চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত খেলেছেন লামিনে ইয়ামাল। বার্সার লা লিগা জয় এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি পর্যন্ত আসায় অন্যতম ভূমিকা ১৭ বছরের এ তরুণের। সৃষ্টিশীল ফুটবলে সবাইকে মাত করে দেওয়া ইয়ামালকে টপকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেরা তরুণ খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন পিএসজির দেজিরে দুয়ে। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন তাঁর সতীর্থ উসমান দেম্বেলে।
দুয়ের সেরা তরুণ হওয়াটা অবশ্য অপ্রত্যাশিত নয়। ফাইনালে জোড়া গোল ও এক অ্যাসিস্ট করে পিএসজির নায়ক ১৯ বছরের দুয়ে। মিউনিখের অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায় শনিবার রাতে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করার মূল কারিগর এ তরুণ। বার্সার হয়ে ইয়ামাল এবার ৫টি গোল ও ৪টি অ্যাসিস্ট করেন। এর পরও ১৭ বছরের এ তারকা বার্সাকে ফাইনালে নিয়ে যেতে পারেননি। এখানেই পিছিয়ে পড়েন ইয়ামাল। দুয়েও এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৫টি গোল ও ৪টি অ্যাসিস্ট করেছেন। তবে ফাইনালের পারফরম্যান্সে ইয়ামালকে পেছেন ফেলে দেন।
দেম্বেলের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পাওয়া এক প্রকার নিশ্চিতই ছিল। এ ক্ষেত্রে তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বার্সার রাফিনহা। কিন্তু রাফিনহাও দলকে ফাইনালে নিতে পারেননি। এখানেই লড়াই থেকে ছিটকে যান তিনি। দেম্বেলে এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৮ গোল ও ৬ অ্যাসিস্ট করে পিএসজির শিরোপা জয়ে অন্যতম ভূমিকা রাখেন। আর ক্যারিয়ারসেরা মৌসুম কাটানো রাফিনহা ১৪ ম্যাচে ১৩ গোল করার পাশাপাশি ৯টি অ্যাসিস্টও করেছেন।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মৌসুম সেরা একাদশ: জিয়ানলুইজি দোনোরুমা (পিএসজি), আলেসান্দ্রা বাস্তোনি (ইন্টার), মার্কিনহোস (পিএসজি), আশরাফ হাকিমি (পিএসজি), নুনো মেন্দেজ (পিএসজি), ডেকলান রাইস (আর্সেনাল), ভিতিনহা (পিএসজি), রাফিনহা (বার্সা), লামিনে ইয়ামাল (বার্সা), দেজিরে দুয়ে (পিএসজি) ও উসমান দেম্বেলে (পিএসজি)।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প এসজ উসম ন ড ম ব ল অ য স স ট কর ফ ইন ল প এসজ
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটক বরণে প্রস্তুত হাওর ও পাহাড়
হ্রদ ও পাহাড়ে ঘেরা পার্বত্য জেলা রাঙামাটি। প্রতি ঈদের ছুটিতে পর্যটকের পদচারণায় মুখর থাকে জেলার বিনোদন কেন্দ্রগুলো। এবার ঈদুল আজহায় লম্বা ছুটি থাকায় পর্যটকের ভিড় বাড়বে বলে আশা হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট মালিকদের। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। ইতোমধ্যে শহরের হোটেল-মোটেলের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কক্ষ বুক হয়ে গেছে।
এদিকে ঈদের ছুটিতে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে ছুটবেন হাজারো পর্যটক। ছুটি শুরুর আগেই শত শত ভ্রমণপিপাসু বুকিং করে রেখেছেন পর্যটকবাহী নৌযান। জানা গেছে, টাঙ্গুয়ার হাওরের বিলাসবহুল ৯০টি বোটসহ দেশীয় বোটগুলোও ইতোমধ্যে বুক হয়ে গেছে। বোট পরিচালনায় থাকা সবাই ব্যস্ত পর্যটক বরণে।
হাউসবোট ও দেশীয় বোট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘ ১০ দিনের ছুটিতে বিপুলসংখ্যক পর্যটক টাঙ্গুয়ায় আসবেন– এমন আশা থেকে বোটগুলো নতুন রং, পর্দা, বিছানার চাদরসহ নানা কাজ করে রীতিমতো উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। ৯ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত প্রায় সব বোটই অগ্রিম ভাড়া হয়ে আছে।
সুনামগঞ্জ হাউসবোট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরাফাত আকন্দ বলেন, আমাদের ৯০টি হাউসবোটের প্রায় সব বুকিং শেষ। এবার সব বোটেরই অন্যান্য প্রস্তুতির পাশাপাশি অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, পর্যটকদের জন্য লাইফ জাকেট ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা সন্তোষজনক করেই বোট ঘুরবে টাঙ্গুয়ার হাওরে। সমিতির পক্ষ থেকে থাকছে কঠোর মনিটরিং।
তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঈদের ছুটিতে টাঙ্গুয়ায় পর্যটকের ভিড় হবে চিন্তা করেই পুলিশকে আলাদাভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নৌ-পুলিশ এবং ট্যুরিস্ট পুলিশও কাজ করবে হাওরে। ঘাটগুলোতে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের মোবাইল ফোন নম্বরগুলো টাঙিয়ে দেওয়া হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম বললেন, টাঙ্গুয়ায় ভ্রমণ নীতিমালা মেনে সব বোট নিয়ে ঢুকতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা ছুটে যান রাঙামাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে। পর্যটন ব্যবসায় জড়িতরা জানান, এবার টানা ১০ দিনের ছুটিতে রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন হোটেল ও মোটেলগুলোতে অগ্রিম ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বুকড দিয়েছেন পর্যটকরা। ইতোমধ্যে রাঙামাটি সরকারি পর্যটন মোটেলে ৮০ শতাংশ রুম বুক হয়েছে। রাঙামাটিতে পর্যটনের আকর্ষণীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে ঝুলন্ত সেতু, রাজ বনবিহার, জেলা প্রশাসনের বাংলো, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধি, পুলিশের পলওয়েল পার্ক, আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়ক। টানা বৃষ্টিতে কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্য আরও বেড়েছে, তাই দেখতে ছুটবেন পর্যটকরা।
মেঘ ও পাহাড়ঘেরা সাজেকে রিসোর্ট ও কটেজের অধিকাংশ কক্ষ বুক হয়েছে। হোটেল মতিমহলের ব্যবস্থাপক চন্দন দাশ জানান, এবার ঈদের ছুটিতে তাঁর হোটেলে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ অগ্রিম কক্ষ বুক হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্য বাকি কক্ষও বুক হয়ে যাবে। সাজেক কটেজ-রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেববর্মণ জানান, সাজেকের কটেজ ও রিসোর্ট টানা ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
রাঙামাটি সরকারি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, ঝুলন্ত সেতুসহ পর্যটন স্থানগুলো নতুন করে সাজানো হয়েছে। পর্যটকদের জন্য পর্যটন মোটেলে নতুন সংযোজন হয়েছে সানরাইস ইকো পার্ক। এ পার্কে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে।
(তথ্য দিয়েছেন রাঙামাটি অফিস এবং সুনামগঞ্জ ও তাহিরপুর প্রতিনিধি)