কুলাউড়ায় বিএসএফের গুলিতে নিহত তরুণের লাশ হস্তান্তর
Published: 2nd, June 2025 GMT
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বিএসএফের গুলিতে নিহত প্রদীপ বৈদ্যের মরদেহ হস্তান্তর করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার সকাল ১১টার দিকে মৌলভীবাজারে কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর স্থলবন্দর সীমান্ত দিয়ে ভারতীর পুলিশ কুলাউড়া থানা পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে।
এ সময় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী, পুলিশ, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। নিহত প্রদীপ বৈদ্য শরীফপুর ইউনিয়নের দত্তগ্রামের বাসিন্দা শৈলন্দ্র বৈদ্যের পুত্র এবং তিনি পেশায় একজন দিনমজুর ছিলেন।
গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুলাউড়ার শরীফপুর ইউনিয়নের দত্তগ্রাম সীমান্তের ওপারে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উনকোটি জেলার ইরানী থানার রাঙ্গাউটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবীপুর এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৮৫২ নম্বর পিলারের কাছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফের) গুলিতে প্রদীপ বৈদ্য নিহত হন। ঘটনার ৩৮ ঘণ্টা পর নিহত তরুণের মরদেহ হস্তান্তর করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে স্থানীয় শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জয়নুল ইসলাম জানান, বিএসএফ গুলিতে আমার এলাকার যুবক প্রদীপকে গুলি করে মারা হয়েছে বলে জেনেছি। নিহত প্রদীপ খুবই দরিদ্র পরিবারের ছেলে। তার বড়ভাই জয়ন্ত বৈদ্যকে নিয়ে আজ সকালে চাতলাপুর স্থলবন্দরে কুলাউড়া থানা পুলিশের মাধ্যমে নিহতের মরদেহ গ্রহন করি। সে কোনো চোরাচালানকারী ছিল না। নিরীহ তরুণকে সীমান্তে হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদ জানাই।
কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য্য জানান, চাতলাপুর স্থলবন্দর সীমান্ত দিয়ে ভারতীর পুলিশ সোমবার সকালে কুলাউড়া থানা পুলিশের কাছে প্রদীপ বৈদ্যের মরদেহ হস্তান্তর করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে নিহতের মরদেহ হস্থান্তর করা হবে।
এ ব্যাপারে বিজিবি ৪৬ শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়নের সিও লে.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এসএফ র
এছাড়াও পড়ুন:
সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবার মায়ের মুখ দেখলেন দুই মেয়ে
সীমান্তের ওপারে ভারতে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। শেষবারের মতো প্রিয় মুখখানি দেখতে সেখানে ছুটে যেতে চান এপারে বসবাসকারী দুই মেয়ে। কিন্তু মাঝখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায় দুই দেশের সীমান্ত, যা পাসপোর্ট–ভিসা ছাড়া পাড়ি দেওয়া যায় না।
তবে শেষ পর্যন্ত মায়ের লাশের কাছে পৌঁছাতে দুই মেয়ের ভিসা–পাসপোর্টের দরকার পড়েনি। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মানবিক উদ্যোগে সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখার সুযোগ মেলে তাঁদের।
আজ মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলার জগন্নাথপুর সীমান্তচৌকির বিপরীতে ভারতের নদীয়া জেলার চাপড়া থানার গোংরা এলাকায় লোজিনা বেগমের (৮০) লাশ দেখার জন্য এই সুযোগ করে দেওয়া হয়। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এমন উদ্যোগে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আজ দুপুরে বিজিবির চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের (৬ বিজিবি) পরিচালক, অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দামুড়হুদার জগন্নাথপুর সীমান্তচৌকির (বিওপি) দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্তের প্রধান খুঁটি ৯৬/৮–এসের বিপরীতে ১৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের গোংরা বিএসএফ ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা। সেখানে নদীয়া জেলার চাপড়া থানার গোংরা গ্রামে বসবাসরত ভারতীয় নাগরিক ফকির চানের স্ত্রী লোজিনা বেগম শারীরিক অসুস্থতার কারণে গতকাল সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে মৃত্যুবরণ করেন। বৈবাহিক সূত্রে বাংলাদেশের মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার জয়পুর গ্রামে বসবাস করেন লোজিনা বেগমের দুই মেয়ে বরকতি বেগম (৪৫) ও কুলসুম বেগম (৪০)। মায়ের মৃত্যুর খবরে দিশাহারা হয়ে পড়েন তাঁরা।
বিজিবি আরও জানায়, ভারতীয় ভূখণ্ডে মৃত্যুবরণকারী মাকে শেষবারের মতো দেখতে দুই মেয়েসহ নিকটাত্মীয়রা বিজিবির জগন্নাথপুর সীমান্তচৌকির কমান্ডার নায়েক সুবেদার মো. আবুল হাসানকে অনুরোধ করেন। এমন অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবি ও বিএসএফের সমন্বয়ে মানবতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সীমান্তের প্রধান খুঁটি ৯৬/৮–এসের কাছে শূন্যরেখায় আজ সকাল ৯টা ১০ মিনিট থেকে ৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে লাশ দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়। মারা যাওয়া নারীর দুই মেয়েসহ দুই দেশের নাগরিক ও নিকটাত্মীয়দের উপস্থিতিতে সেখানে বেদনাবিধুর পরিবেশ তৈরি হয়।
বিজিবি–বিএসএফের পাহারায় সীমান্তের শূন্যরেখায় মায়ের লাশ দেখার সুযোগ পান দুই মেয়ে। আজ মঙ্গলবার সকালে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জগন্নাথপুর সীমান্তে