Samakal:
2025-11-03@07:36:40 GMT

মানুষ কার কাছে আশ্রয় চাইবে

Published: 30th, May 2025 GMT

মানুষ কার কাছে আশ্রয় চাইবে

পুলিশকে কে না ভয় করে! বিগত দিনগুলোতে রাষ্ট্রকে বলা হতো পুলিশি রাষ্ট্র। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সেই পুলিশকে বিব্রত ও হতোদ্যম মনে হচ্ছিল। এখন মনে হয়, তার পুরাতন স্মার্টনেস ফিরে পেয়েছে। সম্প্রতি সংবাদপত্রে স্বল্পমাত্রায় হলেও ওই স্মার্টনেসের খবর দেখা গেছে। নারী নির্যাতন বৃদ্ধির প্রতিবাদমুখর একটি মিছিল যাচ্ছিল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে। পুলিশ বাধা দিয়েছে। বাধা দেবারই তো কথা। কিন্তু তার পরে যা করেছে; গণঅভ্যুত্থানের পরে তা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। সাদা পোশাক পরিহিত পুলিশ মিছিলকারীদের বেধড়ক প্রহার করেছে। কয়েকটি দৈনিকে ছাপা ছবিতে দেখা গেছে, উগ্রমূর্তি এক পুলিশ একটি মেয়ের চুল ধরে টানছে। এ রকম হৃদয়বিদারক ছবি আমরা আগেও দেখেছি। শেখ হাসিনার ১৫-১৬ বছরে অবশ্য রাজপথে নারীদের ওপর পুলিশের এ রকম আক্রমণ ঘন ঘন দেখা যায়নি। তার কারণ একটাই– মানুষ, বিশেষ করে মেয়েরা পথে নামতেই সাহস করত না। শেষ পর্যন্ত অবশ্য নেমেছিল গত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে। ছেলেরা নেমেছিল, মেয়েরাও নেমেছিল। মেয়েদের প্রতিবাদটাই ছিল বিশেষরূপে কার্যকর। 

বিগত সরকারের শাসনামলে একটা প্রশ্ন বেশ আলোচিত হতো। এর পরে কী? একটা বক্তব্য চালু ছিল যে, নৈরাজ্য দেখা দেবে। তেমনটা ঘটবার আগেই অবশ্য গণআন্দোলনের মুখে সরকারের পতন ঘটেছে। কিন্তু পতনের পরে অবস্থাটা এখন যে খুব শান্ত ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে, তা তো নয়। না-হওয়ার প্রধান কারণ এটা, অভ্যুত্থানের পেছনে কোনো সংগঠিত রাজনৈতিক দল ছিল না; কেউ নেতৃত্ব দেয়নি। স্বতঃস্ফূর্ততাই ছিল এর প্রধান বৈশিষ্ট্য। 

হাল ধরার তো দরকার ছিল। কিন্তু সেটা কারা ধরবেন, সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না। এর ফলে অনেক ক’টি মন্দ উপসর্গ দেখা দিয়েছে। একটা হলো মামলা দেওয়া এবং পরে অভিযুক্তদের তালিকা থেকে নাম কেটে দেওয়ার বাণিজ্য। প্রতিহিংসার অনুপ্রেরণায় মামলার আসামি করার ঘটনা নিশ্চয়ই ঘটেছে। কিন্তু এর মধ্যে বাণিজ্যও ঢুকে পড়েছে। টাকা-পয়সা আদান-প্রদানের যেসব খবর শোনা গেছে, তার সবটাই যে ভুয়া, তা নয়; সত্যও আছে। দ্বিতীয় উপসর্গটি হলো মব ভায়োলেন্স এবং মব জাস্টিস। খবর বলছে, গত ১০ মাসে মব ভায়োলেন্সে নিহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। মানুষ ক্ষুব্ধ ছিল, তাই আগুন দিয়েছে; বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে; লুটতরাজও ঘটিয়েছে। কিন্তু মব তো মুভমেন্টের অংশ নয়; মুভমেন্টের বিচ্যুতি বৈকি। 

রাজধানীতে ঘটা একটি ঘটনাই অন্য বহু ঘটনার প্রতিনিধিত্ব করছে। সেটা হলো গুলশান এলাকায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পরলোকগত সাবেক এক উপদেষ্টার পুত্রের সাবেক স্ত্রীর বাসগৃহে আক্রমণ। গুজব রটিয়ে দেওয়া হয়েছিল– ওই আবাসে ২০০-৩০০ কোটি টাকা লুকানো আছে। সেই সঙ্গে স্বৈরাচারের দোসরদের কয়েকজন লুকিয়েও রয়েছে। এতে মব সংগঠিত হতে কোনো অসুবিধা ঘটেনি। প্রচুরসংখ্যক লোক প্রথমে বাড়ির দেয়াল টপকে, পরে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতরের সবকিছু তছনছ করেছে। লুকিয়ে-থাকা কাউকে পাওয়া যায়নি। টাকা-পয়সাও নাকি তেমন ছিল না; তবে মূল্যবান সামগ্রী নিশ্চয় বেশ কিছু ছিল। সেগুলো বীরত্বপূর্ণভাবে হস্তগত করতে ঘটনায় অংশগ্রহণকারীরা বিলম্ব করেনি। ওই সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবশ্য কোনো স্মার্টনেস দেখা যায়নি। 

ঊনসত্তরের অভ্যুত্থানের সময় তখনকার পূর্ববঙ্গে বহু জায়গায় গণআদালত বসেছে; কিন্তু সেখানে এক ধরনের শৃঙ্খলা ছিল এবং অভিযুক্তরা অপরাধী হিসেবে সামাজিকভাবে চিহ্নিত ছিল। মব জাস্টিসে সেসব ব্যাপার নেই। লুটপাটের বাইরে এর ভেতরে হিংস্রতা এবং সক্ষমতা প্রদর্শনের ব্যাপারও থাকে; এবার যেমনটা ঘটেছে। চোর সন্দেহে কাউকে ধরে প্রথমে হাত-পা ভাঙা, পরে এমনকি চোখ উপড়ে ফেলার খবরও পাওয়া গেছে বৈকি। এ ধরনের ভায়োলেন্সে রাজনীতি থাকে না, তবে প্রতিহিংসা থাকে। ধানমন্ডিতেও হাক্কানী প্রকাশনীর মালিককে যেভাবে হেনস্তা করা হয়েছে; সেটা কারা করেছে, তাও গোপন থাকেনি। 
বিশেষভাবে বিপন্ন এখন নারী ও কন্যাশিশুরা। এবারকার গণঅভ্যুত্থানে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছিল ব্যাপক এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল মেয়েদের অংশগ্রহণ। এমন বিপুলসংখ্যক মেয়ের অবিচলিত অংশগ্রহণ আগের কোনো আন্দোলনে দেখা যায়নি। অথচ আন্দোলনের শেষে এখন দেখা যাচ্ছে নারী নির্যাতন কমে তো না-ই, বরঞ্চ বেড়েছে। মেয়েরা নিরাপদে নেই। সড়কে নেই, গৃহেও নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটা একজন ছাত্রীকে হেনস্তা করার ঘটনা পত্রিকা এবং সামাজিক মাধ্যমে সম্প্রতি বেশ ভালো রকমের চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। কোনো বড় মাপের ঘটনা নয়; হামেশাই ঘটে থাকে; মানুষ শুনেও শোনে না। তবে ওই ঘটনা মানুষকে নাড়া দিয়েছে একাধিক কারণে। প্রথমত এটি ঘটল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, যেটি সকল গণআন্দোলনের সূচনাবিন্দু হিসেবে কাজ করে এবং এবারের অভ্যুত্থানে তো ছিল একেবারে প্রাণকেন্দ্র; এবং সে অভ্যুত্থান অমন সর্বজনীন রূপ নিত না, মেয়েরা যদি এগিয়ে না আসত। দ্বিতীয়ত, নারী হেনস্তাকরণ ঘটিয়েছে যে ব্যক্তি, সে ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন নিম্নবেতনভুক্ত কর্মচারী। তৃতীয়ত, উত্ত্যক্তকারীকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেবার জন্য তৌহিদি জনতা নামে একটি মৌলবাদী গোষ্ঠীর থানায় গিয়ে উপস্থিত হওয়া এবং উত্ত্যক্তকারীর জামিনে ছাড়া পাওয়া। মেয়েটি সাহসী; বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সে নালিশ করে। কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়, দুর্বৃত্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তারপর থানায় তার সমর্থক কিছু লোকের উপস্থিতি। দুর্বৃত্তটির আপত্তি ছিল মেয়েটির গায়ে যথাযথরূপে ওড়না না-থাকা নিয়ে। মূল প্রশ্নটা কিন্তু একেবারেই মৌলিক; সেটা হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত ছোটমাপের একজন কর্মচারী হয়ে অত বড় একটা সাহস পেল কোথা থেকে? জবাবটা কিন্তু সোজা; পেয়েছে পিতৃতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা থেকে। এই ব্যবস্থা যে কোনো পুরুষকে একজন নারীর– তা তিনি যে মর্যাদারই হোন না কেন, চেয়ে অধিক ক্ষমতাবান ভাববার অনুপ্রেরণা জোগায়, এমনকি ওই ভাবনাকে সমর্থনও করে। 
সমাজজুড়ে এখন ভয়াবহতা বিরাজ করছে। আতঙ্কে রয়েছে মানুষ। জরিপ বলছে, সহিংসতার যারা শিকার হন তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। বাংলাদেশের মানুষ সুখে নেই। কয়েক বছর ধরে সুখের মাপে বিশ্বের দেশগুলোর অবস্থান বিষয়ে জাতিসংঘের একটি সংস্থার বার্ষিক জরিপের যে তালিকা বের হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, চার বছর ধরে বাংলাদেশের অবস্থান ক্রমে নামছেই। আগের বছরের তুলনায় এ বছর নেমেছে পাঁচ ধাপ, যার দরুন বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৪৭টি দেশের মধ্যে ১৩৪তম স্থানে। ইকোনমিস্ট পত্রিকার জরিপ বলছে, বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক সূচকেও বাংলাদেশের অবনতি ঘটেছে ২০ ধাপ। সুখ এবং গণতন্ত্র পরস্পর আত্মীয় বৈকি। কিন্তু বাংলাদেশে তার কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন ত অবস থ অবশ য

এছাড়াও পড়ুন:

দারফুরে ধর্ষণ-মুক্তিপণ-হত্যা: আরএসএফের ভয়াবহ নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা

সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুর শহরে আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)–এর কাছ থেকে পালিয়ে আসা ক্ষুধার্ত এবং নির্যাতিত মানুষেরা বিভিন্ন সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতাগুলো বর্ণনা করছেন। তবে তাঁরা পালাতে পারলেও হাজার হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশের শহর ছিল রাজ্যটিতে সুদানি সেনাবাহিনীর সর্বশেষ ঘাঁটি। গত রোববার আরএসএফ বাহিনী এটির দখল নেয়। এরপর থেকে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা স্থানীয় মানুষের পরিণতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এরই মধ্যে দারফুরে ধর্ষণ, মুক্তিপণ ও গণহত্যাসহ অন্যান্য নির্যাতনের কথা সামনে আসছে।

আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ইসমাইল বলেন, ‘খার্তুমের বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সঙ্গে পড়াশোনা করেছেন এমন একজন তরুণ সেখানে ছিলেন। তিনি তাঁদের বললেন, “ওকে হত্যা করো না”। এরপর তাঁরা আমার সঙ্গে থাকা সব তরুণ ও আমার বন্ধুদের হত্যা করেন।’

তাবিলা এলাকায় পালিয়ে আসা অন্য নাগরিকেরাও তাঁদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তেমনই একজন তাহানি হাসান। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করেই তাঁরা সেখানে হাজির হলেন। কোথা থেকে এলেন জানি না। ভিন্ন ভিন্ন বয়সী তিন তরুণকে দেখা গেল। তাঁরা আকাশে গুলি ছুড়লেন এবং বললেন, ‘থামো, থামো’। তাঁরা আরএসএফের পোশাকে ছিলেন।’

আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। আলখেইর বলেছেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত ব্যক্তি হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তাহানি হাসান বলেন, ‘এই তরুণেরা আমাদের বেধড়ক মারধর করেছেন। আমাদের পোশাক মাটিতে ছুড়ে ফেলেছেন। এমনকি আমি একজন নারী হওয়ার পরও আমাকে তল্লাশি করা হয়েছে। হামলাকারীরা সম্ভবত বয়সে আমার মেয়ের চেয়েও ছোট হবে।’

ফাতিমা আবদুলরহিম তাঁর নাতি–নাতনিদের সঙ্গে তাবিলাতে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, পাঁচ দিন ধরে অনেক কষ্ট করে হেঁটে তাবিলাতে পৌঁছাতে পেরেছেন।

ফাতিমা বলেন, ‘তাঁরা (আরএসএফের সদস্যরা) ছেলেশিশুগুলোকে মারলেন এবং আমাদের সব সম্পদ কেড়ে নিলেন। আমাদের কিছুই রাখা হলো না। আমরা এখানে পৌঁছানোর পর জানতে পারলাম, আমাদের পর যেসব মেয়ে এসেছে, তাদের ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে আমাদের মেয়েরা বেঁচে গেছে।’

পালিয়ে আসা তরুণী রাওয়া আবদাল্লা বলেছেন, তাঁর বাবা নিখোঁজ।

গত বুধবার রাতে দেওয়া এক বক্তৃতায় আরএসএফের প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগালো বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তাঁর যোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। হামদান ‘হেমেদতি’ নামেও পরিচিত।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানি সেনাদের সঙ্গে আরএসএফ সদস্যদের লড়াই চলছে। গত বৃহস্পতিবার আরএসএফ দাবি করে, নির্যাতনের অভিযোগে বেশ কয়েকজন যোদ্ধাকে আটক করেছে তারা।

তবে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার সাধারণ নাগরিকদের ওপর আরএসএফ সদস্যদের নিপীড়নের অভিযোগ তদন্তে বাহিনীটির দেওয়া প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরএসএফের একজন উচ্চপদস্থ কমান্ডার এই ঘটনাগুলো ‘গণমাধ্যমের অতিরঞ্জন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁর দাবি, এল–ফাশেরে নিজেদের পরাজয় ও ক্ষয়ক্ষতি আড়াল করতে সেনাবাহিনী এবং তাদের মিত্ররা এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, এ সংঘাত চলাকালে আরএসএফ ও সেনাবাহিনী—দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। সংঘাতে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। সংঘাতকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। বিরাজ করছে ব্যাপক দুর্ভিক্ষের অবস্থা। পাশাপাশি কলেরা ও অন্যান্য প্রাণঘাতী রোগের সংক্রমণ বাড়ছে।

দারফুর থেকে পালিয়ে আসা লোকজন তাবিলা এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্যালটে মামদানি, অদৃশ্য ‘প্রার্থী’ ট্রাম্প
  • দারফুরে ধর্ষণ-মুক্তিপণ-হত্যা: আরএসএফের ভয়াবহ নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
  • আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স