মার্স সোসাইটি আয়োজিত ইউনিভার্সিটি রোভার চ্যালেঞ্জ ২০২৫ প্রতিযোগিতায় এশিয়ায় টানা চতুর্থবারের মতো প্রথম স্থান অর্জন করেছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) ‘ইউআইইউ মার্স রোভার টিম’। একইসঙ্গে তারা বিশ্বের ষষ্ঠ স্থান অর্জন করে।

গত ২৮ মে থেকে ৩১ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউটা স্টেটের হ্যাঙ্কসভিলে অবস্থিত বিখ্যাত মার্স ডেজার্ট রিসার্চ স্টেশনে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে, ২০২২, ২০২৩ এবং ২০২৪ সালের ইউনিভার্সিটি রোভার চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায়ও এশিয়ায় প্রথম হয়েছিল ‘ইউআইইউ মার্স রোভার টিম’।

আরো পড়ুন:

নতুন নোটে লোগোসহ যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের গ্রাফিতি

রাবির ‘এ’ ইউনিটের বিষয়ভিত্তিক মেধাতালিকা প্রকাশ

তিনদিনের চূড়ান্ত রাউন্ডে নিজেদের তৈরি রোভারের ক্ষমতা এবং অপারেশন দক্ষতা প্রদর্শন করে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। এজন্য রোভারগুলোকে অনুসন্ধান, স্বয়ংক্রিয় নেভিগেশন, চরম পরিস্থিতি মোকাবেলার সক্ষমতা এবং ইকুইপমেন্ট সার্ভিসিং-এ চারটি মিশন সফলতার সঙ্গে অতিক্রম করতে হয়েছে।

ইউআইইউ মার্স রোভার টিম, মিশন অতিক্রমের এ সফলতায় চূড়ান্ত পর্বে ৩৮টি দলের মধ্যে বিশ্বে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করলেও এশিয়ার দলগুলোর মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। এছাড়াও প্রতিযোগিতার বিজ্ঞান মিশনে ইউআইইউ মার্স রোভার টিম ১০০ স্কোরের মধ্যে ১০০ স্কোর করে সেরা বিজ্ঞান দলের পুরষ্কার জিতেছে, যা এশিয়ান দলের জন্য এটিই প্রথম।

প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পোল্যান্ড, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, চিলি, মেক্সিকো এবং তুরস্কসহ প্রায় ১৫টি দেশের প্রতিযোগিদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ‘ইউআইইউ মার্স রোভার’ দল। 

বিজয়ী ইউআইইউ দলটির তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিশ্ববিদ্যলয়টির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের প্রভাষক মো.

আবিদ হোসাইন। ইউআইইউ সেন্টার ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেঞ্চ অ্যান্ড রোবটিক্সের (সিএআইআর) ১০ জন ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে এ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে।

এই প্রকল্পের টিম লিডার হলেন- ইউআইউ’র ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মুশফিকুর রহমান। অন্যদের মাঝে মেকানিক্যাল সাব টিমে মো. সিয়াম বিন রশীদ, ইলেকট্রিক্যাল সাব টিমে গাজী তাওসিফ তুরাবি, সফটওয়্যার সাব টিমে আহমেদ জেবাইল সৌখিন, কমিউনিকেশন সাব টিমে মো. ইফতে ফয়সাল এবং সায়েন্স সাব টিমে সাইফ আল সাদ নেতৃত্ব দিয়েছেন।

চূড়ান্ত পর্বের ৩৮টি দলের চ্যাম্পিয়নশিপের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৪১২.২৭ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মিসৌরি ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ‘মার্স রোভার ডিজাইন টিম’ দল, ৩৯৬.১৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ইউনির্ভাসিটির ‘টিম মাউন্টেনিয়ারস’ দল, ৩৬২.৪২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হয়েছে নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ‘নর্থইস্টার্ন মার্স রোভার টিম’, ৩৫৬.৭৬ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রিংহাম ইয়ং ইউনিভার্সিটির ‘বিওয়াইইউ মার্স রোভার’ দল, ৩৫১.২৫ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম হয়েছে  রেজেসো ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির ‘লেজেন্ডারি রোভার’ দল এবং ৩২৫.৯৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘ইউআইইউ মার্স রোভার টিম’ ষষ্ঠ হয়েছে।

এছাড়াও ইউনিভার্সিটি রোভার চ্যালেঞ্জ-২০২৫ এর ফাইনালে বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী অন্য দলগুলোর পজিশন হলো- ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ব্র্যাকইউ মঙ্গল-তরী’ দল অষ্টম, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির টিম ‘এমআইএসটি মঙ্গল বারতা’ দল ১৪তম এবং ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির ‘প্রজেক্ট আলটেয়ার’ দল ১৮তম হয়েছে।

ঢাকা/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউআইইউ ম র স র ভ র ট ম য ক তর ষ ট র চ ড় ন ত পর ব ইউন ভ র স ট প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত 

ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ এর খসড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিনো পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  

এতে বলা হয়, ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা বিষয়ক সমস্যা সমাধানে প্রতিবেশী দেশগুলোসহ অন্যান্য দেশের এ সংক্রান্ত আইন বা আইনের সমকক্ষ ডকুমেন্ট বিবেচনায়‌ এবং বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে সমাদৃত হয় এ রকম একটি আইনের রূপকল্প নিয়ে ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়ছে। যে কোনো নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য-উপাত্ত তার সম্পদ। রাষ্ট্র এর সুরক্ষা দিতে দায়বদ্ধ। বর্তমান সময়ে ব্যক্তিগত সকল তথ্যই বিশ্বব্যপী বিভিন্নভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং নাগরিকদের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য বয়ে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলঅ হয়েছে, নাগরিকদের তথ্যের গোপনীয়তা, সুরক্ষা এবং তা আইনানুগ পদ্ধতিতে সংগ্রহ, সংরক্ষণ, ব্যবহার দেশে কিংবা দেশের বাইরে উপাত্তধারীর সম্মতি সাপেক্ষে হওয়া উচিত। বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই ব্যক্তিগত তথ্যের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হলেও তার গোপনীয়তা, সুরক্ষা ও আইনানুগ পদ্ধতিতে সংরক্ষণ এবং প্রয়োজনে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে  কোনো আইন প্রণীত হয়নি। সে কারণেই জনসাধারণের তথ্য সরকারি, বেসরকারি বা অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠান ইচ্ছেমতো সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও স্থানান্তর করে আসছে। এ কারণে অপ্রয়োজনীয় ও অপরিকল্পিতভাবে তথ্য সংগ্রহ ও আদান প্রদানের ক্ষেত্রে দেশের জনসাধারণ তাদের তথ্যের আইনী অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।


বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকারের মেয়াদে খসড়ায় এ সংক্রান্ত উত্তম চর্চার প্রতিফলন ঘটিয়ে একটি ব্যবসাবান্ধব আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়িক সংগঠন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তথ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো, মিডিয়া এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মতামত গ্রহণের জন্য অধ্যাদেশের খসড়া কপি একাধিকবার অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে। একইভাবে স্টেকহোল্ডারদের উপস্থিতিতে একাধিক সভা আয়োজন করে মতামত নেওয়া হয়েছে। প্রাপ্ত মতামত যাচাই-বাছাই করে খসড়াটি সংযোজন বিয়োজনের মধ্য দিয়ে বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রস্তাবিত বাজেট পুঁজিবাজারে গতিশীলতা আনবে: সিএসই
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (৪ জুন ২০২৫)
  • আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা
  • অধ্যাদেশের কিছু ক্ষেত্রে অপপ্রয়োগের সুযোগ রয়েছে: আইন উপদেষ্টা
  • বাজেটে জন-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন হয়নি: নাহিদ
  • এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচনী বোর্ড গঠন করল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
  • ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫–এর খসড়া চূড়ান্ত
  • ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত 
  • মানসিক চাপ মাপতে আসছে ই–ট্যাটু