সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্তের ওপারে নারী-শিশুসহ ৬ জন বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে  উপজেলার ভাদিয়ালী সীমান্তের বিপরীতে ভারতের অভ্যন্তরে হাকিমপুরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ছয়জন বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেন বিএসএফ।

হস্তান্তরকারীরা হলেন- নড়াইল জেলার কালিয়া থানার বিষ্ণপুর গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের স্ত্রী  জরি বেগম (৭০), মৃত ইসহাক শেখের মেয়ে সালমা বেগম (৪১), ফারুক শেখের ছেলে আসিব শেখ (১১), শিশু সাকিব শেখ (০৪), টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ভাতকুড়া গ্রামের আফসার উদ্দীন শেখের মেয়ে মরিয়ম(৪৩) ও পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার মাছুয়াখালী গ্রামের নজরুল গাজির স্ত্রী ঝর্ণা বেগম (৪২)। অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করছিলেন, এমন অভিযোগে তাদের আটক হয়।

সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লে.

কর্নেল আশরাফুল হক জানান, সোমবার ২ জুন বিকাল পাঁচটার দিকে কলারোয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী মাদরা সীমান্ত পিলার ১৩/৩ এস, জই-৭ ও জই-৮ এর মধ্যবর্তী শূন্য রেখা থেকে ৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে হাকিমপুর নামক স্থানে ১৪৩ বিএসএফের আহ্বানে দু’দেশের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সাতক্ষীরা ৩৩-বিজিবির পক্ষ থেকে কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মো. শাহ আলম এবং ভারতের ১৪৩-বিএসএফের পক্ষ থেকে কোম্পানি কমান্ডার এসি স্বজন দীপ নেতৃত্ব দেন। পতাকা বৈঠক শেষে ভারতে আটক ৬ বাংলাদেশিকে বিজিবির নিকট হস্তান্তর করেন বিএসএফ। পরে বিজিবি তাদেরকে কলারোয়া থানায় সোপর্দ করে বলেও তিনি জানান।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ সাইফুল ইসলাম হস্তান্তরকৃত ৬ বাংলাদেশির সোপর্দ করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এসএফ ব এসএফ কল র য়

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলে বিএসএফ, স্থানীয়দের প্রতিবাদ
  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তা নিয়োগ, বেতন ৫১,০০০ টাকা
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক