চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে খালের পাশে মিলল নবজাতক, ঠাঁই হলো নিঃসন্তান দম্পতির ঘরে
Published: 31st, May 2025 GMT
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে খালপাড় থেকে তোয়ালে মোড়ানো অবস্থায় এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে উপজেলার মায়ানী ইউনিয়নের পূর্ব মায়ানী গ্রামের একটি খালপাড়ে শিশুটির কান্নার শব্দ শুনে স্থানীয় এক কৃষক তাকে উদ্ধার করে। সদ্য ভূমিষ্ঠ ছেলেশিশুটিকে কে বা কারা খালপাড়ে রেখে যায়, তা জানা যায়নি।
স্থানীয় লোকজন জানান, পূর্ব মায়ানী এলাকার মো.
শিশুটি উদ্ধারের সময় সেখানে ছিলেন শাহাব উদ্দিন নামের এক তরুণ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে, নবজাতকটিকে জন্মের কিছু সময় পরই ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছিল। কান্নার শব্দ শুনে স্থানীয় কৃষক মোস্তফা নবজাতকটি পাওয়ার পর আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। বিষয়টি এলাকার লোকজনকে জানালে তাঁদের উপস্থিতি ও সম্মতিতে শিশুটিকে নিঃসন্তান এক ব্যবসায়ী পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।’
মায়ানী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মুসা মিয়া জানান, খালপাড় থেকে একটি সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া নবজাতক উদ্ধারের পর স্থানীয় এক নিঃসন্তান পরিবারের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়েছে। সে এখন সুস্থ রয়েছে।
জানতে চাইলে এমন কোনো ঘটনার কথা শোনেননি বলে জানান মিরসরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহির আমিন। তিনি বলেন, ‘মায়ানী ইউনিয়ন আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকা। সেখানে খালপাড়ে নবজাতক পাওয়া গেছে, এ ধরনের কোনো ঘটনার কথা শুনতে পাইনি। এলাকা থেকেও কেউ এ বিষয়ে কিছু জানায়নি আমাদের।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।