গাইতে গাইতে মঞ্চে হঠাৎ পড়ে গেলেন শাকিরা
Published: 27th, May 2025 GMT
হাজার হাজার দর্শকদের সামনে লাইভ পারফরম্যান্স করাটা যে কতটা শক্ত ব্যাপার, তা একমাত্র শিল্পীরাই জানেন। সামান্য গাফিলতিও এক এক সময় বিরাট আকার ধারণ করে। শারীরিক বা মানসিক সমস্যাকে অতিক্রম করেও পেশাদারিত্বের পরিচয় দিতে হয় শিল্পীদের। এবার তেমনই একটি ঘটনা ঘটে গেল কলম্বিয়ান পপস্টার শাকিরার সঙ্গে।
এই মুহূর্তে নিজের গানে সারাবিশ্বকে মাতাতে বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়েছেন পপস্টার শাকিরা। কনসার্টের নাম লাস্ট মুহেরেস ইয়া নো লোরান। বাংলায় যার অর্থ, মেয়েরা আর কাঁদবে না। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই কনসার্টে ভিড় করছেন গায়িকার গান শোনার জন্য।
সম্প্রতি কানাডার মন্ট্রিলে এ অনুষ্ঠান চলাকালেই ঘটে যায় একটি দুর্ঘটনা। গান গাইতে গাইতে আচমকাই মাটিতে পড়ে যান শাকিরা। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার। গায়িকাকে স্টেজের মধ্যে পড়ে যেতে দেখে যখন উপস্থিত লাখো দর্শক চিন্তিত, ঠিক তখনই সবাইকে অবাক করে দিয়ে ফের মঞ্চে উঠে দাঁড়ায় শাকিরা। শুধু তাই নয়, অবলীলায় আবার নাচ করতে করতে গান ধরেন তিনি।
কানাডায় চলতে থাকা অনুষ্ঠানে আচমকা ঘটে যাওয়া এ দুর্ঘটনায় অনুরাগীরা প্রাথমিকভাবে শাকিরাকে নিয়ে চিন্তিত হলেও যেভাবে আবার নিজেকে সামলে নেন শাকিরা, তা দেখে সবার মুখে একটাই কথা, এভাবেও ফিরে আসা যায়। এটাকেই বোধহয় পেশাদারিত্ব বলে।
শাকিরার পারফরম্যান্সের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শাকিরার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন আপামর জনগণ। কেউ কেউ লেখেন, ‘আপনি সত্যি রানী’। কেউ কেউ আবার গায়িকার পেশাদারিত্বের প্রশংসা করে বলেন, ‘অসামান্য পেশাদারিত্বের চূড়ান্ত নিদর্শন দেখালেন আপনি’।
তবে যতই পেশাদারিত্ব দেখান না কেন, গায়িকা আচমকা মঞ্চে পড়ে গিয়ে তিনি যে ভালোই আঘাত পেয়েছেন, সেটা ভিডিও দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। ভিডিও দেখে অনেকেই তাই শাকিরার সুস্থতা কামনা করেও কমেন্ট করেছেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আমাদের কোনো আচরণে, পারফরমেন্সে কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা করে দেবেন: জামায়াতের আমির
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘দল হিসেবে দাবি করি না, আমরা ভুলের ঊর্ধ্বে। প্রতিটি কর্মী বা দলের কারণে যে যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সবার কাছে বিনা শর্তে মাফ চাই। আপনারা আমাদের ক্ষমা করে দেবেন। আমাদের কোনো আচরণে, কোনো পারফরমেন্সে কষ্ট পেয়ে থাকলেও ক্ষমা করে দেবেন।’
আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের আমির এসব কথা বলেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দলটি।
শফিকুর রহমান বলেন, এই রায়ে প্রমাণিত হয়েছে, সত্যকে চেপে রাখা যায় না, সত্য মেঘের আড়াল ভেদ করে আলোর ঝলক নিয়ে আসে।
জামায়াতের আমির বলেন, জাতির অনেকগুলো বার্নিং ইস্যু এখনো আনরিসলভড। এখানেও সব রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট অংশীজন জনগণের স্বার্থকে যেন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা কথা দিচ্ছি, আল্লাহর একান্ত ইচ্ছায়, দেশবাসীর সমর্থন পেয়ে দেশের সেবা করার দায়িত্ব পেলে প্রতিশোধের রাজনীতি ও বৈষম্যের রাজনীতির অবসান ঘটাব। সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করব।’
জামায়াত আমির বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে আমরা ভয়ংকর জুলুমের শিকার হয়েছি। আমাদের ১১ জন শীর্ষ নেতাকে মিথ্যা মামলায় সাজানো, পাতানো আদালত এবং মিথ্যা সাক্ষ্যের মাধ্যমে কার্যত জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে।’
শফিকুর রহমান বলেন, এটিএম আজহারের রায় সুবিচার হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ থেকে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এ মামলাগুলো পরিচালনা করতে গিয়ে সীমাহীন জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা তাঁর বইয়ে এটা স্বীকার করেছেন, কীভাবে বিচার বিভাগ ও সরকার মিলে বিচার নয়, বরং ঠান্ডা মাথায় খুন করার ছক আঁকা হয়েছে। একটি পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে, যেন কেউ প্রতিবাদ করতে না পারেন।
জামায়াত আমির বলেন, একেকটা রায়ের পর পরিবারের সদস্যদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। এতে পরিবারগুলো ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে গেছে।
শফিকুর রহমান বলেন, এই মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল কাস্টমারি ল’ কিংবা ‘ডমেস্টিক কাস্টমারি ল’ অনুসরণ করা হয়নি। সেদিন সংবিধান বা আইন কোনো বিষয় ছিল না। যাঁদের ইশারায় কোর্ট পরিচালনা হতো, তাঁদের ইচ্ছাই এখানে মুখ্য ছিলো। সেটি বৈধ হোক কিংবা অবৈধ।
জামায়াত আমির বলেন, ব্রিটেনের উচ্চ আদালত তাঁদের রায়ে বলেছেন, এই মামলাগুলো ছিল বিচারের নামে ‘জেনোসাইড অব দ্য জাস্টিস’। বিচারকে গণহত্যা করা হয়েছে। তাঁরা ‘কিলিং অব দ্য জাস্টিস’ বলেনি। কারণ, সিঙ্গেল কেস হলে কিলিং বলতেন। এখানে ছিল একাধিক কেস। বাংলাদেশের আদালত আজ তাঁদের রায়ে বলেছেন, ‘মিসকারেজ অব দ্য জাস্টিস’। এটা নেতৃত্ব গণহত্যা ছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো, দলকে নেতৃত্ব শূণ্য করা। তবে তাঁরা (জামায়াত) প্রতিশোধ নেননি, তাঁরা ন্যায়বিচার চেয়েছেন।