লিপস্টিকসহ বিভিন্ন প্রসাধন সামগ্রীর দাম বাড়ছে
Published: 2nd, June 2025 GMT
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঠোঁট, চোখ ও মুখমণ্ডলে ব্যবহৃত বিদেশি প্রসাধনপণ্যের ওপর কর বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে লিপস্টিকসহ বিভিন্ন প্রসাধন সামগ্রীর দাম বাড়তে পারে।
সোমবার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, বাজেট প্রস্তাবে রাজস্ব আয় বাড়াতে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে প্রসাধন সামগ্রী, বিশেষ করে লিপস্টিকের মতো পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
বাজেট ঘোষণার পর নাগরিকদের কাছ থেকে মতামত নিয়ে তা চূড়ান্ত করা হবে। আগামী ২৩ জুনের পর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদনের পর রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাজেট কার্যকর হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব জ ট ২০২৫ ২৬
এছাড়াও পড়ুন:
পবিত্র ঈদুল আজহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা
পবিত্র ঈদুল আজহা দোরগোড়ায়। ঈদের আনন্দে মাতবে দেশ। কিন্ত আনন্দ যেন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পরিণত না হয়, সে বিষয়েও আমাদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কী খাচ্ছি, কতটুকু খাচ্ছি, শরীরে বিভিন্ন খাবারের কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে, তার দিকেও একটু নজর দেওয়া দরকার।
লাল মাংস খাওয়া কি খারাপ
গরু বা খাসির মাংস প্রোটিন, আয়রন, জিংক, ভিটামিন বি১২ ও বি৬–এর সমৃদ্ধ উৎস। বিশেষ করে যাঁরা পর্যাপ্ত প্রোটিন খান না, তাঁদের জন্য এ সময় মাংস পুষ্টিগুণের উৎস হতে পারে। মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হলো, এর পরিমাণ নির্ধারণ, প্রক্রিয়াজাত করা ও খাওয়ার ধরন। একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের জন্য দৈনিক ৫০ থেকে ৭৫ গ্রাম রান্না করা লাল মাংস যথেষ্ট। কিন্তু কোরবানির ঈদে দিনে একাধিকবার অনেকটা মাংস খাওয়া হয়ে যায়। এ ছাড়া অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত মাংস, তেল ঝাল-মসলাযুক্ত রান্না শরীরে সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই জানতে হবে, মাংস খাওয়ার স্বাস্থ্যসম্মত নিয়ম কী।
পরিমাণ: প্রতিবারের খাবারে ৫০ থেকে ৭৫ গ্রাম রান্না করা মাংস যথেষ্ট। অতিরিক্ত খেলে পেট ভার হয়ে যায়, গ্যাস বা অ্যাসিডিটি হতে পারে। চর্বি বাদ: মাংসের গায়ে দৃশ্যমান চর্বি কেটে বাদ দিতে হবে।
রান্নার পদ্ধতি: কম তেল-মসলা দিয়ে ঝোল বা সেদ্ধজাতীয় রান্না হজমে সহায়ক। সবজি বা সালাদের সঙ্গে মিলিয়ে খেলে পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ ও হজমে সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত এক বেলার খাবারে সবজি রাখুন।
শর্করা কমান: অনেকে মাংসের সঙ্গে বেশি ভাত, পোলাও বা পরোটা খেয়ে ফেলেন। এতে অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করা হয়। তাই শর্করা কমান।
রোগীদের জন্য সতর্কতা
ঈদের সময়ে হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা আছে এমন ব্যক্তিদের জন্য অতিরিক্ত লাল মাংস খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। হৃদ্রোগীদের জন্য চর্বিহীন সেদ্ধ বা গ্রিলড মাংস ভালো। কিডনির রোগীদের উচ্চ প্রোটিন গ্রহণ ক্ষতিকর।
সংরক্ষণে সচেতনতা
মাংস সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণেও সচেতনতা জরুরি। মাংস ঠিকভাবে না ধুয়ে বা রক্ত না ঝরিয়ে সংরক্ষণ করলে তা পচে যেতে পারে বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটাতে পারে। ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে, পানি ঝরিয়ে ‘ফুড গ্রেড’ প্যাকেটে রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে। কাটাকাটির পর দুই ঘণ্টার ভেতর রেফ্রিজারেট করতে পারলে ভালো। ফ্রোজেন মাংস রান্নার আগে ভালোভাবে গরম করতে হবে যাতে জীবাণু ধ্বংস হয়। রান্নার সময় হাত ধোয়া, কাটার বোর্ড ও ছুরি জীবাণুমুক্ত রাখা জরুরি।
পানীয় ও হজমে সহায়ক
ঈদের সময় ‘রিচ ফুড’ খাওয়ার ফলে অনেকেই গ্যাস্ট্রিক, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য বা বুক জ্বালাপোড়ায় ভোগেন। এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে কিছু অভ্যাস কাজে আসতে পারে। প্রচুর পানি পান করুন। লেবুপানি, ইসবগুলের ভুষি, টক দই হজমে সহায়ক। জিরা, আদা, পুদিনা বা ধনিয়া পাতা দিয়ে তৈরি পানীয় পেটের সমস্যা কমায়। ভরপেট না খেয়ে ছোট ছোট ভাগে কয়েকবার খাওয়া উচিত।
ডা. গুলজার হোসেন: সহকারী অধ্যাপক, রক্তরোগ বিভাগ, বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটি (সাবেক বিএসএমএমইউ)
আগামীকাল পড়ুন:
যেসব খাবার ঈদের সময়ই খাওয়া হয়