ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন যাত্রা শুরু
Published: 31st, May 2025 GMT
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশেষ ব্যবস্থায় ট্রেনে যাত্রা শুরু হচ্ছে আজ শনিবার। ঢাকা থেকে ভোর ৬টায় রাজশাহীর উদ্দেশে আন্তঃনগর ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে এ যাত্রা শুরু হয়।
ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনায় জানানো হয়েছে, ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভ্রমণ সুবিধার্থে বাড়তি ৫ জোড়া অর্থাৎ ১০টি বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। এ সময় নিয়মিত আন্তঃনগর ট্রেনগুলো আগের মতোই চলবে। স্থগিত থাকবে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর ডে অফ। ঢাকায় কোরবানির পশু সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে তিনটি ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন ২ দিনে চালানো হবে।
ঢাকা, বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, খুলনাসহ সব বড় বড় স্টেশনে জিআরপি, আরএনবি, বিজিবি ও স্থানীয় পুলিশ এবং র্যাবের সহযোগিতায় টিকিটবিহীন যাত্রী স্টেশনে প্রবেশের প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক প্রহরার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
যাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করতে ঈদের আগে-পরে ১০ দিন করে মোট ২০ দিন ট্রেনে সেলুনকার সংযোজন না করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এ ছাড়া আজকের যাত্রার ট্রেনের আসনের টিকিটগুলো ১০ দিন আগে অনলাইন ব্যবস্থায় বিক্রি করা হয়েছে। ট্রেনের ৩১ মে’র আসন বিক্রি হয়েছে ২১ মে; ১ জুনের আসন বিক্রি হয়েছে ২২ মে; ২ জুনের আসন বিক্রি হয়েছে ২৩ মে; ৩ জুনের আসন বিক্রি হয়েছে ২৪ মে; ৪ জুনের আসন বিক্রি হয়েছে ২৫ মে; ৫ জুনের আসন বিক্রি হয়েছে ২৬ মে এবং ৭ জুনের আসন বিক্রি হয়েছে ২৭ মে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঈদ ল আজহ ঈদ য ত র জ ন র আসন ব ক র
এছাড়াও পড়ুন:
আমাদের শান্তিরক্ষীরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত: সেনাপ্রধান
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ আজ একটি স্বীকৃত এবং অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য নাম। জাতিসংঘ শান্তি মিশনে ধারাবাহিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি বজায় রাখতে বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের শান্তিরক্ষীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উন্নত প্রশিক্ষণ, নৈতিক মূল্যবোধ, দক্ষতা এবং নিরপেক্ষতার প্রমাণ রেখে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত।
আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আহত শান্তিরক্ষীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠতম শান্তিরক্ষী হিসেবে বক্তব্য দেন সেনাপ্রধান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ ছাড়া পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও জাতিসংঘের মহাসচিব পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এদিন সকাল সোয়া ৬টায় ঢাকার তেজগাঁও পুরোনো বিমানবন্দর মসজিদ এলাকায় এবং অন্যান্য বিভাগীয় শহরে ‘শান্তিরক্ষী দৌড়/র্যা লি-২০২৫’-এর মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। পরে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর পর বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়ে প্রাণ হারানো ১৬৮ বীর সৈনিক ও পুলিশ সদস্যদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। আরও বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী।