অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বাজেট জনবান্ধব, ব্যবসাবান্ধব। তবে কখনোই পুরোপুরি ব্যবসাবান্ধব করা সম্ভব না। এক দিকে কর কমাতে গেলে আরেকদিকে বাড়াতে হবে। তবে হুট করে রাজস্ব বাড়ানো সম্ভব না। এবার প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেয়ে মানুষের জীবন যাত্রা স্বচ্ছ, সহজ করার ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।’

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ স‌ম্মেল‌নে উপ‌স্থিত আছেন শিক্ষা ও প‌রিকল্পনা উপ‌দেষ্টা ড.

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বিদ্যুৎ জ্বালানি সড়ক সেতু ও রেলপথ উপ‌দেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি  উপদেষ্টার মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাণিজ্য, বিমান বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। আরও উপস্থিত আছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ ও এন‌বিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান প্রমুখ।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এতোদিন আমরা প্রবৃদ্ধি, প্রবৃদ্ধি করি। তবে সেই প্রবৃদ্ধি সব পর্যায়ের মানুষের কাছে পৌঁছায়নি। এ থেকে বেরিয়ে এসে জীবনযাত্রা যেন ভালো পর্যায়ে নেওয়া যায়। এবারের বাজেটকে কথা ফুলঝুরি বাদ দিয়ে বাস্তবভিত্তিক করার চেষ্টা করা হয়েছে। মূল্যস্ফীতি, ব্যাংক, পুঁজিবাজার, জ্বালানি খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার চেষ্টা করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, এই সরকার কঠিন একটা সময়ে দায়িত্ব নিয়েছে। অনেকে বলেন, দেশ আইসিইউতে ছিল। বিশেষ করে আর্থিক খাত একেবারে খাদের কিনারায় পৌঁছেছিলাম। সবার চেষ্টায় আর্থিক খাতকে একটা পর্যায়ে আনা সম্ভব হয়েছে। মূল্যস্ফীতি কমানো সম্ভব হয়েছে। মানুষকে আরও কিভাবে স্বস্তি দেওয়া যায় সে চেষ্টা রয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় বাজেটের আকার প্রথমবারের মতো কমানো হয়েছে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অনেকে এবারের বাজেটকে গতানুগতিক, আগের ধারাবাহিতা বলছেন। তবে সেটা ঠিক না। এবারের বাজেটে তিন বছর মেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা রয়েছে। কীভাবে সবার জীবনযাপন আরও স্বচ্ছ, মান উন্নয়ন করা যায় সে চেষ্টা করা হয়।

তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা বলে দেখছি প্রতিটি দেশ, আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশ সম্পর্কে ভালো ধারনা পোষণ করছে। দেশের গণমাধ্যমে সমালোচনা থাকবে। তবে কেবল সমালোচনা থাকলে, তাদের কাছে নানা ব্যাখ্যা দিতে হয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রব দ ধ উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুরসহ ৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও খিলগাঁওয়ে দুজনকে গুলি করে হত্যা এবং দুজনকে আহত করার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো.শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

অন্য যে চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, তাঁরা হলেন ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম, রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল ও পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) চঞ্চল চন্দ্র সরকার।

আসামিদের মধ্যে এএসআই চঞ্চল চন্দ্র গ্রেপ্তার আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শুনিয়ে ট্রাইব্যুনাল জানতে চান, তিনি দোষ স্বীকার করেন কি না। জবাবে চঞ্চল চন্দ্র নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। আগামী ১৬ অক্টোবর এ মামলার সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।

এদিকে ট্রাইব্যুনাল–১–এ গণ–অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ সাক্ষ্য গ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। তবে তা হয়নি। আগামী বৃহস্পতিবার এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ