বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ১৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। দায়িত্ব নেওয়ার পরদিনই সাবেক এই ক্রিকেটার নিয়েছেন বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের প্রথম আনুষ্ঠানিক পরিচালনা পর্ষদের সভা। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার লম্বা এই সভায় বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেছেন তিনি। বিপিএলের সর্বশেষ আসরের নানা অনিয়ম থেকে শুরু করে ভবিষ্যতের পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেন তারা। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বোর্ডের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু।

বোর্ডের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে মিঠু বলেন, ‘দুটো পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আমরা একচুয়ালি এটাকে ইমিডিয়েটলি কিক অফ করা হবে। রাজশাহী নর্থ বেঙ্গলে একটা হবে। ক্রিকেট বোর্ডের ওইখানে অফিস বানিয়ে ডিসেন্ট্রালাইজেশন করবে। যেটা আমাদের অনেক দিনের ইচ্ছে। তো এতদিন পরে মনে হয় স্বপ্ন সত্যি হবে। সুতরাং এটা এই মেইনলি ডিসেন্ট্রালাইজেশন ডেভেলপমেন্ট অফ কোচেস, আম্পায়ার, কিউরেটরস থ্রু ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম। এটা স্টার্ট হচ্ছে ট্যালেন্ট হান্ট প্রোগ্রামের মাধ্যমে।’

বোর্ডের আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিতে সিএফও নিয়োগের পরিকল্পনা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা তো কালকে জানেন যে আমরা অ্যাপয়েন্টমেন্ট অফ সিএফও অলরেডি আমরা কাগজে দিয়ে দিচ্ছি। একটা সিএফও অ্যাপয়েন্টমেন্ট করার জন্য। আশা করি ঈদের পর আমরা হয়তো তার ইন্টারভিউ নিতে পারবো।’

বিসিবিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেওয়ার কথা বলেছেন বুলবুল। সেটা কীভাবে তা তুলে ধরে মিঠু বলেন, ‘আমরা যদি এখন এই অর্গানাইজ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড অর্গানাইজেশনকে আমরা মনে করছি, কারণ প্রেসিডেন্ট মনে করছে ওয়ার্ল্ড ক্লাস ঐসব লেভেলে যেতে হলে আমাদের এইচআর অফ মানে রিস্ট্রাকচার করতে হয় ক্রিকেট বোর্ড।’

সর্বশেষ বিপিএলের লভ্যাংশ ও ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর  আর্থিক অনিয়ম তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘রেভিনিউ ফ্রম টিকিট সেল হচ্ছে ১২ কোটি ৩৪ লক্ষ ৯০০ টাকা। আমাদের এক্সপেন্ডিচার ইলেভেন ডেটেড বিপিএল এ হয়েছে। এক্সপেন্ডিচার অফ টিকিট সেল, সেল করার জন্যে যেটা হয়েছে ই-টিকিট সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট চার্জেস, ভ্যাট অন টিকিট সেল এন্ড টিকিট সেল রেভিনিউ শেয়ার আমরা করেছি ফার্স্ট, সেকেন্ড, থার্ড, ফোর্থ টিমের সাথে ৫৫ লক্ষ টাকা আর লেস টিকিট সেল রেভিনিউ শেয়ার যেটা ৪৫ লক্ষ টাকা ৫, ৬, ৭ নম্বর টিমের সাথে। তাতে আমাদের টোটাল টিকিট সেল থেকে এসেছে একচুয়ালি নেট ৩ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা।’

ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সব পাওয়া-দেনা বুঝে নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বরিশাল হ্যাজ নো পেন্ডিং। আর রংপুরও ঈদের আগে দেয়ার অল্প কিছু আছে। রংপুরও কিন্তু ক্লিয়ার করে দিচ্ছে। ওরা ক্লিয়ার করলে তারপরে আমাদের পেমেন্টটা দিবো। কিন্তু বাকি সব টিম তাদের তাদের ডিউ ডিউ আছে। রাজশাহী তো আছেই। সাথে ঢাকা, খুলনা, চিটাগং এদের সাথে হ্যাঁ? কার কত? এই কাগজটা একচুয়ালি আপডেট করতে হবে। ওরা যে টাকা পাবে সেই টাকাটা আমরা করবো কি আগে দিবো।’

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

রিনার সঙ্গে খুব ভালো একটি জীবন কাটিয়েছি, প্রাক্তন স্ত্রীকে নিয়ে আমির

বলিউডের ‘মি. পারফেক্টশনিস্ট’খ্যাত নায়ক আমির খান। সিনেমার পর্দায় সবকিছু নিখুঁতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনটা তার মোটেও নিখুঁত নয়। প্রেম, বিয়ে নিয়ে অনেকবারই আলোচনায় এসেছেন এই অভিনেতা।

আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে অভিনেত্রী রিনা দত্তকে বিয়ে করেন আমির খান। ভালোবেসে বিয়ে করলেও এ সংসার ভেঙে গেছে। কিন্তু তাকে বিয়ে করা কী আমিরের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল? এসব বিষয়ে কথা বলেছেন আমির খান।   

রাজ শামানির পডকাস্টে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন আমির খান। আলাপচারিতায় সঞ্চালক জানতে চান, জীবনের কোন কাজ নিয়ে আপনি অনুতপ্ত? এমন প্রশ্নের জবাবে আমির খান বলেন, “একটি নয়, জীবনে অনেক ভুল করেছি। এর আগে আমি রিনাকে বিয়ে করেছিলাম। তখন আমার বয়স ২১, আর রিনার ১৯ বছর। ১৮ এপ্রিল অর্থাৎ প্রথম দিনেই তাকে আইনিভাবে বিয়ে করেছিলাম।” 

আরো পড়ুন:

‘স্যার আপনার সঙ্গে সময় কাটাতে চান’

আমাদের ‘বিড়াল’ বলেন, পুরুষদের কি ‘কুকুর’ বলবেন, প্রশ্ন রাভিনার

খানিকটা ব্যাখ্যা করে আমির খান বলেন, “আমরা পরস্পরের চার মাসের পরিচিত ছিলাম। আমরা একসঙ্গে অনেক সময় কাটাইনি; পরস্পরকে খুব ভালোবাসতাম। এখন যখন পেছনে ফিরে তাকাই, তখন মনে হয়, এ বিষয়ে আমাদের ভাবা উচিত ছিল। আমরা অনেক বিষয় উপলদ্ধি করতে পারিনি। কারণ আমাদের বয়স তখন কম ছিল এবং আমরা কোনো কিছুরই পরোয়া করিনি।” 

প্রাক্তন স্ত্রী রিনার প্রশংসা করে আমির খান বলেন, “রিনার সঙ্গে খুব ভালো একটি জীবন কাটিয়েছি। দয়া করে আপনারা আমার বক্তব্য ভুলভাবে গ্রহণ করবেন না। আমি বলছি না, রিনা ভুল ছিল, সময়টা ভুল ছিল। রিনা চমৎকার একজন মানুষ। আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি, পরস্পরকে সম্মান করি এবং পরস্পরের প্রতি অনেক ভালোবাসি রয়েছে। আমার মনে হয়, এত অল্প বয়সে জীবনের এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।”

প্রথমবার প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হন আমির খান। দ্বিতীয় ও তৃতীয়বারের চেষ্টাতেও মেয়ের মন জয় করতে পারেননি। চতুর্থ বার প্রেম নিবেদন করেও ব্যর্থ হন আমির। এই মেয়ে আর কেউ নয়, আমিরের প্রথম স্ত্রী রিনা দত্ত। আমিরের পাশের বাড়িতেই থাকতেন রিনা। বাড়ির জানালাও ছিল পাশাপাশি। সেই জানালা দিয়ে প্রকৃতি দেখতে গিয়েই রিনার প্রেমে পড়েন এই অভিনেতা।

কিন্তু তাদের প্রেমের পথ মসৃণ ছিল না। রিনা দত্ত ছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী। অন্যদিকে আমির মুসলিম। পরিবার তাদের সম্পর্ক কিছুতেই মেনে নেয়নি। পালিয়ে বিয়ে করাটাকেই একমাত্র পথ হিসেবে মনে করেন তারা। অপেক্ষা করলেন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য।

১৯৮৬ সাল। আমিরের বয়স ২১। অন্যদিকে রিনার ১৯। কয়েকজন বন্ধুর সহযোগিতায় ম্যারেজ রেজিস্টার অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন এই জুটি। এরপর নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যান। কারণ রিনার পড়াশোনা তখনো শেষ হয়নি। আর আমিরও তখন খুব বেশি আয় করতেন না।

‘কেয়ামত সে কেয়ামত তাক’ সিনেমার পর তাদের প্রেমের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে থাকে। রিনা ও আমিরের দাম্পত্য জীবনে দুই সন্তান— জুনাইদ ও ইরা। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সহ-অভিনেত্রীদের সঙ্গে আমিরের প্রেমের গুঞ্জন রিনার ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। ২০০২ সালে এই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তবে বিচ্ছেদ নিয়ে তাদের কোনো তিক্ততা তৈরি হয়নি।

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ