/রফিক