প্রথম সিনেমা দিয়েই ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়েছে আফরান নিশোকে। বলা চলে, ২০২৩ সালে ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমা মুক্তির আগে একাধিকবার শাকিবকে ইঙ্গিত করে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছিলেন নিশো, যা শাকিবের ভক্তরা ভালোভাবে নেয়নি! এই জেরে নিশোর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় শাকিবের।
এবার ঈদেও ‘বরবাদে’র বিপরীতে হাজির হন ‘দাগি’ নিয়ে। তবে এবার দুই বছর আগের ভুলের কারণে ক্ষমা চান নিশো।

এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছিল, ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় শাকিব খানের সাথে দেখা যাবে নিশোকে। এবার সেই গুঞ্জনেই যেন ঘি ঢাললেন ছবির পরিচালক রায়হান রাফী ও প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল।

মঙ্গলবার (৩ জুন) মধ্যরাতে সামাজিক মাধ্যমে ‘তাণ্ডব’ ছবির সংশ্লিষ্টদের দেওয়া এক ছবি পোস্টে দেখা যায় নিশোর কাঁধে হাত রেখে হাস্যোজ্জ্বল মুখে দাঁড়িয়ে আছেন শাকিব। ওই ছবিতে দেখা দেখে আরও দেখা গেছে শাহরিয়ার শাকিল, রেদওয়ান রনি এবং জাবেদ সুলতান পিয়াসকে।

শাহরিয়ার শাকিল ওই ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ব্রাদার। একই ছবি পোস্ট দিয়ে ‘তাণ্ডব’ ছবির পরিচালক রায়হান রাফী ক্যাপশনে লিখেছেন, হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে লিখেছেন ‘তাণ্ডব’।  

নিশোর পাশে শাকিবকে দেখে অনেকই মনে করছেন দুইজনের মনোমালিন্যের অবসান ঘরেছে। অনেকে আবার মন্তব্য করছেন ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এআই দিয়ে বানানো। এদিকে দুই তারকাকে পাশাপাশি দেখে শোবিজা তারকাও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

ছোট পর্দার অভিনেতা সিয়াম নাসির নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, যাক, তাহলে মিটমাট। এবার ভক্তদের যুদ্ধের অবসান। ছোট ভাইয়ের কাঁধে বড় ভাইয়ের হাত। এক ফ্রেমে দুইজনকে ভালো লাগছে। এভাবেই কাঁধে কাঁধ রেখে ঢালিউড এগিয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গণেও ছড়াবে আমাদের সিনেমা। চলেন, ঈদের সিনেমার আনন্দে মাতি।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আফর ন ন শ

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের আগের দিন আরেকটি ঈদ হয়ে যেত

ছোটবেলার কুরবানির ঈদ খুব আনন্দের ছিলো। আমার বেড় ওঠা ঢাকায়। ইকবাল রোডে আমার বাবার বাড়ি। সাড়ে বারো কাঠা জায়গা নিয়ে ছিল আমাদের বাড়িটা। ঘরের সামনে বিরাট উঠান ছিলো। কুরবানির জন্য কেনা গরু ওই উঠানে রাখা হতো। শুধু আমাদের গরু না, মামা, খালাদের কেনা গরুও ওই একই উঠানে রাখা হতো। 

ঈদের আগের দিন বাবা, মামারা সবাই একসঙ্গে গরু কিনতে যেতেন। মামারা গরু কিনতে যাওয়ার আগে আমাদের বাড়িতে আসতেন। মা অনেক রকম খাবার রান্না করতেন। যেমন— খিচুরি, মুরগির মাংস, ডিম ভাজি। সবাই একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করে গাবতলী হাটে গরু কিনতে যেতেন। বড়দের সঙ্গে আমিও যেতাম।  বিকালের আগে গরু কিনে বাসায় ফিরে আসতাম। রাতে আবার সবাই একসঙ্গে খেতো। এবং পরের দিনের গরু কুরবানির প্ল্যানিং হতো। অবশ্য বিকালের পরে নারীরা অর্থাৎ নানী, খালারা সবাই আসতেন গরু দেখতে। বাড়িটা উৎসবমুখর হয়ে উঠতো। সবমিলিয়ে আমাদের বাড়িতে ঈদের আগের দিন আরেকটি ঈদ হয়ে যেত।

সেই সময় সবাই একসঙ্গে ঈদ করা হতো। বাড়ির উঠানেই গরু কুরবানি করা হতো। মাংস ভাগ করে বিলানো হতো। এরপর মামা, খালারা তাদের ভাগের মাংস নিয়ে বিকালে নিজেদের বাড়িতে চলে যেতেন। এই যে ঈদের আগের দিন গরু কেনা থেকে কুরবানি  এই সময়টুকুতে আত্মীয় স্বজনেরা সবাই মিলে একটি পরিবার হয়ে উঠতো। 

আরো পড়ুন:

চলতি মাসে মুক্তি পাবে আলোচিত পাঁচ সিনেমা

বিয়ে করলেন হিনা খান, ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইটাও চলছে

সবার আলাদা বাসা এবং আলাদা ফ্ল্যাট বাড়ি হওয়ার পর থেকে আর এই সুযোগটুকু রইলো না। সময়ের পরিবর্তনে মানুষজন অনেকে হারিয়ে গেলো, অনেকে বিদেশে চলে গেলো। এভাবে করে ভাঙতে ভাঙতে এখন যার যার ঈদ তার তার।

এখন হয়তো আগের চেয়ে অনেক বড় গরু কুরবানি দেওয়া হয় কিন্তু আগের ঈদের আনন্দটা  এখন আর খুঁজে পাই না। 

অনুলিখন: স্বরলিপি

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ