জিএম কাদেরের বাসভবনে হামলার প্রতিবাদে রংপুরে বিক্ষোভ
Published: 31st, May 2025 GMT
জিএম কাদেরের বাসভবনে হামলার প্রতিবাদে রংপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি (জাপা)। সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও তাদের সহযোগীরা হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) বিকেলে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডে জাতীয় পার্টির জেলা কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পায়রা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবাদ সমাবেশ। এতে রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে আসা হাজারের বেশি নেতাকর্মী অংশ নেন।
আরো পড়ুন: রংপুরে জিএম কাদেরের বাসভবনে হামলা
আরো পড়ুন:
কুয়েট শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে রাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
অধ্যাদেশ বাতিলের প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের ঘোষণা
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এবং মহানগর সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির।
মহানগর সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াছির বলেন, “গত ২৯ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি ও স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে অতর্কিতভাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বাসায় হামলা চালায়। এসময় চেয়ারম্যান জিএম কাদের বাসভবনে অবস্থান করছিলেন। তাকে হত্যার লক্ষ্যে এই হামলা চালিয়েছে তারা।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমাদের পক্ষ থেকে গতকাল শুক্রবার (৩০ মে) রাতে রংপুর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। মামলাটি নিতে থানার ওসি গড়িমসি করেছেন। এখন পর্যন্ত মামলাটি এজাহারভুক্ত হয়েছে কিনা আমরা জানি না।”
ইয়াছির বলেন, “আমরা চাই দ্রুত মামলাটি এজাহারভুক্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। অন্যথায় জাতীয় পার্টির দুর্গ খ্যাত এই রংপুরে অশান্ত করার চেষ্টা করা হলে পরিণতি ভালো হবে না।” আইনী প্রক্রিয়া দৃশ্যমান না হলে আগামীতে রংপুরে হরতালের মতো কর্মসূচি আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ এম ক দ র জ এম ক দ র র ব সভবন
এছাড়াও পড়ুন:
গোপালগঞ্জে ডিসির বাসভবনে হামলার ঘটনায় ১০১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচি ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের জেরে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) বাসভবনে হামলার ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক ফারুক হোসেন বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি করেন।
মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৬ জুলাই এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ পৌর পার্ক, লঞ্চঘাট, কাঁচাবাজার এলাকাসহ সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে জনগণের মনে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে যান চলাচল ব্যাহত করা হয়। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের পক্ষে মিছিল করা হয়। আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে ও এনসিপির পথসভা নস্যাৎ করতে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিসহ সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করতে জনসাধারণের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করেন। এ সময় জেলা প্রশাসকের বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।
এ নিয়ে গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলা ও ককটেল নিক্ষেপ, পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, জেলা কারাগারে হামলা, জেলা প্রশাসকের বাসভবনে হামলা, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়ানোর অভিযোগে ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মোট ১৪টি মামলা করা হলো। সদর, কাশিয়ানী, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া থানায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে। ১৪টি মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১ হাজার ১৭৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১৪ হাজার ৫৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় ১৬ জুলাই থেকে গত সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৬ জুলাই এনসিপির কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মী ও সমর্থকেরা হামলা চালান। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেদিন প্রথমে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। রাতেই কারফিউ জারি করা হয়। পরে কারফিউর মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। পরে ২০ জুলাই রাত আটটায় কারফিউ ও ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়।