প্রথমে নৃশংসভাবে বাবা-মাকে খুন। এর পরে মসজিদে গিয়ে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপ। তাতে আহত হয় চারজন। এই ঘটনা রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। 

বুধবার ভোরে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমানের মেমারি শহরের কাশিয়ারা কাজীপাড়া এলাকায় জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। 

খুনের শিকার দম্পতির নাম নাম মুস্তাফিজুর রহমান (৬৬) ও মমতাজ পারভিন (৫৬)। 

পুলিশ জানিয়েছে, বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকতেন হুমায়ূন কবীর। বাবা-মাকে খুন করে লাশ দুটি সে বাড়ির বাইরে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন সন্ধ্যায় হুমায়ূন কবীর উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ থানার মতিগঞ্জ এলাকায় একটি মসজিদের প্রবেশ করে বেশ কয়েকজনের ওপর ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এ ঘটনায় কমপক্ষে চারজন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের দ্রুত উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বনগাঁ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় হুমায়ুনকে। পরে তাকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। পুলিশের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ড ও হামলার তথ্য স্বীকার করেছে সে। তবে কী কারণে সে খুন করেছে তা এখনো জানা যায়নি।

হামলাকারীকে আটকের খবর পেয়ে ওই মসজিদ থেকে  ১০০ থেকে ১৫০ মানুষ থানায় আসে। তারা অভিযুক্ত ব্যক্তি হুমায়ূন কবীরকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায়। পুলিশ অস্বীকৃতি জানালে তারা থানায় ভাঙচুর চালায়। এই ঘটনায় ১০ জন হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রাতে বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানান, ৩৫ বছর বয়সী হুমায়ুনের বাড়ি বর্ধমানের মেমারি এলাকায়। সকালে সে তার বাবা ও মাকে খুন করেছে। 
 

সুচরিতা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মসজ দ

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ে বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বরের বাবার মৃত্যু

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বিয়ে বাড়ির আলোকসজ্জায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন বরের বাবা বিষু পাল (৬৫)। বুধবার (৩০ জুলাই) উপজেলার গুনই মদনমুরত গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

স্থানীয়রা জানান, বিষু পালের বড় ছেলে বিজয় পালের বিয়ে ঠিক হয় ৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার)। সেই উপলক্ষে বাড়িতে আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়। বাড়ির একটি গ্রিলে অস্থায়ী বিদ্যুৎ লাইনের তার ঝুলছিল। যেখানে লিকেজ ছিল। সকালে অসাবধানতাবশত সেই গ্রিলে হাত দিলে বিষু পাল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্দার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

আরো পড়ুন:

কুড়িগ্রামে সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কৃষকের মৃত্যু

বানিয়াচং থানার এসআই সজিব ঘোষ জানান, ঘটনাটি মর্মান্তিক। বিয়ের আনন্দময় পরিবেশ হঠাৎ করে বিষাদে পরিণত হয়েছে। বিকেলে বিষু পালের পরিবারের সদস্যরা বিনা ময়নাতদন্তে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদরে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

ঢাকা/মামুন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ