অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, গত ১৫ বছরে নজিরবিহীন লুটপাট, দুর্নীতি ও অপশাসনের মাধ্যমে আর্থিক খাতকে ধ্বংসের কিনারায় নেওয়া হয়েছে। খেলাপি ঋণ বাড়লেও বারবার পুনঃতপশিল করে প্রকৃত অবস্থা গোপন রাখা হয়। ব্যাংক খাতের সময়োপযোগী সমাধান এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ করা হয়েছে। আমানতকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে সরকার সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সোমবার বিকেলে বাজেট উপস্থাপন বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা—যা চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এখন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী খেলাপি ঋণ ও প্রভিশনিং করা হচ্ছে। প্রকৃত তথ্য সামনে আসায় খেলাপি ঋণ ২০২৩ সালের জুনের ১০ দশমিক ১১ শতাংশ থেকে বেড়ে গত ডিসেম্বরে ২০ দশমিক ২০ শতাংশ হয়েছে। সম্পদের গুণগত মান যাচাইয়ের (একিউআর) মাধ্যমে প্রকৃত অবস্থা নিরূপণ করা হচ্ছে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ব্যাংকিং খাতের দীর্ঘদিনের কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও আমানতকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে সরকার গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে।

তিনি বলেন, ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি, তারল্য সংকট, দেউলিয়াত্ব বা অস্তিত্বের জন্য হুমকি এ ধরনের ঝুঁকির সময়োপযোগী সমাধান এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে ব্যাংক রেজোল্যুশন অধ্যাদেশ করা হয়েছে। ব্যাংকগুলোর সম্পদের গুণগত মান পর্যালোচনা, নীতি ও প্রবিধানসমূহের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়াতে তিনটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চুরি বা পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আর থ ক

এছাড়াও পড়ুন:

দেশ পুনর্গঠনের প্রত্যয়ের আশানুরূপ প্রতিফলন নেই

এ টি এম মা’ছুম
ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল
জামায়াতে ইসলামী

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট আগের বাজেটগুলোর মতোই গতানুগতিক। এবার বাজেটে ব্যয় না বাড়লেও তেমন কোনো ব্যয় কমেওনি। এতে কোনো নতুনত্বের ছোঁয়া নেই। জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী প্রথম বাজেটে নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠনের প্রত্যয় আশানুরূপ প্রতিফলিত হয়নি। 
বাজেটে বড় অঙ্কের ব্যয় মেটাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। গত অর্থবছরেও এর কাছাকাছি অর্জন করা সম্ভব হয়নি, যা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ বলে আমরা মনে করছি। বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি বাজেট বাড়িয়ে ২ লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যার একটি বড় অংশ আসবে বৈদেশিক উৎস থেকে। বাজেটে বিদেশনির্ভরতা কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। 
এ ছাড়া কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাড়ানো হয়েছে, যা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। আশা করি, সরকার ঘোষিত বাজেটকে গণমুখী করার জন্য আয়কর আরও কমিয়ে এনে জনকল্যাণ খাতে বরাদ্দ বাড়াবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সব করদাতার অনলাইনে রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক হচ্ছে
  • ১১ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয়ের পরিকল্পনা
  • বাজেট কিছুটা গতানুগতিকই হয়েছে
  • অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দিকনির্দেশনা নেই বাজেটে
  • লেনদেন কর বাদ দেওয়া প্রয়োজন: এমসিসিআই
  • পণ্য রপ্তানি বেড়েছে সাড়ে ১১ শতাংশ
  • মে মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ 
  • অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতার পূর্বাপর
  • দিন পার করার বাজেট
  • দেশ পুনর্গঠনের প্রত্যয়ের আশানুরূপ প্রতিফলন নেই