দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী আকিজ রিসোর্স-এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আকিজ শিপিং আন্তর্জাতিক অর্থ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন (IFC)-এর সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেছে। প্রস্তাবিত এই অর্থায়নের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮ কোটি মার্কিন ডলার, যা আকিজ শিপিংয়ের পরিবহন বহর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে ব্যবহার হবে। এই অংশীদারত্ব বাংলাদেশের নৌপরিবহন অবকাঠামোকে শক্তিশালী করবে, বিদেশি জাহাজ নির্ভরতা কমাবে এবং পরিবেশবান্ধব শিপিং কার্যক্রম ত্বরান্বিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আকিজ রিসোর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা আইএফসির সঙ্গে অংশীদারিত্ব আকিজ রিসোর্সের জন্য শুধু একটি কৌশলগত পদক্ষেপ নয়, বরং একটি যুগান্তকারী অগ্রগতি।’

তিনি বলেন, ‘এই অংশীদারিত্ব আমাদের জাতীয় শিপিং সক্ষমতা বাড়াতে এবং টেকসই বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী আমাদের অগ্রযাত্রাকে আরও গতিশীল করতে সহায়তা করবে। আমরা দায়িত্বশীল প্রবৃদ্ধি এবং উদ্ভাবনভিত্তিক দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

প্রয়াত শেখ আকিজ উদ্দিনের আদর্শ ও উত্তরাধিকারকে ধারণ করে প্রতিষ্ঠিত আকিজ রিসোর্স বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ও বহুমুখী শিল্পগ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটি সিমেন্ট, স্টিল, খাদ্য, লজিস্টিকস, তথ্য প্রযুক্তি, শিপিংসহ আরও বহু খাতে সফলভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ১৬টি আধুনিক কারখানা ও ৬০০০-এর বেশি কর্মী নিয়ে আকিজ রিসোর্স উদ্ভাবন ও টেকসই প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে।

বিশ্বব্যাংকের অঙ্গসংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) উদীয়মান বাজারে বেসরকারি খাতে টেকসই বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে দারিদ্র্য হ্রাস এবং জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে। আকিজ শিপিং-এর সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ লজিস্টিক খাতে অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধির আইএফসি কৌশলের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

আইএফসির ইনফ্রাস্ট্রাকচার খাতের আঞ্চলিক ইন্ডাস্ট্রি ম্যানেজার এডোরে অনোমাকপোমে বলেন, ‘বাংলাদেশের নৌপরিবহন খাতে টেকসই অগ্রগতির জন্য আকিজ শিপিং-এর এই উদ্যোগে অংশ নিতে পেরে আমরা গর্বিত। এই উদ্যোগটি দেশীয় লজিস্টিকস অবকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং পরিবহন খাতে আরও কার্যকর ও টেকসই নৌপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।’

অর্থায়নের পাশাপাশি, আইএফসি আকিজকে টেকসইতা লক্ষ্য অর্জনে সহায়তার জন্য একটি সহযোগিতা চুক্তিপত্রে সই করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের শিপিং খাতের ব্যাপক বাজার ও প্রযুক্তিগত মূল্যায়ন, আকিজ শিপিংয়ের সম্পূর্ণ নৌজাহাজ বহরের জন্য একটি ডিকার্বোনাইজেশন রোডম্যাপ তৈরিতে সহায়তা, এবং কোম্পানির পরিবেশগত, সামাজিক ও কর্পোরেট শাসন (ইএসজি) অনুশীলন উন্নয়নে সমর্থন।

বর্তমানে আকিজ শিপিং ১০টি ওশানগোয়িং ড্রাই বাল্ক ভেসেল এবং ৪০টি লাইটার জাহাজ পরিচালনা করছে, যা ডেডওয়েট টনেজ (ডিডব্লিউটি) অনুসারে বাংলাদেশের বাজারে প্রায় ১৪% অংশীদারিত্বের প্রতিনিধিত্ব করে। এই কার্যক্রম এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন বাণিজ্যিক রুটে বিস্তৃত। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ ক ত সই ন পর বহন র জন য ট কসই

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিটের ভূমি অধিগ্রহণে জালিয়াতি, মামলার অনুমোদন

প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভূমি অধিগ্রহণের ৪ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৪১৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মো. রিয়াজ উদ্দীন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুদকের ডেপুটি ডিরেক্টর আকতারুল ইসলাম (জনসংযোগ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-১) অধীন রূপগঞ্জ উপজেলার পিতলগঞ্জ মৌজায় ডিপো এক্সেস করিডোর নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। জালিয়াতির মাধ্যমে মো. রিয়াজ উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তার ভূমি অধিগ্রহণের নামে সরকারি কোষাগার থেকে ৪ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৪১৮ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ফেনীতে ছাত্র হত্যা: শেখ হাসিনাসহ ২২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

নূরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, ১২ বছর পর তোলা হলো আবু বকরের দেহাবশেষ

দুদক জানায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি রিয়াজ সংশ্লিষ্ট জমির মূল দলিল হারিয়ে গেছে মর্মে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানায় পাঁচটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরবর্তীতে তিনি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ওই দলিলগুলোর সার্টিফায়েড কপি উত্তোলন করে ভূমি অধিগ্রহণ অফিসে জমা দেন এবং ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলন করেন।

শুধু তাই নয়, ওই রিয়াজের বিরুদ্ধে বড় ধরনের প্রতারণার প্রমাণও পেয়েছে দুদক। সে তার জমি ইতোপূর্বে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (সোনালী ব্যাংক) কাছে বন্ধক রাখে এবং বন্ধকী দলিল এখনো কার্যকর রয়েছে।

প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করায় মো. রিয়াজ উদ্দীনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় মামলার অনুমোদন করা হয় বলে দুদক জানায়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ