রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকায় বাসের ধাক্কায় কামরুল ইসলাম নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতে তিনি মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি ডিএমপির মতিঝিল থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

শাহজাহানপুর থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সমকালকে বলেন, সবুজবাগ এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন এসআই কামরুল। পেশাগত দায়িত্ব পালনের উদ্দেশে রাত সোয়া ৮টার দিকে তিনি বাসা থেকে বেরিয়ে মতিঝিলের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে উড়ালসড়কের শাহজাহানপুর প্রান্তে নেমে সামান্য এগোতেই বলাকা পরিবহনের একটি বাস তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি জানান, দুর্ঘটনায় দায়ী বাসটি জব্দ এবং এর চালককে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন ন হত এসআই

এছাড়াও পড়ুন:

ব্যবসায়ী হত্যায় মেনন ৫ দিনের রিমান্ডে 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর শাহবাগে ঝুট ব্যবসায়ী মো. মনিরকে হত্যার মামলায় সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্যদিকে, সাজেদুর রহমান ওমর নিহতের মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসানকে এবং তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার এক হত্যাচেষ্টার মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের নেত্রী শামীমা আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সোমবার (২ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাইনুল ইসলাম খান পুলক আসামি রাশেদ খান মেননের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আবুল হাসানকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসআই আমিরুল ইসলাম মীর। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ শামীমা আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে।

আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানির দিন সোমবার ধার্য করেন। এদিন শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।

শুনানি শেষে আদালত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। রাশেদ খানন মেননের ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। 

মনির হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট শাহবাগ থানাধীন চাঁনখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন ক্ষুদ্র ঝুট ব্যবসায়ী মো. মনির। দুপুরে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী গত ১৪ মার্চ শাহবাগ হত্যা মামলা করেন।

সাজেদুর রহমান ওমর হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২১ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলা ফুটওভার ব্রিজের নিচে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন সাজেদুর রহমান ওমর। বিকেলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ আগস্ট মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ৩ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় সৈয়দ তানভীর আহমেদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

ঢাকা/এম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৫ লাখ টাকা ঘুষ চাওয়া সেই এসআই বরখাস্ত
  • সেই এসআই আবু জাফর সাময়িক বরখাস্ত
  • ‘পাঁচ লাখ টাকা দিলে মামলা থেকে নাম বাদ দেব’
  • খুলনায় ছুরিকাঘাতে ওয়াসার শ্রমিক নিহত
  • আটক যুবলীগ নেতাকে পালাতে সহায়তা করায় যুবদল নেতা বহিষ্কার
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেই যুবদল নেতা মিজানকে বহিষ্কার
  • রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
  • বিভাগীয় মামলায় ছাড় পেয়েছেন ৪১ শতাংশ
  • ব্যবসায়ী হত্যায় মেনন ৫ দিনের রিমান্ডে