ট্রাম্প প্রশাসন থেকে পদত্যাগ করলেন ইলন মাস্ক
Published: 29th, May 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক।বুধবার (২৮ মে) পদত্যাগের ঘোষণা করেন তিনি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে স্বাক্ষরিত একটি বড় বিল নিয়ে মতবিরোধের পরপরই মাস্ক এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় বার হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করার পর ইলন মাস্ককে নিজের বিশেষ পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি প্রশাসনের ‘বিশেষ সরকারি কর্মচারী’ হিসাবে মাস্কের জন্য আলাদা দপ্তর ‘ডিওজিই’ তৈরি করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ৷
আরো পড়ুন:
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সীমা ঠিক করে দিলেন ট্রাম্প
ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার ‘বাকযুদ্ধ’
কিন্তু বুধবার ট্রাম্প প্রশাসন থেকে বেরিয়ে আসার কথা এক্স হ্যান্ডেলে ঘোষণা করে মাস্ক লিখেন, “বিশেষ সরকারি কর্মচারী হিসেবে আমার দায়িত্বের সময় শেষ হয়েছে। অপচয় কমানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।”
মাস্ক আরো যোগ করেন যে, “সরকার দক্ষতা বিভাগ (ডিওজিই) ভবিষ্যতে আরো শক্তিশালী হবে এবং এটি গোটা সরকারের কাজের পদ্ধতিতে পরিণত হবে।”
দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া এই প্রযুক্তি উদ্যোক্তা বলেন, ট্রাম্পের নতুন খরচ সংক্রান্ত বিলটি সরকারের ঘাটতি আরো বাড়িয়ে দেবে এবং ডিওজিই-এর কাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, ইতোমধ্যে হাজার হাজার মানুষকে ছাঁটাই করা হয়েছে।
মার্কিন প্রশাসন থেকে পদত্যাগ করে মাস্ক তার স্পেসএক্স এবং টেসলা ব্যবসার দিকে নজর দিবেন। এর আগে ট্রাম্পের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। মাস্ক অভিযোগ করেছেন যে, প্রশাসনের অসন্তুষ্টির জন্য ডিওজিই-কে ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হয়েছে।
সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেন, “আমি বিশাল খরচ বিল দেখে হতাশ হয়েছি। সত্যি বলতে, যা শুধু বাজেট ঘাটতিই বাড়ায় না বরং তা ডিওজিই টিমের কাজকে দুর্বল করে তোলে।”
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র য গ কর সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পবিরোধী স্লোগান দিয়ে উড়োজাহাজে গ্রেপ্তার ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পতন চেয়ে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাজ্যে ৪১ বছর বয়সী এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত রোববার লন্ডনের লুটন বিমানবন্দর থেকে গ্লাসগোগামী একটি ফ্লাইটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ব্যক্তির নাম অভয় নায়েক। তিনি লন্ডনের কাছে বেডফোর্ডশায়ারের লুটন শহরের বাসিন্দা।
অভয় নায়েক ইজিজেট ফ্লাইটে হামলা ও যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলার মতো আচরণ করেছেন। তিনি উড়োজাহাজে বোমা ফাটানোর হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি মাঝ আকাশে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় স্লোগান দিয়ে চিৎকার করেছিলেন, যা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।
ওই ঘটনার একটি ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, অভয় নায়েক স্লোগান দিচ্ছেন, ‘আমেরিকার পতন হোক’, ‘ট্রাম্পের পতন হোক’। এরপরই তিনি ‘আল্লাহু আকবর’ (যার অর্থ ‘আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ’) বলে স্লোগান দেন। পরে দুজন ব্যক্তি তাঁকে কাবু করে উড়োজাহাজের মেঝেতে ফেলে দেন।
ওই ব্যক্তির নাম অভয় নায়েক। তিনি কোন ধর্মের অনুসারী, সে ব্যাপারে তাৎক্ষিণক কিছু জানা যায়নি।
ওই ব্যক্তির এমন আচরণের পর পাইলটরা বাধ্য হয়ে গ্লাসগোতে জরুরি অবতরণ করেন। সেখানেই স্কটিশ পুলিশ এসে অভয় নায়েককে গ্রেপ্তার করে।
স্কটল্যান্ডের পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গত রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে গ্লাসগোতে পৌঁছানো ইজিজেটের একটি ফ্লাইটে এক ব্যক্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা মনে করি, ঘটনাটি এককভাবে ওই ব্যক্তির, অন্য কেউ জড়িত নন। যেসব ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়েছে, সেগুলো সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখছেন।’
উড়োজাহাজ অবতরণের পরই অভয় নায়েককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ ও যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।
ইজিজেট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘বেপরোয়া আচরণের কারণে একজন যাত্রীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে তদন্তে সহযোগিতা করছি।’
পাইসলি শেরিফ আদালতে হাজিরার সময় অভয় নায়েক কোনো বক্তব্য দেননি। তাঁকে বিচারিক হেফাজতে পাঠানো হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে তাঁকে আবার আদালতে হাজির করা হবে।