তিন সংগঠনের বিবৃতি: ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্যের’ ব্যানারে রাজশাহী-চট্টগ্রামে ছাত্রশিবির হামলা করেছে
Published: 28th, May 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের মশালমিছিল ও সমাবেশে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্যের’ ব্যানারে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে তিন সংগঠন।
পৃথক স্থানে হওয়া এসব হামলার ঘটনায় আজ বুধবার উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। বিবৃতিতে সংগঠনগুলোর নেতারা হামলার নিন্দা, যুদ্ধাপরাধী ও তাদের দল-গোষ্ঠীর বিচার দাবি করেছেন।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাসের প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের মশালমিছিলে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্যের ব্যানারে’ ছাত্রশিবিরের নেতা–কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের মিছিলে হামলায় অন্তত ১২ জন আহত হন। এ সময় ছাত্র জোটের ব্যানার কেড়ে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। সেখানেও ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্যর’ ব্যানারে এই হামলা চালানো হয়। এতে ছাত্রশিবিরের কর্মী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের নেতা–কর্মীদের দেখা গেছে।
আজ দেওয়া বিবৃতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট বলেছে, ছাত্রজোটের মশালমিছিল হামলার ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে। জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের খালাসের রায়ে দেশের মানুষ হতাশ ও বিক্ষুব্ধ হয়েছেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। বলা হয়, শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তা চাইলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেটা প্রত্যাখ্যান করে। বিবৃতিতে বাম জোট বলে, অন্তর্বর্তী সরকার শুরু থেকেই স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মদদ ও উসকানি দিয়ে আসছে।
ছাত্র জোটের ওপর হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। এই হামলাকে শিক্ষাঙ্গনে অগণতান্ত্রিক শক্তির পুনর্বাসন, সহিংস রাজনীতির বিস্তার ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চেতনার প্রকাশ বলে মনে করে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
ছাত্রজোটের ওপর হামলাকে মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, অবিলম্বে ধর্মান্ধ ও যুদ্ধাপরাধী চেতনার পুনর্বাসন বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুনচট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য’র হামলা, আহত ১২২ ঘণ্টা আগেগণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচির ব্যানার কেড়ে নিয়ে পোড়ানো হয়। আজ বিকেলে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গণত ন ত র ক ছ ত র জ ট র ব শ বব দ য
এছাড়াও পড়ুন:
‘রক্তের ওপর দাঁড়ানো সরকার আমাদের সঙ্গে বেইমানি করছে’
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম খালাস পাওয়ার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এই রায় দেওয়ার পর বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। সেখান থেকে একটি মিছিল নিয়ে কলাভবন হয়ে শাহবাগ প্রদক্ষিণ করে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তাঁরা।
এ সময় তাঁরা ‘ইন্টেরিম সরকার, গণহত্যার পাহারাদার’, ‘একাত্তরের শত্রু যারা, বাংলাদেশের শত্রু তারা’, ‘হাসিনা–আজহার, এই বাংলার গাদ্দার’, ‘জামায়াত–শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’, ‘মুক্তিযুদ্ধ হারেনি, হেরে গেছে হাসিনা’সহ নানা স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ মিছিলের পর সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকার বলেন, ‘আজ গণ–অভ্যুত্থানের ১০ মাস পরে দেখতে পেলাম একাত্তরের গণহত্যার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আলবদর কমান্ডার আজহার বেকসুর খালাস পেল। যার মাধ্যমে রক্তের ওপর দাঁড়ানো এই সরকার আমাদের সঙ্গে বেইমানি করছে।’
ছাত্র ইউনিয়নের এই নেতা বলেন, ‘এই সরকারের আমলে একের পর এক মব জাস্টিস, সন্ত্রাসী মুক্তি ও একাত্তরের গণহত্যাকারীদেরও মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। একাত্তরে যারা দালালি করেছে, বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছে, তাদের এ দেশে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।’
সরকারকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, ‘একজন মানবতাবিরোধী ও গণহত্যাকারীর সঙ্গে আপস করা যাবে না। যদি করেন, তাহলে আপনাদের অবস্থা পতিত হাসিনার মতো হবে।’
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম খালাস পাওয়ার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতারা। আজ মঙ্গলবার টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে