মে মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ
Published: 3rd, June 2025 GMT
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জুলাই থেকে মে মাস পর্যন্ত ১১ মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৪৯৫ কোটি ডলার, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। গত বছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৪ হাজার ৮৫৯ কোটি ডলার। তবে একক মাস হিসেবে এই প্রবৃদ্ধি আরও বেশি। চলতি অর্থবছরের মে মাসে মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের মে মাসে এই রপ্তানি আয় ছিল ৪ হাজার ২৫১ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত বছরের মে মাসের তুলনায় এই বছরের মে মাসে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
মঙ্গলবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত ১১ মাসে মোট তৈরি পোশাক খাতে মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৩ হাজার ৬৫৬ কোটি ডলার। যা মোট আয়ের প্রায় ৮১ শতাংশ। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি। এছাড়া একই সময়ে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে হোম টেক্সটাইল পণ্যে ৪ দশমিক ৭৮, প্লাস্টিক পণ্যে ১৮ দশমিক ৬২, কৃষি পণ্যে ৩ দশমিক ১৭, মৎস ও হিমায়িত খাদ্য পণ্যে ১৭ দশমিক ৫৩, প্রকৌশল পণ্যে ১২ দশমিক ৪০, সিরামিক পণ্যের ৮ দশমিক ৪২, চামড়ার জুতায় ২৮ দশমিক ৯৬, ইলেকট্রিক পণ্যের ১২ দশমিক ৪০, ফার্নিচার পণ্যে ৪ দশমিক ৯৩, তামাক পণ্যে ৩৬ ও ফলমূলে ১৫২ শতাংশ। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শাকসবিজ রপ্তানিতে ৩২ দশমিক ১৫, জুট ইয়ার্ন অ্যান্ড টোয়াইন পণ্যে ৭ দশমিক ৪২, প্রকৌশল যন্ত্রাংশ পণ্যে ১১ দশমিক ৫৮, চামড়াজাত পণ্যে ৩ দশমিক ৩৯, শুকনো খাবারে ১৩ দশমকি ২৫ ও কাঁচা পাট রপ্তানিতে ৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কমেছে।
চলতি অর্থবছরের মোট রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫ হাজার কোটি ডলার। এরমধ্যে অর্থবছরের এই ১১ মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৬৬৩ কোটি ডলার। সেই তুলনায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি আয় কম হয়েছে দেড় শতাংশ।
এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৪ হাজার ৪৪৭ কোটি ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ দশমিক ২২ শতাংশ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রব দ ধ বছর র ম দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে কমিটি
সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (গভর্নেন্স পারফরমেন্স মনিটরিং সিস্টেম- জিপিএমএস)’ বাস্তবায়নে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে তিন সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করেছে সরকার।
সম্প্রতি এই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
কমিটিতে বাকি দুই সদস্য হলেন, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সরকারি কাজের জবাবদিহিতা, দক্ষতা ও জনকল্যাণ নিশ্চিতে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মূল্যায়নের নতুন পদ্ধতি চালু হয়েছে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) পরিবর্তে নতুন সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (জিপিএমএস) চালু করা হয়েছে। এই জিপিএমএস বাস্তবায়নে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব বা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার), বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব কমিটিকে সহায়তা করবেন। তাছাড়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
এ কমিটি জিপিএমএস বাস্তবায়নের বিষয়ে সার্বিক দিক-নির্দেশনা দেবে। মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসে সেকশন ১-এর আওতায় প্রস্তুত করা পরিকল্পনা অনুমোদন দেবে এবং অর্থবছর শুরুর আগে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত করবে এ কমিটি।
এছাড়া, প্রতি অর্থবছর শেষে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসের সার্বিক মূল্যায়ন পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেবে। জিপিএমএস বিষয়ে সরকারের দেওয়া অন্য যেকোনো দায়িত্ব পালন করবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা