‘কালশিটে’ চোখ নিয়ে ওভাল অফিসে ইলন মাস্ক!
Published: 31st, May 2025 GMT
কালশিটে চোখ নিয়ে শুক্রবার ওভাল অফিসে দেখা মিলল প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের। তবে বিশ্বের প্রভাবশালী এই ধনকুবেরের এই হাল কী করে হলো তা নিয়ে কৌতূহল দেখিয়েছেন অনেকে। জবাবে টেসলা সিইও জানান, নিজের ছোট ছেলের সঙ্গে খেলার সময় আঘাত পান তিনি।
স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন মাস্ক। পরেছিলেন কালো ‘ডোজ’ টুপি ও কালো পোশাক। এ দিনটি ছিল সরকারের দক্ষতা বিভাগের (ডোজ) প্রধান হিসেবে মাস্কের বিদায়ের উপলক্ষ।
সাংবাদিক ব্রেট স্যামুয়েলস মাস্ককে জিজ্ঞেস করেন তার চোখে কী হয়েছে। উত্তরে মাস্ক বলেন, ‘আমি ছোট এক্সের সঙ্গে খেলাধুলা করছিলাম। ওকে বললাম, ‘চলো, আমাকে ঘুষি মারো।’ ও ঘুষি মারল। দেখা গেল, এমনকি পাঁচ বছরের বাচ্চার ঘুষিও সত্যিই বেশ লাগে।’
ট্রাম্প তখন বলেন, ‘ওটা এক্স করেছে? ও পারে। যদি তুমি এক্সকে চেনো, জানবে ও এটা করতে পারে।’
মাস্ক আরও জানান, এখন এক্স তার মায়ের সঙ্গে আছে। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে ওভাল অফিসে এক্সকে দেখা গিয়েছিল এবং সে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মেরিন ওয়ানেও গেছে।
মাস্ক বলেন, ‘তখন খুব একটা বুঝিনি, পরে দেখি কালশিটে পড়ে গেছে। কিন্তু ওর সঙ্গে খেলাই করছিলাম।’
ট্রাম্প জবাবে বলেন, ‘আমি তো খেয়ালই করিনি।’
এর আগে মাস্ক সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে একটু চিহ্ন হয়েছে’ বলেই হেসে উঠে নিজের ডান চোখের দিক দেখান।
এ মন্তব্য আসে তখন, যখন ট্রাম্পকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, ম্যাক্রোঁর স্ত্রী ব্রিজিত ম্যাক্রোঁকে আঘাত করছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, প্রেসিডেন্ট বলেন তারা আসলে ‘ঠাট্টা-মশকরা করছিলেন’।
এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ম্যাক্রোঁর সঙ্গে কথা বলেছি। ওরা ভালোই আছে। কী হয়েছে জানি না, তবে আমি ওকে ভালো চিনি, ওরা ঠিক আছে।’
ওভাল অফিসে ট্রাম্প ও মাস্কের যৌথ প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকরা মাস্কের কথিত মাদক ব্যবহার সংক্রান্ত নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনের প্রসঙ্গও তোলেন। মাস্ক সেই প্রশ্ন উড়িয়ে দেন এবং সংবাদমাধ্যমটিকে কটাক্ষ করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইলন ম স ক য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ব দুগ্ধ দিবস আজ
দুধকে বলা হয় ‘সম্পূর্ণ খাবার’। আদর্শ খাবার বা সুষম খাবারও বলা হয়। কারণ, এতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব পুষ্টি উপাদান সঠিক পরিমাণে রয়েছে। বিশেষত ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন ডি, বি১২, পটাশিয়ামসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানের এক চমৎকার উৎস এটি।
শিশুর বেড়ে ওঠা থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্কদের হাড়ের ক্ষয়রোধ পর্যন্ত, দুধের গুরুত্ব অপরিসীম। দুধের উপকারিতা কেবল হাড় মজবুত করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এতে থাকা প্রোটিন পেশি গঠনে সাহায্য করে এবং শরীরের টিস্যু মেরামত ও পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখে। ভিটামিন বি১২ স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য। আর পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। খাবার হিসেবেই শুধু নয়, অর্থনৈতিক গুরুত্বের দিক থেকেও এটি তাৎপর্যপূর্ণ। দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্য গ্রামীণ অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি। টেকসই উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।
১ জুন বিশ্ব দুগ্ধ দিবস। দুধের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি দুগ্ধশিল্পের প্রচার ও উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিবছর পালিত হয় দিবসটি। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ২০০১ সাল থেকে এই দিবস পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। সংস্থাটি আনুষ্ঠানিকভাবে এই দিবস পালনের আগে থেকেই কিছু দেশ ১ জুন বা এর আশপাশের বিভিন্ন তারিখে দুধ দিবস পালন করত। ফলে একটি আন্তর্জাতিক দিবসের জন্য বিশ্ব দুধ দিবস হিসেবে তারিখটিকে নির্বাচন করাই ছিল সমীচীন।
দুধের পুষ্টিগুণ ও এর গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি উৎপাদনকারী থেকে শুরু করে দুগ্ধশিল্পের সঙ্গে জড়িত সব ধরনের মানুষের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য দিবসটি পালিত হয়। মানবসভ্যতায় দুগ্ধ খাতের বিশাল অবদানের প্রতি স্বীকৃতি জানানোর অনন্য এক আন্তর্জাতিক উদ্যোগ এই দিবস।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড মিল্কডে ডটও আরজি