Risingbd:
2025-07-31@07:43:51 GMT

৫০০ শিল্পীর ‘যাত্রা বিরতি’

Published: 31st, May 2025 GMT

৫০০ শিল্পীর ‘যাত্রা বিরতি’

প্রায় ৫০০ অভিনয়শিল্পীকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে এবারের ঈদুল আজহার বিশেষ নাটক ‘যাত্রা বিরতি’। বরিশালের বিলাসবহুল একটি লঞ্চ এবং আশপাশের গ্রামীণ প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে সাজানো হয়েছে নাটকটির দৃশ্যপট।

আকবর হায়দার মুন্নার প্রযোজনায়, সুবাতা রাহিক জারিফার রচনায় এবং আদিফ হাসানের পরিচালনায় এই ব্যতিক্রমধর্মী নাটকে অভিনয় করেছেন রাশেদ সীমান্ত, সিনথিয়া ইয়াসমিন, সুমাইয়া অর্পা, বিনয় ভদ্র, হায়দার আলী, বাদল, কাঞ্চনসহ প্রায় পাঁচশ শিল্পী।

নাটকটির গল্প আবর্তিত হয়েছে ঢাকা থেকে বরিশালগামী একটি লঞ্চযাত্রা ঘিরে, যা ঈদের আগের রাতে সদরঘাট থেকে ছাড়ে। লঞ্চের সুপারভাইজার দেলোয়ার নিজেকে অতিজ্ঞানী ভাবলেও সে সাদাসিধে মানুষ। লঞ্চের ভিআইপি কেবিনের যাত্রী আইরিন ও তার ছোট বোনের সঙ্গে কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার মনোমালিন্য হয়। শুরু হয় টানাপড়েন।

লঞ্চে রয়েছে আরও বিচিত্র চরিত্র— কেউ দীর্ঘ ১৪ বছর পর প্রবাস থেকে ঈদ করতে ফিরছেন, কেউ কোরবানির জন্য খাসি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন, কেউ ভাইয়ের বিয়ের কেনাকাটা নিয়ে যাচ্ছেন, নতুন বউ প্রথমবার বাড়ি যাচ্ছেন ঈদ করতে, কাজিনদের দল ফিরছে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে। সবাই একটাই উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা করছেন— নাড়ির টানে ঈদে বাড়ি ফেরা।

রাত পেরিয়ে ঈদের সকাল। আনন্দমুখর সেই আবহেই আচমকা লঞ্চে ঘটে দুর্ঘটনা। শুরু হয় চরম উৎকণ্ঠা। যাত্রীরা কি শেষ পর্যন্ত নিরাপদে পৌঁছাতে পারবেন? ঠিক এমন দ্বন্দ্ব ও দোলাচল নিয়েই এগিয়েছে ‘যাত্রা বিরতি’র কাহিনি।

নাটকটি নিয়ে অভিনেতা রাশেদ সীমান্ত বলেন, “ঈদে অনেক নাটকে অভিনয় করেছি, কিন্তু ‘যাত্রা বিরতি’ একেবারেই আলাদা অভিজ্ঞতা। লাখো মানুষের ঈদযাত্রা সবসময় আনন্দময় হয় না। আমরা সেটার বাস্তব প্রতিচ্ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। প্রায় ৫০০ জন শিল্পী এই নাটকে অংশ নিয়েছেন, যা খুবই বিরল। কষ্টসাধ্য হলেও দর্শকদের ভালো লাগলে সব শ্রম সার্থক হবে।”

‘যাত্রা বিরতি’ নাটকটি প্রকাশিত হবে ৫ জুন, বিকেল ৫টায়, ক্লাব এলিভেন এন্টারটেইনমেন্ট নামের ইউটিউব চ্যানেলে।

ঢাকা/রাহাত//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন টকট

এছাড়াও পড়ুন:

রাজনৈতিক দলের মতের ভিত্তিতে  জুলাই সনদের খসড়ায় সংশোধনী আনা হচ্ছে: আলী রীয়াজ  

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, কমিশনের বৈঠকে একমত হওয়া বিষয়গুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর। বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় কমিশন ‘অনুঘটক’ হিসেবে ভূমিকা রাখবে। প্রয়োজন হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য কমিশন আবার বসবে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের শেষ দিনের আলোচনার শুরুতে এসব কথা বলেন আলী রীয়াজ।

রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে  জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ায় সংশোধনী আনা হচ্ছে বলে জানান আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘সনদের দুটি অংশ। একটি অংশে ঐকমত্যের বিষয়সমূহ এবং অন্য অংশে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’

শিগগিরই সনদ চূড়ান্ত করা যাবে বলে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব দ্রুত চূড়ান্ত সনদ প্রস্তুত করে আপনাদের হাতে তুলে দিতে। এর ভিত্তিতে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাও করা হবে।’

আজকের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে—সরকারি কর্মকমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগ সম্পর্কিত বিধান, সংসদের উচ্চকক্ষের গঠন, সংসদ সদস্য নির্বাচনের পদ্ধতি ও এখতিয়ার, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, ইলেকটোরাল কলেজ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ সম্পর্কিত প্রস্তাব এবং রাষ্ট্রের মূলনীতি।

রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে আপনারা যে সব বিষয়ে একমত হয়েছেন, সেগুলো বাস্তবায়নের পথ আপনারা নিজেরাই তৈরি করতে পারবেন। সেখানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে অনুঘটকের কাজ করবে।’

আলোচনার শুরুতে আলী রীয়াজ বলেন, কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার আজ শেষ দিন। আজ যেসব বিষয় আলোচিত হবে, তার অধিকাংশই সিদ্ধান্তের বিষয়। বিশেষ করে যেসব দায়িত্ব আপনাদের পক্ষ থেকে আমাদের ওপর অর্পিত হয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত আপনাদের জানানো হবে।

আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘কিছু অনালোচিত বিষয়ের আলোচনা হবে। আর সরকারি কর্ম কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহা হিসাবরক্ষক এবং ন্যায়পালসহ কিছু বিষয়ে আলোচনার ফ্লোর থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আগেই ছয়টি কমিশনের সুপারিশের সার-সংক্ষেপ রাজনৈতিক দলগুলোকে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনায় কিছু কিছু বিষয়ে একমত হওয়া গেছে। যার একটি তালিকা দলগুলোর হাতে আছে। এ ছাড়া যেসব বিষয়ে মতভেদ রয়েছে, সেগুলো নিয়েও আলোচনা অব্যাহত আছে।

আরও পড়ুনমৌলিক সংস্কারের সব বিষয়ে মতৈক্য হয়নি ৬ ঘণ্টা আগে

আলী রীয়াজ জানান, এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩টি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে ভিন্নমতের সুযোগ ছিল এবং আছে। আজকের আলোচনায় যেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে, সেগুলোর ক্ষেত্রে দলগুলো ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিতে পারবে।

আলী রীয়াজ আশা প্রকাশ করেন, আজকের মধ্যে আলোচনা পর্বের সমাপ্তি টানা সম্ভব হবে। আলোচনা শেষে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে এবং যেসব বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা দ্রুত দলগুলোর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।

আজকের আলোচনায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি দল।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও আইয়ুব মিয়া।

আরও পড়ুন১২ মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য ২৯ জুলাই ২০২৫আরও পড়ুনপ্রাথমিক পর্যায়ে ঐকমত্যের খসড়া আজকালের মধ্যে পাবে রাজনৈতিক দলগুলো: আলী রীয়াজ২৯ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ