দেশের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের উদ্দেশে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পর আপনারা যারা কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন, ভয়হীনভাবে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছেন, তারা আওয়ামী লীগের পথে হাঁটবেন না। আওয়ামী লীগের পথে হাঁটলে, ইতিহাস কখনো ক্ষমা করবে না।’

আজ বুধবার ঝিনাইদহের জোহান ড্রিম ভ্যালি পার্ক মিলনায়তনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার ও আহতদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ‘দ্য হিরো’স অব ঝিনাইদহ’ স্লোগানে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে ‘জুলাই যোদ্ধা পরিবার’।

বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের উদ্দেশে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আপনাদের চাল-চলন, কথাবার্তায় এমন কোনো আচরণ করবেন না, যাতে আপনাদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে। আপনাদের মধ্যে কোনো বৈষম্য আনে, এমন কোনো পরিবেশ তৈরি করতে দেবেন না যে পরিবেশ জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে ধুলিস্যাৎ করার জন্য ভূমিকা রাখতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে লুটপাট, দখলদারিত্বের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছিল, সেটা পথ অন্ধকার। সেই পথে হারিয়ে যাবেন যেমন হারিয়ে গেছে আওয়ামী লীগের অজস্র নেতাকর্মী। ক্ষমতার লোভে এমন কোনো অকাজ ছিল না, তারা করতো না।’

মো.

আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা জঙ্গি নির্মুলে বদ্ধ পরিকর। তবে শেখ হাসিনার সাজানো জঙ্গি নাটকের জঙ্গিদের নিয়ে এখন পুনরায় ভাবার সময় এসেছে। আমার কাছে যখন জঙ্গিদের তালিকা উপস্থাপন করা হয়েছে, তখন বিভিন্ন সংস্থাকে প্রথম প্রশ্ন করেছি– কবে কারা তালিকা করেছে। তারা বলেছে ২০১৩-১৪ সালে করেছি। আমি বলেছি, এই তালিকা নতুন করে চেক করেন।’

ৎঅনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক আলী আজম মোহাম্মদ আবু বকর, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব রিফাত রশিদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক আবু হুরাইরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঝ ন ইদহ আওয় ম ল গ আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

সোনারগাঁয়ে কারখানা চালু করল সুইজারল্যান্ডের সিকা

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নতুন কারখানা চালু করেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক রাসায়নিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিকা বাংলাদেশ। আজ সোমবার দুপুরে সোনারগাঁয়ের টিপরদী এলাকায় মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এমআইইজেড) প্রতিষ্ঠানটির কারখানা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।

কারখানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেংগলি। বিশেষ অতিথি ছিলেন মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল। এ ছাড়া সিকা বাংলাদেশের প্রধান সঞ্জীবন রায়, সিকা এশিয়া প্যাসিফিক ম্যানেজমেন্টের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ইউমি কানসহ মেঘনা গ্রুপ ও সিকা বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিকা বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড সঞ্জীবন রায় বলেন, ‘সিকা বাংলাদেশ’ হলো সিকার ১০০তম সহযোগী প্রতিষ্ঠান, যা আমাদের জন্য এক গৌরবের মাইলফলক। সিকা এখন বিশ্বজুড়ে টেকসই উন্নয়ন ও উদ্ভাবনের প্রতীক। নির্মাণ ও শিল্প খাতে স্থায়িত্ব, শক্তি এবং উপকরণের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আমরা নিরন্তরভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের নির্মাণ খাতের রাসায়নিক বাজার বর্তমানে প্রায় ১০ কোটি মার্কিন ডলারের। এ বাজারে সিকার অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৫০ কোটি সুইস ফ্রাঁ বিনিয়োগে নতুন কারখানা করেছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রায় ৮ হাজার বর্গমিটার জায়গাজুড়ে স্থাপিত কারখানাটিতে দুটি আধুনিক উৎপাদন লাইন রয়েছে। যার মধ্যে একটি লিকুইড অ্যাডমিক্সচার ও অন্যান্য কংক্রিট পণ্য উৎপাদনের জন্য এবং অপরটি পাউডারভিত্তিক পণ্য তৈরির জন্য। বিশ্বজুড়ে নির্মাণ ও মোটরগাড়ি শিল্পের জন্য বন্ডিং, সিলিং, রিইনফোর্সিং, প্রটেকশন ও ড্যাম্পিং পণ্যে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান সিকা বর্তমানে ১০০টিরও বেশি দেশে কার্যক্রম রয়েছে।

সিকা বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত রেটো রেংগলি বলেন, সিকা মানেই গুণগত মান, উদ্ভাবন এবং আধুনিক প্রযুক্তির সংমিশ্রণ। ‘সিকা’ বিশ্বজুড়ে নির্মাণ খাতে উচ্চমানের উদ্ভাবনী পণ্য এবং সমাধান দিয়ে আসছে। বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার।

সিকার এই যাত্রা মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বাংলাদেশের জন্য গর্বের বলে উল্লেখ করেন এমজিআইয়ের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘নির্মাণ খাতে সিকা বিশ্বে নেতৃত্বদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান। সিকার বিনিয়োগ আমাদের অঞ্চলের সমৃদ্ধি বয়ে আনতে সহায়ক হবে। মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চল বিনিয়োগ নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য অবকাঠামোসহ যাবতীয় সুযোগ–সুবিধা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের পাশে থাকবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ