২৭ মে গিয়েছিলাম যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার ডহর মশিয়াহাটি গ্রামে। ২২ মে ২০২৫, ওই গ্রামে তরিকুল ইসলাম নামের বিএনপির নেতা সনাতন ধর্মাবলম্বী মতুয়া সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তির বাড়িতে নির্মমভাবে খুন হন। তিনি অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি ছিলেন। তাঁর খুন হওয়ার খবর পেয়ে ওই এলাকায় শত শত মানুষ জমায়েত হন এবং মতুয়া সম্প্রদায়ের ১৮টি বাড়িতে লুটপাট করেন এবং অগ্নিসংযোগ করেন। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী বাজারে কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। 

ডহর মশিয়াহাটি গ্রামে পাকা সড়ক–সংলগ্ন পুড়ে যাওয়া বাড়িগুলোতে যখন প্রবেশ করি, তখন তীব্র পোড়া গন্ধ টের পাওয়া যাচ্ছিল। পোড়া বাড়িতে প্রবেশ করতেই দেখি, আধপোড়া কাপড়ের স্তূপ, পুড়ে যাওয়া আসবাব, মোটরসাইকেল, রান্নার ব্যবহার্য জিনিসপত্রসহ অনেক কিছু। 

প্রথমে বাড়িতে প্রবেশ করে পেলাম উষা বিশ্বাস নামের সেই ঘরের বয়স্ক এক বাসিন্দাকে। ঘরের বারান্দায় বসে থাকা উষার চোখেমুখে গভীর দুশ্চিন্তার ছাপ। তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, কী হয়েছিল সেদিন? তিনি ২২ মে হামলার ঘটনার বর্ণনা দিলেন। আগুন থেকে একটি ঘর রক্ষা পেলেও সেটিও লুটপাট হয়। হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে তারা তাঁকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। 

উষার ছেলের বউ রেখা বিশ্বাস আগুন দেওয়ার সময় বাড়ির পাশে ছিলেন। তিনি জানালেন, উত্তেজিত জনতাকে বলতে শুনেছেন, ‘মাইরে ফেলায় দেব, কাইটে ফেলায় দেব, আগুন লাগায় দেব।’ রেখার ছেলেরও বিয়ে হয়েছে, কয়েক মাস আগে। তিনি জানান, ছেলের বিয়ের সময় বানানো কয়েক ভরি গয়না ও বিয়েতে পাওয়া সেলাই মেশিন পাওয়া যায়নি। পানি সেচ দেওয়ার দুটি মোটর ছিল, সেগুলো পুড়ে গেছে। 

পাশের বাড়ি পান্না বিশ্বাসের। কয়েকজন নারীসহ তিনি বসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে কথা হলো। পান্না বললেন, তাঁর কলেজপড়ুয়া মেয়ে এবং স্কুলপড়ুয়া ছেলে বাড়িতে ছিল। যখন একটি কক্ষে লুটপাট শুরু হয়, তখন তাঁরা পাশের কক্ষ ভেতর থেকে আটকে দিয়ে খাটের নিচে আত্মগোপন করে ছিলেন। বাড়িতে আগুন দিলে প্রাণ নিয়ে তাঁরা বেরিয়ে এসেছিলেন। বাচ্চা আগুনে পুড়ে যাচ্ছে কি না, এই ভয়ে তিনি চিৎকার করে কান্নাকাটি করেছেন। আগুন লাগার পর কোনোরকমে দরজা ঠেলে তাঁরা বের হতে পেরেছেন। সেদিনের পরিস্থিতির পর তাঁর ছেলে এখন কারও সঙ্গে কথা বলছেন না। কেউ ডাকলে কেবল তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকছেন। মেয়েটিকে তার বান্ধবীরা নিয়ে গেছে। তার মন ভালো করার চেষ্টা করছে। 

হামলার দিন গ্রামের যে বাড়িতে তিন দিনব্যাপী যজ্ঞানুষ্ঠান হচ্ছিল, সেই বাড়িতে প্রবেশ করে দেখি, রান্নার সবজি, বড় বড় পাতিল পড়ে আছে। পাশেই অনেকগুলো ডঙ্কা (বাদ্যযন্ত্র), ডঙ্কার পাশে পড়ে আছে পোড়া মোটরসাইকেল, কয়েকটি বাইসাইকেল। সে বাড়ির এক নারী বললেন, ‘মারটা আমাকে মাইরেছে বেশি। চ্যাপ্টা খুন্তি দিয়ে মাইরেছে।’ অনুষ্ঠানে আসা কয়েকজন মার খেয়েছেন। সেখানে কয়েক শ মানুষের রান্না হয়েছিল। মারপিট-লুটপাট-অগ্নিসংযোগে যজ্ঞানুষ্ঠান পণ্ড হয়। 

উপস্থিত একজন জানাচ্ছিলেন, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন প্রস্তুতি নিয়ে এক পথে আসার চেষ্টা করেছিলেন, পারেননি। তাঁদের পথে আটকে দেওয়া হয়েছিল। পরে তাঁরা বিকল্প পথে অনেকখানি ঘুরে এসেছেন। 

ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি পরিবার সরকারি সহায়তা পেয়েছে ৩০ কেজি চাল, ২ বান্ডিল টিন, ৬ হাজার টাকা, ২ করে কম্বল। বেসরকারি কিছু সহায়তা মিলেছে। বাড়িতে অনেকে থাকতে পারছেন না। থাকার অবস্থা হয়নি। আবার তাঁদের ভয়ও করছে। অনেকের পরনের পোশাক ছাড়া আর কিছুই নেই। পান্না বিশ্বাস বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট ও সপ্তসারথী ফাউন্ডেশন থেকে চাল-তেল-ডাল-সবজি দিয়ে গেছে। কিন্তু রাঁধব কোথায়, রান্নার পাত্র কোথায়?’ 

পান্না বিশ্বাসের বাড়ির পাশের বাড়িতে দেখলাম, একজন নারী বিষণ্ন মনে বসে আছেন। সবকিছু পুড়ে তাঁরা নিঃস্ব। তাঁদের ৪০ মণ ধান ছড়ানো অবস্থায় পড়ে আছে। করুণ দৃষ্টিতে সেদিকে তাকিয়ে আছেন। 

তরিকুল ইসলামকে খুন করা হয়েছে। যে খুন করেছে, তার সর্বোচ্চ শাস্তি হতে হবে। তরিকুল ইসলাম যেহেতু বিএনপির নেতা, সেহেতু বাংলাদেশের বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে বলতে পারি, এখন তাঁর খুনিদের খুঁজে বের করা সহজ হবে এবং শাস্তি দেওয়া হবে। এটা আমরা চাই। মতুয়া সম্প্রদায়ের যাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে, তাঁরাও খুনের বিচার চান। সম্প্রদায় বিবেচনায় নয়, মানুষ হিসেবে এ খুনের বিচার না চাওয়ার কোনো কারণ নেই। তরিকুল ইসলামের পরিবারের প্রতি সহানুভূতিশীল না হয়ে খুনের বিচার না চেয়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের বাড়িতে যারা অগ্নিসংযোগ করেছে, লুটপাট করেছে, তারা আর প্রকাশ্যে বিচার চাইতে পারবে কি? কারণ, তারা খুনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আরেক অপরাধ করেছে। 

প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে হামলা বা হানাহানি কোনোভাবেই কাম্য নয়। কিন্তু সম্প্রদায় বিবেচনা করে যদি সেই হামলা হয়, তা আরও বেশি মেনে নেওয়া যায় না। এটিও তখন হয়ে পড়ে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ওপর আঘাত। সেই আঘাতের ক্ষত সহজে
সারে না। আমি রংপুরের তারাগঞ্জে ঠাকুরবাড়িতে, রংপুরের পীরগঞ্জে জেলেপাড়ায় এবং গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালপল্লিতে আগুন দেওয়ার পরবর্তী ভুক্তভোগীদের কাছে থেকে দেখেছি। তাঁরা স্বাভাবিক হতে দীর্ঘদিন লেগেছে। 

এসব পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা থেকে বেরিয়ে আসতে মানুষের শুভবুদ্ধির উদয় হওয়া ছাড়া উপায় নেই। আর আইনের কঠোর প্রয়োগ তো হতেই হবে। তরিকুল ইসলামের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তারপূর্বক শাস্তির আওতায় আনা হোক, যারা লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করেছে, তাদেরও বিচার হোক। 

তুহিন ওয়াদুদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক

* মতামত লেখকের নিজস্ব

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল টপ ট

এছাড়াও পড়ুন:

দারফুরে ধর্ষণ-মুক্তিপণ-হত্যা: আরএসএফের ভয়াবহ নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা

সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুর শহরে আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)–এর কাছ থেকে পালিয়ে আসা ক্ষুধার্ত এবং নির্যাতিত মানুষেরা বিভিন্ন সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতাগুলো বর্ণনা করছেন। তবে তাঁরা পালাতে পারলেও হাজার হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশের শহর ছিল রাজ্যটিতে সুদানি সেনাবাহিনীর সর্বশেষ ঘাঁটি। গত রোববার আরএসএফ বাহিনী এটির দখল নেয়। এরপর থেকে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা স্থানীয় মানুষের পরিণতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এরই মধ্যে দারফুরে ধর্ষণ, মুক্তিপণ ও গণহত্যাসহ অন্যান্য নির্যাতনের কথা সামনে আসছে।

আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ইসমাইল বলেন, ‘খার্তুমের বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সঙ্গে পড়াশোনা করেছেন এমন একজন তরুণ সেখানে ছিলেন। তিনি তাঁদের বললেন, “ওকে হত্যা করো না”। এরপর তাঁরা আমার সঙ্গে থাকা সব তরুণ ও আমার বন্ধুদের হত্যা করেন।’

তাবিলা এলাকায় পালিয়ে আসা অন্য নাগরিকেরাও তাঁদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তেমনই একজন তাহানি হাসান। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করেই তাঁরা সেখানে হাজির হলেন। কোথা থেকে এলেন জানি না। ভিন্ন ভিন্ন বয়সী তিন তরুণকে দেখা গেল। তাঁরা আকাশে গুলি ছুড়লেন এবং বললেন, ‘থামো, থামো’। তাঁরা আরএসএফের পোশাকে ছিলেন।’

আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। আলখেইর বলেছেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত ব্যক্তি হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তাহানি হাসান বলেন, ‘এই তরুণেরা আমাদের বেধড়ক মারধর করেছেন। আমাদের পোশাক মাটিতে ছুড়ে ফেলেছেন। এমনকি আমি একজন নারী হওয়ার পরও আমাকে তল্লাশি করা হয়েছে। হামলাকারীরা সম্ভবত বয়সে আমার মেয়ের চেয়েও ছোট হবে।’

ফাতিমা আবদুলরহিম তাঁর নাতি–নাতনিদের সঙ্গে তাবিলাতে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, পাঁচ দিন ধরে অনেক কষ্ট করে হেঁটে তাবিলাতে পৌঁছাতে পেরেছেন।

ফাতিমা বলেন, ‘তাঁরা (আরএসএফের সদস্যরা) ছেলেশিশুগুলোকে মারলেন এবং আমাদের সব সম্পদ কেড়ে নিলেন। আমাদের কিছুই রাখা হলো না। আমরা এখানে পৌঁছানোর পর জানতে পারলাম, আমাদের পর যেসব মেয়ে এসেছে, তাদের ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে আমাদের মেয়েরা বেঁচে গেছে।’

পালিয়ে আসা তরুণী রাওয়া আবদাল্লা বলেছেন, তাঁর বাবা নিখোঁজ।

গত বুধবার রাতে দেওয়া এক বক্তৃতায় আরএসএফের প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগালো বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তাঁর যোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। হামদান ‘হেমেদতি’ নামেও পরিচিত।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানি সেনাদের সঙ্গে আরএসএফ সদস্যদের লড়াই চলছে। গত বৃহস্পতিবার আরএসএফ দাবি করে, নির্যাতনের অভিযোগে বেশ কয়েকজন যোদ্ধাকে আটক করেছে তারা।

তবে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার সাধারণ নাগরিকদের ওপর আরএসএফ সদস্যদের নিপীড়নের অভিযোগ তদন্তে বাহিনীটির দেওয়া প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরএসএফের একজন উচ্চপদস্থ কমান্ডার এই ঘটনাগুলো ‘গণমাধ্যমের অতিরঞ্জন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁর দাবি, এল–ফাশেরে নিজেদের পরাজয় ও ক্ষয়ক্ষতি আড়াল করতে সেনাবাহিনী এবং তাদের মিত্ররা এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, এ সংঘাত চলাকালে আরএসএফ ও সেনাবাহিনী—দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। সংঘাতে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। সংঘাতকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। বিরাজ করছে ব্যাপক দুর্ভিক্ষের অবস্থা। পাশাপাশি কলেরা ও অন্যান্য প্রাণঘাতী রোগের সংক্রমণ বাড়ছে।

দারফুর থেকে পালিয়ে আসা লোকজন তাবিলা এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্যালটে মামদানি, অদৃশ্য ‘প্রার্থী’ ট্রাম্প
  • দারফুরে ধর্ষণ-মুক্তিপণ-হত্যা: আরএসএফের ভয়াবহ নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
  • আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স