গতকাল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে মুখোমুখি হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও প্রীতি জিনতার দল পাঞ্জাব কিংস। দুটো দলেরই অদম্য চাওয়া ছিল বিজয়ের। কিন্তু দ্বারপ্রান্তে গিয়েও ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে ফিরলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রীতি। ব্যর্থতার বেদনা প্রীতির চোখে জল এনে দিলেও নেটিজেনরা তার ভূয়সী প্রশংসা করছেন।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের চূড়ান্ত আসরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পাঞ্জাব কিংসের পরাজয়ের পর প্রীতি জিনতা স্ট্যান্ড থেকে নেমে যান মাঠে। বিষণ্ন মন নিয়েও তার দলের খেলোয়াড়দের সামলাতে দেখা যায়।

এ সময় নিজেকে শান্ত রাখলেও, তার চেহারায় বেদনার ছাপ স্পষ্ট ছিল এবং তার চোখের জল কারো নজর এড়ায়নি। প্রীতি জিনতা ও তার দল ১৮ বছর ধরে জয়ের অপেক্ষায় ছিলেন। পরাজয়ের পর প্রীতি জিনতার আচরণে মুগ্ধতা প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা।

আরো পড়ুন:

প্রেক্ষাগৃহে ৩৪ দিন, কত আয় করল অজয়ের সিনেমা?

লন্ডনে কথিত প্রেমিকের জন্মদিনে শ্রীদেবী কন্যা

মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে একজন লেখেন, “প্রীতি জনতার চোখে জল, এটাই স্বাভাবিক। আবারো তার হৃদয় ভেঙেছে। ২০১৪ সালেও একই দৃশ্য দেখেছিলাম।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে অন্তর্জালে।

২০০৮ সালে পাঞ্জাব কিংসের সহ-মালিকানা নেন প্রীতি জিনতা। তারপর থেকে আইপিএলের সঙ্গে তার অবিচ্ছেদ্য অংশ। দলের প্রতি তার আন্তরিক সমর্থন, নিয়মিত স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকা, খেলোয়াড়দের সঙ্গে আবেগঘনভাবে সম্পৃক্ত হওয়া প্রীতিকে আলাদা করেছে।

রুপালি পর্দায় প্রীতি জিনতাকে দীর্ঘ দিন দেখা যায়নি। ২০১৮ সালে ‘ভাইয়াজি সুপারহিট’ সিনেমায় সর্বশেষ অভিনয় করেন। এরপর বড় পর্দায় তার দেখা মেলেনি। দীর্ঘ বিরতির পর ফের বড় পর্দায় ফিরছেন এই অভিনেত্রী। ‘লাহোর ১৯৪৭’ সিনেমায় সানি দেওলের সঙ্গে জুটি বেঁধে ফিরবেন প্রীতি। গত ২১ মে সিনেমাটি মুক্তির কথা ছিল। কিন্তু তা পিছিয়েছে।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের আগের দিন আরেকটি ঈদ হয়ে যেত

ছোটবেলার কুরবানির ঈদ খুব আনন্দের ছিলো। আমার বেড় ওঠা ঢাকায়। ইকবাল রোডে আমার বাবার বাড়ি। সাড়ে বারো কাঠা জায়গা নিয়ে ছিল আমাদের বাড়িটা। ঘরের সামনে বিরাট উঠান ছিলো। কুরবানির জন্য কেনা গরু ওই উঠানে রাখা হতো। শুধু আমাদের গরু না, মামা, খালাদের কেনা গরুও ওই একই উঠানে রাখা হতো। 

ঈদের আগের দিন বাবা, মামারা সবাই একসঙ্গে গরু কিনতে যেতেন। মামারা গরু কিনতে যাওয়ার আগে আমাদের বাড়িতে আসতেন। মা অনেক রকম খাবার রান্না করতেন। যেমন— খিচুরি, মুরগির মাংস, ডিম ভাজি। সবাই একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করে গাবতলী হাটে গরু কিনতে যেতেন। বড়দের সঙ্গে আমিও যেতাম।  বিকালের আগে গরু কিনে বাসায় ফিরে আসতাম। রাতে আবার সবাই একসঙ্গে খেতো। এবং পরের দিনের গরু কুরবানির প্ল্যানিং হতো। অবশ্য বিকালের পরে নারীরা অর্থাৎ নানী, খালারা সবাই আসতেন গরু দেখতে। বাড়িটা উৎসবমুখর হয়ে উঠতো। সবমিলিয়ে আমাদের বাড়িতে ঈদের আগের দিন আরেকটি ঈদ হয়ে যেত।

সেই সময় সবাই একসঙ্গে ঈদ করা হতো। বাড়ির উঠানেই গরু কুরবানি করা হতো। মাংস ভাগ করে বিলানো হতো। এরপর মামা, খালারা তাদের ভাগের মাংস নিয়ে বিকালে নিজেদের বাড়িতে চলে যেতেন। এই যে ঈদের আগের দিন গরু কেনা থেকে কুরবানি  এই সময়টুকুতে আত্মীয় স্বজনেরা সবাই মিলে একটি পরিবার হয়ে উঠতো। 

আরো পড়ুন:

চলতি মাসে মুক্তি পাবে আলোচিত পাঁচ সিনেমা

বিয়ে করলেন হিনা খান, ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইটাও চলছে

সবার আলাদা বাসা এবং আলাদা ফ্ল্যাট বাড়ি হওয়ার পর থেকে আর এই সুযোগটুকু রইলো না। সময়ের পরিবর্তনে মানুষজন অনেকে হারিয়ে গেলো, অনেকে বিদেশে চলে গেলো। এভাবে করে ভাঙতে ভাঙতে এখন যার যার ঈদ তার তার।

এখন হয়তো আগের চেয়ে অনেক বড় গরু কুরবানি দেওয়া হয় কিন্তু আগের ঈদের আনন্দটা  এখন আর খুঁজে পাই না। 

অনুলিখন: স্বরলিপি

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ