সবসময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন শোবিজ অঙ্গনের তারকারা; বিশেষ করে চেহারা আর শরীর নিয়ে তারা সচেতন থাকেন। তবে এবার স্রোতের বিপরীতে হাঁটলেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। যেখানে ওজন কমিয়ে নিজেকে ফিট রাখার চাপ, সেখানে তিনি উল্টো ৯ কেজি ওজন বাড়িয়েছেন— ইচ্ছে করেই!
হঠাৎ এই পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে সিনেমার চরিত্র, আবেগ এবং ভিন্ন এক গল্প।
জানা গেছে, ‘ল্যান্ড অব দ্য প্রিন্সেস’ নামে একটি সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন ভাবনা। পরিচালনায় আসিফ ইসলাম। সিনেমাটিতে তিনি অভিনয় করেছেন এক যাত্রাপালার নায়িকার ভূমিকায়। চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে প্রয়োজন ছিল অন্য রকম এক শরীরী ভাষা, যার জন্য ওজন বাড়ানোকে জরুরি মনে করেছেন ভাবনা নিজেই।
তিনি বলেন, “আমার কাছে মনে হচ্ছিল ওজন না বাড়ালে চরিত্র প্রকাশিত হবে না। ফলে আমি নিজেই নির্মাতার সঙ্গে কথা বলে ৯ কেজি ওজন বাড়িয়েছি। চরিত্রটি দর্শক মনে রাখবে।”
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ফরিদপুরের গোবিন্দপুরে নির্মিত হয়েছে যাত্রার সেট। সেখানে দৃশ্যধারণ শেষ হয়েছে। ভাবনা ছাড়া ছবির বেশির ভাগ শিল্পীই ছিলেন প্রকৃত যাত্রাশিল্পী।
আসিফ ইসলাম জানান, তার শৈশব কেটেছে যাত্রাপালার মোহময় আলোয়। একসময় নিয়মিত যাত্রা দেখতেন গ্রামে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তৈরি হয়েছে ছবির গল্প।
তিনি বলেন,“২০১৮ সালে দীর্ঘদিন পর আবার যাত্রা দেখার সুযোগ হয়। সেই যাত্রায় দর্শক এসেছিল মূলত নাচ দেখতে, গল্প নয়। কেউ শুনতে চায়নি সিরাজউদ্দৌলার কথা, তারা চেয়েছে ‘প্রিন্সেস’-এর আবেদনময়ী নাচ। সেদিন মঞ্চে একজন নৃত্যশিল্পীকে দেখে আমি বুঝে যাই, সময় কতটা বদলে গেছে।”
তার সেই বিস্ময়, অভিজ্ঞতা ও আক্ষেপ থেকেই জন্ম নিয়েছে ‘ল্যান্ড অব দ্য প্রিন্সেস’। আর ভাবনা যেন হয়ে উঠেছেন সেই বদলে যাওয়া সময়ের এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি।
ওজন বাড়িয়ে, নিজেকে ভেঙে, ভাবনা চেষ্টা করেছেন এমন একটি চরিত্র গড়ে তুলতে যা বাস্তব, প্রাণবন্ত এবং দর্শকের মনে থেকে যাবে অনেকদিন।
ঢাকা/রাহাত//
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ওজন ব ড় চর ত র
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ব ইজতেমা মার্চে
প্রতিবছর জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হলেও এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে মার্চ মাসে করা হবে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ এ তথ্য জানিয়েছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ বা শুরায়ী নেজামের শীর্ষ নেতা মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারি।
আরো পড়ুন:
শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর ইজতেমা
দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিগত বছরগুলোতে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা হলেও আগামী বছর এক পর্বে হবে। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী বা সাদপন্থিদের ইজতেমা আয়োজনের সুযোগ থাকবে না।
মুফতি কেফায়েতুল্লাহ বলেছেন, “তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ তাবলিগি এ মেহনতকে দ্বীনি মেহনত হিসেবে বিশ্বাস করে। দ্বীনি কাজের অংশ হিসেবে বর্তমান সরকারের অনুরোধ শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করে আমরা আগামী বিশ্ব ইজতেমা মার্চে আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, এ সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে সরকারের প্রতি সহযোগিতার শামিল।”
বিশ্ব ইজতেমা সাদপন্থিরা আয়োজন করতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “সরকারের কাছে তারা লিখিত দিয়ে গতবার শেষবারের মতো ইজতেমার আয়োজন করেছিল। সেক্ষেত্রে তাদের আর ইজতেমা করার সুযোগ নেই।”
বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তিনটি অনুরোধ তুলে ধরা হয়।
১. আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের আগেই ইজতেমার দিন-তারিখ ঘোষণা এবং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে অবহিত করা।
২. ইজতেমা যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানকে অস্থায়ীভাবে কেপিআই (কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন) ঘোষণা।
৩. ইজতেমায় আসা বিদেশি অতিথিদের সময়মতো উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভিসা সহজীকরণ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা।
ঢাকা/রায়হান/রফিক