কালশিটে চোখ নিয়ে শুক্রবার ওভাল অফিসে দেখা মিলল প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের। তবে বিশ্বের প্রভাবশালী এই ধনকুবেরের এই হাল কী করে হলো তা নিয়ে কৌতূহল দেখিয়েছেন অনেকে। জবাবে টেসলা সিইও জানান, নিজের ছোট ছেলের সঙ্গে খেলার সময় আঘাত পান তিনি।

স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন মাস্ক। পরেছিলেন কালো ‘ডোজ’  টুপি ও কালো পোশাক। এ দিনটি ছিল সরকারের দক্ষতা বিভাগের (ডোজ) প্রধান হিসেবে মাস্কের বিদায়ের উপলক্ষ।

সাংবাদিক ব্রেট স্যামুয়েলস মাস্ককে জিজ্ঞেস করেন তার চোখে কী হয়েছে। উত্তরে মাস্ক বলেন, ‘আমি ছোট এক্সের সঙ্গে খেলাধুলা করছিলাম। ওকে বললাম, ‘চলো, আমাকে ঘুষি মারো।’ ও ঘুষি মারল। দেখা গেল, এমনকি পাঁচ বছরের বাচ্চার ঘুষিও সত্যিই বেশ লাগে।’

ট্রাম্প তখন বলেন, ‘ওটা এক্স করেছে? ও পারে। যদি তুমি এক্সকে চেনো, জানবে ও এটা করতে পারে।’

মাস্ক আরও জানান, এখন এক্স তার মায়ের সঙ্গে আছে। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে ওভাল অফিসে এক্সকে দেখা গিয়েছিল এবং সে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মেরিন ওয়ানেও গেছে।

মাস্ক বলেন, ‘তখন খুব একটা বুঝিনি, পরে দেখি কালশিটে পড়ে গেছে। কিন্তু ওর সঙ্গে খেলাই করছিলাম।’

ট্রাম্প জবাবে বলেন, ‘আমি তো খেয়ালই করিনি।’

এর আগে মাস্ক সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে একটু চিহ্ন হয়েছে’ বলেই হেসে উঠে নিজের ডান চোখের দিক দেখান।

এ মন্তব্য আসে তখন, যখন ট্রাম্পকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, ম্যাক্রোঁর স্ত্রী ব্রিজিত ম্যাক্রোঁকে আঘাত করছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, প্রেসিডেন্ট বলেন তারা আসলে ‘ঠাট্টা-মশকরা করছিলেন’।

এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ম্যাক্রোঁর সঙ্গে কথা বলেছি। ওরা ভালোই আছে। কী হয়েছে জানি না, তবে আমি ওকে ভালো চিনি, ওরা ঠিক আছে।’

ওভাল অফিসে ট্রাম্প ও মাস্কের যৌথ প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকরা মাস্কের কথিত মাদক ব্যবহার সংক্রান্ত নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনের প্রসঙ্গও তোলেন। মাস্ক সেই প্রশ্ন উড়িয়ে দেন এবং সংবাদমাধ্যমটিকে কটাক্ষ করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইলন ম স ক য ক তর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ