চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জুলাই থেকে মে মাস পর্যন্ত ১১ মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৪৯৫ কোটি ডলার, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। গত বছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৪ হাজার ৮৫৯ কোটি ডলার। তবে একক মাস হিসেবে এই প্রবৃদ্ধি আরও বেশি। চলতি অর্থবছরের মে মাসে মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের মে মাসে এই রপ্তানি আয় ছিল ৪ হাজার ২৫১ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত বছরের মে মাসের তুলনায় এই বছরের মে মাসে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

মঙ্গলবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত ১১ মাসে মোট তৈরি পোশাক খাতে মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৩ হাজার ৬৫৬ কোটি ডলার। যা মোট আয়ের প্রায় ৮১ শতাংশ। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি। এছাড়া একই সময়ে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে হোম টেক্সটাইল পণ্যে ৪ দশমিক ৭৮, প্লাস্টিক পণ্যে ১৮ দশমিক ৬২, কৃষি পণ্যে ৩ দশমিক ১৭, মৎস ও হিমায়িত খাদ্য পণ্যে ১৭ দশমিক ৫৩, প্রকৌশল পণ্যে ১২ দশমিক ৪০, সিরামিক পণ্যের ৮ দশমিক ৪২, চামড়ার জুতায় ২৮ দশমিক ৯৬, ইলেকট্রিক পণ্যের ১২ দশমিক ৪০, ফার্নিচার পণ্যে ৪ দশমিক ৯৩, তামাক পণ্যে ৩৬ ও ফলমূলে ১৫২  শতাংশ। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শাকসবিজ রপ্তানিতে ৩২ দশমিক ১৫, জুট ইয়ার্ন অ্যান্ড টোয়াইন পণ্যে ৭ দশমিক ৪২, প্রকৌশল যন্ত্রাংশ পণ্যে ১১ দশমিক ৫৮, চামড়াজাত পণ্যে ৩ দশমিক ৩৯, শুকনো খাবারে ১৩ দশমকি ২৫ ও কাঁচা পাট রপ্তানিতে ৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কমেছে।  
 
চলতি অর্থবছরের মোট রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫ হাজার কোটি ডলার। এরমধ্যে অর্থবছরের এই ১১ মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৬৬৩ কোটি ডলার। সেই তুলনায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি আয় কম হয়েছে দেড় শতাংশ। 

এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৪ হাজার ৪৪৭ কোটি ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ দশমিক ২২ শতাংশ। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রব দ ধ বছর র ম দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ

‎পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আরো পড়ুন:

সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা

পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা

‎গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

‎সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি। 

এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

‎ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
  • সেপ্টেম্বরের ১৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২০ হাজার কোটি টাকা
  • বাংলাদেশ ব্যাংক এক দিনে ২৬ ব্যাংক থেকে ৩৫ কোটি ডলার কিনল কেন