গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের মিছিলে হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
Published: 29th, May 2025 GMT
চট্টগ্রাম নগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম সংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের মিছিলে হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এ সমাবেশ করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতা-কর্মীরা।
এর আগে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাসের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগরের প্রেসক্লাবের সামনে কর্মসূচি ঘোষণা করে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। কর্মসূচি শুরুর পরপর সেখানে মিছিল নিয়ে আসে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য’। এ সময় ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্যে’র লোকজন ছাত্র জোটের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এরপর ছাত্র জোটের নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিতে দিতে সরে যাওয়ার সময় বাগ্বিতণ্ডার পর আবার হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ১২ জন আহত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা দাবি করেন, জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের অনুসারীরা এ হামলা চালিয়েছে। এ সমাবেশে তাঁরা ‘নব্য ফ্যাসিবাদ, ধ্বংস হোক নিপাত যাক’, ‘৭১–এর শত্রু যারা, বাংলাদেশের শত্রু তারা’, ‘২৪–এর শত্রু যারা, বাংলাদেশের শত্রু তারা’ ইত্যাদি স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান নেন।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী শাখার সংগঠক আহমেদ মুগ্ধ বলেন, ‘গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে জামায়াত ও শিবিরের হামলা তাদের স্বৈরাচারী চরিত্রকে উন্মোচন করেছে। তারা আবারও প্রমাণ করেছে ছাত্রলীগ আর শিবির আলাদা কিছু নয়।’
গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি ধ্রুব বড়ুয়া বলেন, ‘জামায়াত ও শিবির মূলত তাদের সন্ত্রাসী চরিত্রকে উন্মোচন করেছে। সারা দেশের মানুষকে এদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে প্রতিহত করার জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানাই।’
বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠন ঈশা দের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (ইউপিডিএফ সমর্থিত) সাংগঠনিক সম্পাদক সুদর্শন চাকমা, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক মাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গণত ন ত র ক ছ ত র জ ট র শত র
এছাড়াও পড়ুন:
ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে
একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।
এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।
আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।
সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়