বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে পটুয়াখালী কুয়াকাটায় মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। অনবরত বৃষ্টির কারণে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা হোটেলে আটকা পড়েছেন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ভারী বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে সৈকতে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে সমুদ্র তটে। এ কারণে অনেকটা পর্যটক শূন্য রয়েছে কুয়াকাটা সৈকত। খাবার হোটেলসহ অধিকাংশ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ  রয়েছে। তাই পর্যটকরা হোটেলে অবস্থান করছেন। 

বুধবার সকাল ৯ টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত কুয়াকাটা কলাপাড়ায় ১১৪.

৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। 

এদিকে অনেক খাবার হোটেল বন্ধ ও বারবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে অনেক পর্যটকই বিরক্ত। 

ঢাকার মিরপুর থেকে থেকে আসা পর্যটক মোসলেম উদ্দীন বলেন,  ‘‘আমরা চার বন্ধু কুয়াকাটায় বেড়াতে এসেছি। বৃষ্টির কারণে বারবার বিদ্যুৎ যাচ্ছে। এছাড়া গতকাল রাতে যে হোটেলে খাবার খেয়েছি সকাল থেকে সে হোটেল বন্ধ। অন্য হোটেলে গিয়ে নাস্তা সারতে হয়েছে। আবার সৈকতের আবহাওয়া বিক্ষুব্ধ। এ অবস্থায় আমাদের ট্যুরের পরিকল্পনাও ভেস্তে গেছে। বৈরী আবহাওয়ায় দিনের বেলায় কিছুটা চলাচল করতে পারলেও রাতে তা মোটেই সম্ভব নয়।’’ 

পিরোজপুর থেকে আসা পর্যটক ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘‘কুয়াকাটায় সমুদ্রের ঢেউয়ে সাঁতার কাটতে এবং সন্ধ্যা পরবর্তী সময়ে বিচে বসে ফিস ফ্রাই খাওয়ার জন্য এসেছি। কিন্তু অতিবৃষ্টির কারণে হোটেল থেকে বের হতেই পারছিনা। আমাদের ট্যুরে আসার আনন্দটাই মাটি হয়ে গেছে।’’  

হোটেল ফ্রেন্ড পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ সুমন বলেন, ‘‘বর্তমানে কুয়াকাটায় পর্যটকের তেমন বেশি চাপ নাই। আর যারা রয়েছেন এই মুহূর্তে তারা অতিবৃষ্টির কারণে হোটেলে অবস্থান করছেন।’’   

টুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের পুলিশ পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘‘বৈরী আবহাওয়ার কারণে কুয়াকাটায় পর্যটকদের উপস্থিতি কিছুটা কম এবং যারাও রয়েছেন তারাও হোটেলে অবস্থান নিয়ে আছেন। তবে আমাদের টিম মাঠে কাজ করছে।’’  

ঢাকা/ইমরান/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’

জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত ১১ দলের ১১টি নতুন প্রযোজনা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’। জাতীয় নাট্যশালায় গত ৩১ জুলাই শুরু হওয়া এই নাট্যোৎসব চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এ উৎসবে নাট্যরূপে উঠে আসছে ইতিহাস, আন্দোলন ও সময়ের গল্প।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন গতকাল শুক্রবার জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় ‘শুভঙ্কর হাত ধরতে চেয়েছিল’। তীরন্দাজ রেপার্টরি প্রযোজিত নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় দীপক সুমন। গতকালই ছিল এ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মঞ্চস্থ নতুন এ নাটক নিয়ে আলোচনা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে উল্লেখযোগ্য দর্শকের উপস্থিতি ছিল। দর্শকদের অনেকেই বলছেন, এই নাটকে যেন এক নাগরিকের নির্জনতা, এক প্রেমিকের না-পাওয়া, এক বিপ্লবীর বিষণ্নতা আর এক সাধারণ মানুষের অসহায়তা একসূত্রে বাঁধা পড়েছে।

জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে শুক্রবার ‘শুভঙ্কর হাত ধরতে চেয়েছিল’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন ছিল। ছবি:শিল্পকলা একাডেমি

সম্পর্কিত নিবন্ধ