গুণী অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ধীরগতিতে। সাধারণত নাটকেই অভিনয় করে যাচ্ছিলেন। পরে সিনেমায় অভিনয় করে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসেন। কেবল অভিনয়ে নয় রাজনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়েও সরব থাকতে দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে। সম্প্রতি নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে তার চাওয়া কী, সে বিষয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন।

ফেসবুকে আজমেরী হক বাঁধন লিখেছেন, ‘আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আমি একই রাজনৈতিক কৌশল দেখতে চাই না। ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনের সময়কার দুর্নীতি এবং কারচুপির সাক্ষী আমি। বিগত সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির খুব কাছাকাছি ছিলাম, তখন আমি সরাসরি দেখেছি কীভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। দেখেছি ক্ষমতাসীন দল কীভাবে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব স্বার্থে ব্যবহার করেছিল। আসলে তা ছিল অনৈতিক এবং অন্যায্য।’’

আজমেরী হক বাঁধন আরও লিখেছেন, ‘‘বিগত নির্বাচন জনসাধারণের আস্থাকে ক্ষুন্ন করেছে, গণতন্ত্রকে দুর্বল করেছে এবং আমাদের ভবিষ্যতের উপর স্থায়ী প্রভাব ফেলেছে।’’

আরো পড়ুন:

আশির দশকের বিনোদন

শরিফুল রাজের যে অভ্যাস ফারিণকে অবাক করে দিয়েছে

বাঁধন আশা ব্যক্ত করেছেন, এই সরকার একটি ভিন্ন পথ বেছে নেবেন। যেখানে থাকবে নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা। বাঁধন মনে করেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন কেবল একটি দাবি নয়- এটি জনগণের জন্য এই সরকারের পক্ষ থেকে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং অর্থবহ উপহার হতে পারে। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ