Samakal:
2025-06-03@09:48:30 GMT

ঈদের স্মার্ট ডিভাইস

Published: 1st, June 2025 GMT

ঈদের স্মার্ট ডিভাইস

ঈদে স্মার্ট ডিভাইস কেনার অপেক্ষায় থাকেন অনেকে। কারণ, এ সময় বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায়। স্থানীয় সব ব্র্যান্ড এমন ধারণা থেকেই কিছু সুবিধা নিয়ে কাজ করছে। নতুন মডেলের ল্যাপটপে বিশেষ কিছু সুবিধার কথা বলেছে স্থানীয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড নির্মাতা। আর অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট এখন পাওয়া যাবে ১০ হাজার টাকার মধ্যে। নির্মাতারা জানায়, ব্র্যান্ডের ল্যাপটপে 
রয়েছে ইন্টেল প্রসেসর, প্রিমিয়াম কোয়ালিটির র‌্যাম আর দ্রুতগতির স্টোরেজ। দাপ্তরিক কাজ থেকে শুরু করে ফ্রিল্যান্সিং, ভিডিও সম্পাদনা, গ্রাফিক ডিজাইন বা মাল্টিটাস্কিং ছাড়াও যে কোনো হেভি-ডিউটির প্রয়োজনে মসৃণ ও নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স দেবে। সুদৃশ্য 
ডিজাইন আর স্টাইলিশ ফিনিশিংয়ের ল্যাপটপ শিক্ষার্থী, পেশাজীবী ও প্রযুক্তিনির্ভর আগ্রহীর প্রয়োজন পূরণে সহায়ক হবে।
ওয়ালপ্যাড ট্যাবে রয়েছে স্পেক ও স্মার্টনেসের মিশ্রণ। ট্যাবে রয়েছে সময়োপযোগী প্রসেসর, ক্লিয়ার ডিসপ্লে, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি ব্যাকআপ ও দ্রুতগতির মাল্টিটাস্কিং ফিচার। 
অনলাইন ক্লাস, দাপ্তরিক কাজ, গেমিং ও মুভি উপভোগে গ্রাহকের প্রতিদিনের স্মার্ট সব কাজ সম্পাদনে দেবে সহজ সমাধান।
শুধু ল্যাপটপ বা ট্যাব নয়, বিশেষ সুবিধায় মাউস, কিবোর্ড, এসডি কার্ড, এয়ারফোন, হেডফোন, ডিজিটাল রাইটিং প্যাড, সিসিটিভি, লিকুইড কুলার, র‌্যাম, এসএসডি ছাড়াও কম্পিউটার পণ্যে থাকছে বিশেষ ছাড়। আগ্রহীরা অনলাইনে অর্ডার করতে পারবেন। বিক্রয়োত্তর পরিষেবা থাকবে সব ডিভাইসে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল য পটপ ল য পটপ

এছাড়াও পড়ুন:

মাদ্রাসা শিক্ষকের পিটুনিতে ছাত্রের হাত ভেঙে হাসপাতালে ভর্তি

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানায় হেফজ বিভাগের এক শিক্ষার্থীর ওপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে। রোববার উপজেলার তারাশী-পবনাড়পাড় এলাকার ওই মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। 

পড়া না পারায় বেত দিয়ে বেধড়ক মারধর ও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ায় হামিম শেখ (৮) নামের এক ছাত্রের বাম হাত ভেঙে গেছে। আহত হামিম শেখ গোপালপুর গ্রামের রুহুল আমিন শেখের ছেলে।

জানা যায়, মাদ্রাসার হাফেজ মো. ইব্রাহিম খলিলুর রহমান হামিমকে পড়া জিজ্ঞাসা করলে সে উত্তর দিতে না পারায় শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে বেত দিয়ে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে হামিমের হাত ভেঙে যায়। পরে তার নানী সোনাই বেগম মাদ্রাসা তাকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে এক্স-রেতে হামিমের বাম হাত ভাঙার বিষয়টি নিশ্চিত হলে চিকিৎসকরা ব্যান্ডেজ ও প্রয়োজনীয় ওষুধ দেন।

হামিম শেখ জানায়, হুজুর আমাকে অনেক মারছে, পড়া পারিনি বলেই। শুধু আমাকে না, অন্যদেরও পেটায়। বাড়িতে বলতেও দেয় না। আগে অনেকবার মারলেও কাউকে বলিনি।

নানী সোনাই বেগম বলেন, আমি খাবার দিতে গিয়ে দেখি হামিম কাঁদছে। শিক্ষক বললেন পড়ে গেছে। বাড়ি এনে জামা খুলে দেখি সারা গায়ে বেতের দাগ। হাত ফুলে গেছে। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাই।

তবে মাদ্রাসার মোহতামিম হাফেজ মুফতি আব্দুল্লাহ আল হাফিজ ঘটনার সত্যটা নিশ্চিত করে বলেন, ওস্তাদ শাসনের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছেন। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। বিষয়টি নিয়ে পরিচালনা কমিটির সভা ডাকা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. কুমার মৃদুল দাস বলেন, “শিশুটির হাত ভেঙে গেছে। চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি এক মাসের মধ্যে সে সুস্থ হয়ে উঠবে।”

অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ইব্রাহিম খলিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ