সেমিনারের সম্মানী দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ল
Published: 29th, May 2025 GMT
সরকারের পরিচালন বাজেটের আওতায় আয়োজিত সেমিনার বা কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক, সঞ্চালক, আলোচক ও অংশগ্রহণকারী সবার সম্মানী বাড়ানো হয়েছে। এ সম্মানী সর্বোচ্চ এক হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে গত বুধবার অফিস আদেশ জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।
সেমিনার বা কর্মশালার খাতভিত্তিক সম্মানী হার পুনঃনির্ধারণ-সংক্রান্ত এ আদেশে বলা হয়, এখন থেকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপকের সম্মানী হবে সাড়ে চার হাজার টাকা। এতদিন যা ছিল সাড়ে ৩ হাজার টাকা। এছাড়া সেমিনার বা কর্মশালার সঞ্চালকের সম্মানীও এক হাজার টাকা বাড়িয়ে চার হাজার করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, একটি সেমিনার বা কর্মশালায় সর্বোচ্চ তিনজনকে আলোকের সম্মানী প্রদান করা যাবে। আলোচকের সম্মানী দেড় হাজার টাকা বাড়িয়ে চার হাজার টাকা করা হয়। এছাড়া সেমিনার বা কর্মশালায় সহায়ক তিন কর্মচারীকে দুই হাজার টাকা করে সম্মানী দেওয়া যাবে। আগে যা ছিল দেড় হাজার টাকা। এছাড়াও র্যাপোটিয়ারের সম্মানী ৫০০ টাকা বাড়িয়ে আড়াই হাজারে উন্নীত করা হয়। একটি সেমিনারে সর্বোচ্চ দুইজন এ সম্মানী দেওয়া যাবে। সেমিনারে অংশগ্রহণকারীর সম্মানীও এক হাজার টাকা করে বাড়িয়ে দুই হাজার টাকা করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়।
পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল।
ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র্যাঙ্কিং ৫৫)। র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না।
প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ।
ঢাকা/ইয়াসিন