আলোচিত কনকাশন নিয়মে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে আইসিসি। ২০২৫ সালের জুন থেকে টেস্ট ক্রিকেটে এবং জুলাই থেকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে এই নিয়ম কার্যকর হবে।

চলতি বছরের শুরুতে ভারত ও ইংল্যান্ড সিরিজে কনকাশন নিয়ম নিয়ে বিতর্ক উঠেছিল। কনকাশন সাবের নিয়ম অনুসারে, কোনো খেলোয়াড় মাথায় আঘাত পেলে ওই খেলোয়াড়ের জায়গায় তাঁর মতোই কাউকে (লাইক টু লাইক) নামাতে পারবে। অর্থাৎ ব্যাটসম্যানের জায়গায় ব্যাটসম্যান, বোলারের জায়গায় বোলার।

কিন্তু ভারত সেই টি-টোয়েন্টি  সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ব্যাটিং অলরাউন্ডার শিবম দুবের জায়গায় খেলায় পেসার হর্ষিত রানাকে, যা নিয়ে ম্যাচ শেষে সরাসরি সমালোচনা করেছিলেন, তখনকার ইংলিশ অধিনায়ক জশ বাটলার।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি দলকে ম্যাচ শুরুর আগে বিকল্প হতে পারে—এমন পাঁচজনের তালিকা ম্যাচ রেফারির কাছে দিতে হবে। এ তালিকায় থাকবে একজন ব্যাটসম্যান, একজন উইকেটকিপার, একজন পেস বোলার, একজন স্পিনার ও একজন অলরাউন্ডার।

যেভাবে কনকাশন পরীক্ষা নেওয়া হয়.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৪টি থেকে ৪০ গরু আরাফাতের

ফুলগাজীর আনন্দপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আরাফাত হোসেন ফেনী সরকারি কলেজে স্নাতকোত্তরে পড়ার সময় একটি মুরগির খামার দিয়েছিলেন। লাভ না হওয়ায় তা বন্ধ করে দেন। ২০১৯ সালে তিনি ৫ লাখ টাকা দিয়ে ৪টি গরু কিনে শুরু করলেন এগ্রো অ্যান্ড ডেইরি ফার্ম। বর্তমানে তার খামারে ৪০টি গরু রয়েছে, দাম প্রায় ৫০ লাখ টাকা। প্রতিদিন ১০০ লিটার দুধ বিক্রি করেন। খামারে তিনজন শ্রমিক কাজ করেন।
আরাফাত এবার কোরবানি উপলক্ষে ১৩টি গরু বিক্রি করবেন। এর মধ্যে সাত মাস আগে নয়টি গরু ১১ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছিলেন। আর নিজের খামারের চার বাছুর এখন বিক্রির উপযোগী হয়েছে। ১৩টি গরু ২৫ লাখ টাকায় বিক্রি করার আশা তার। 
আরাফাত হোসেন বলেন, ‘আমি আনন্দিত, আমি একজন সফল খামারি হতে পেরেছি। তবে ফুলগাজী উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে তেমন কোনো সহযোগিতা পাইনি।’ তিন বছর ধরে আরুশ এগ্রো অ্যান্ড ডেইরি ফার্মে চাকরি করেন সুনামগঞ্জ জেলার বাসিন্দা ফয়েজ আহম্মদ। তিনি বলেন, ‘আরাফাতের উত্থান অকল্পনীয়। শুরুতে ৩-৪টি গরু দিয়ে খামার শুরু করলেও বর্তমানে তার কাছে অর্ধকোটি টাকার দামের ৪০ গরু রয়েছে। খামারের কারণে আমাদের তিনজন লোকের চাকরি হয়েছে।’
আনন্দপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নিশাত বলেন, ‘আরুশ এগ্রো অ্যান্ড ডেইরি ফার্মের সাফল্য দেখে তরুণ সমাজ নিজের পায়ে দাঁড়ানোর কথা ভাবছে। তারা আরাফাতের কাছে গিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে কীভাবে খামার করা যায়। আরাফাত হোসেন এলাকার তরুণদের কাছে একজন আইকন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। ভবিষ্যতে আমারও ইচ্ছে আছে একটা খামার করার। চাকরির পেছনে না ঘুরে, চাকরি দিতে পারাটাই আসল।’
স্থানীয় আবদুস সোবাহান মজুমদার বলেন, ‘তরুণদের উচিত চাকরির পেছনে না ঘুরে নিজেরা কিছু করা। খামার করতে পারলে নিজের সচ্ছলতা আসবে, পাশাপাশি অন্যেকেও চাকরি দিতে পারবে। গরুর খামার করে অনেকে লাভবান হয়েছে।’
ফেনী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ফুলগাজীর আরুশ এগ্রো অ্যান্ড ডেইরি ফার্মের মালিক আরাফাত একজন সফল উদ্যোক্তা। তিনি ৪টি গরু দিয়ে খামার শুরু করে বর্তমানে অর্ধকোটি টাকা মূল্যের ৪০টি গরুর মালিক। এভাবে খামার করলে তরুণরা স্বাবলম্বী হবেন। অনেক লোকের কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের সীমিত জনবল রয়েছে। তাপরও কোনো খামারি বা উদ্যোক্তা সহযোগিতা চাইলে আমরা করি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এনসিপির মহানগর উত্তরের প্রধান সমন্বয়কারী হলেন হাফেজ আকরাম
  • শিক্ষার্থীদের জন্য স্মার্ট কার্ড চালু করা দরকার
  • ক্যানসারের ফেরা ঠেকাতে শরীরচর্চা ‘ওষুধের চেয়ে ভালো’
  • আমার জন্য ও একজন ‘হিউম্যান গুগল’
  • নগদ নিয়ে গণমাধ্যমে ‘বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন’ এবং প্রকৃত ঘটনা
  • ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজন নিহত
  • ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৪
  • অবাধ্য নারীদের জন্য কুখ্যাত গোপন ‘কারাগার’, কী হয় সেখানে
  • ‘পথের বিপদ’ এবার কম
  • ৪টি থেকে ৪০ গরু আরাফাতের